ষোল গুটি
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ষোল গুটি [বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] গ্রামীন পুরুষদের অন্যতম প্রধান খেলা। অলস অবসরে গ্রামের যুবক ও মধ্যবয়সী পুরুষেরা ষোলগুটি খেলে। মাটিতে দাগ কেটে শুকনো ডাল ভেঙ্গে গুটি বানিয়ে চলে এই দীর্ঘমেয়াদি খেলা। খেলার এত সহজ সরঞ্জাম গ্রামবাসীর উত্সব মুখর মনের বহিঃপ্রকাশকেই প্রমাণ করে।
[সম্পাদনা] খেলার নিয়মাবলী
সাধারণত মাটিতে দাগ কেটে ষোল গুটির ঘর বানানো হয়। প্রতি পক্ষেই ১৬টি করে গুটি থাকে। শুধু ঘরের মাঝখানের দাগটি দান চালার জন্য খালি থাকে। কোনাকুনি দাগের গুটিগুলো সারা ঘর জুড়ে এক ঘর করে কোনাকুনি খেতে পারে। উলম্ব দাগ কাটা ঘরের গুটিগুলো লম্বভাবে এক ঘর করে খেতে পারে। অপর পক্ষের গুটিকে ডিঙ্গাতে পারলেই সে গুটি কাটা পড়ে। এই ভাবে প্রতিপক্ষের গুটির সংখ্যা কমিয়ে শূন্য করে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। ষোল গুটির আর একটি রূপান্তর হলো বাঘ ছাগল খেলা। এক পক্ষ ষোলটি গুটি নেয় এবং অন্য পক্ষ একটি গুটি নিয়ে বাঘ ছাগল খেলা খেলে। একটি গুটিকে বাঘ এবং ষোলটি গুটিকে ছাগল বলে। বাঘের কোনাকুনি এবং লম্বালম্বি সব ধরনের গতিই বৈধ। ছাগল বা ষোল গুটির চাল অন্য খেলার মতই। ১৬ গুটি দিয়ে বাঘের চাল বন্ধ করে দিতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। আর বাঘ চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের সবগুলো গুটিকে খেয়ে নিতে।