বোধ বিজ্ঞান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বোধ বিজ্ঞান (cognitive science) হচ্ছে মন, মস্তিষ্ক ও বুদ্ধি (intelligence) সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এটি এমন একটি গবেষণা ক্ষেত্র, যার সাথে মনোবিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, দর্শন, কম্পিউটার বিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব, জীববিজ্ঞান, ইত্যাদি অনেকগুলো জ্ঞানের শাখা জড়িত।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] বোধ বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়সমূহ
বোধবিজ্ঞান একটি বিস্তর গবেষণাক্ষেত্র, যা বোধ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে বিচরণ করে। বোধ বিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ হলো: বুদ্ধি কি? গণনামূলক পদ্ধতিতে (computationally) বুদ্ধির আদল (model) কিভাবে তৈরি করা সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কিনা?
নিম্নে বোধবিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয়সমূহ দেয়া হলো।
[সম্পাদনা] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা কম্পিউটারে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদানের চেষ্টা করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বুদ্ধিকে কম্পিউটার মডেল (Computer model) দ্বারা অনুকরণের (simulation) প্রচেষ্টা বোধবিজ্ঞানের একটি অন্যতম গবেষণামূলক লক্ষ্য।
[সম্পাদনা] ভাষা প্রক্রিয়াকরণ
মস্তিষ্ক কিভাবে শোনা বা পড়া বাক্য বা ভাষাকে বোঝার মত উপযোগী করে প্রক্রিয়া করে, বোধবিজ্ঞানের জন্য এর উত্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রশ্নসমূহ হলো: (১) ভাষাগত জ্ঞান কতখানি সহজাত আর কতখানি শিক্ষালব্ধ?, (২) শিশু-অবস্থায় মানুষ যতটা সহজে তার প্রথম ভাষা শিখতে পারে, প্রাপ্তবয়স্ক-অবস্থায় দ্বিতীয় ভাষা শেখাটা তার চেয়ে অনেক কঠিন হয় কেনো? (৩) মানুষ কি করে আগে শোনেনি এমন কোন বাক্য শুনে বুঝতে সক্ষম হয়?
[সম্পাদনা] শিক্ষা ও বিকাশ
শিক্ষা (learning) ও বিকাশ (development) হচ্ছে সময়ের সাথে জ্ঞান ও তথ্য আহরণের প্রক্রিয়া। বুদ্ধির বিকাশ কতটা সহজাত আর কতটা শিক্ষালব্ধ, বোধবিজ্ঞানে এটি একটি প্রধান জিজ্ঞাস্য। প্রায় প্রতিটি বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণের পেছনে জিনগত ও আহরিত জ্ঞান, উভয়ের প্রভাব বিদ্যমান।