চর্যাপদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রাচীন নিদর্শন। এটি সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়কালে রচিত বৌদ্ধগানের একটি সংগ্রহ। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে নেপালে এই পুঁথি আবিষ্কার করেন।


সূচিপত্র

[সম্পাদনা] চর্যাপদের ভাষা

আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এর মতে বাংলার প্রাচীনতম রূপ এই ভাষার আসল নাম অবহট্ট। তারাপদ মুখোপাধ্যায়ের মতে সহজিয়া সাধকদের গুহ্য বা দুর্বোধ্য রচনা রীতির জন্যই সম্ভবতঃ চর্যাপদের ভাষার আরেক নাম "সন্ধ্যাভাষা"।

[সম্পাদনা] ছন্দ

[সম্পাদনা] চর্যাগীতি ও রাগ-রাগিণী

[সম্পাদনা] রচয়িতা

চর্যাপদের মোট ৫০টি পদে ২৩জন পদকর্তার নাম পাওয়া যায়। আবিষ্কৃত পুঁথি খণ্ডিত থাকার দরুণ ৩টি পদ পাওয়া যায়নি। আরও একজন পদকর্তার নাম আছে কিন্তু তার পদটি নেই। সে হিসেবে মোট ২৪জন পদকর্তার ৫১টি পদ চর্যাপদে ছিল। পদকর্তাগণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন কাহ্নুপাদ (কাহ্ন), শবরপাদ (শবর), সরহপাদ (সরহ), লুইপাদ প্রমুখ।

চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ের মোট চব্বিশ জন পদকর্তার পরিচয় পাওয়া যায়। গানের মাঝে ও শেষে তাঁরা ভণিতা দিয়েছেন। তবে কারও কারও গুরুর ভণিতা আছে। নামের শেষে গৌরবসূচক 'পা' যোগ করা হয়েছে। চর্যার চব্বিশ জন পদকর্তা হলেনঃ

এ সব নামের কতকগুলো ছদ্মনাম। যেমন- কুক্করী, ডোম্বী, শবর, তাড়ক, কঙ্কণ, তন্ত্রী। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী থেকে তাঁরা এসেছিলেন এবং সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে অনেকে গার্হস্থ্য শ্রমের সঙ্গে পিতৃদত্ত নামও ত্যাগ করেছিলেন।
সূত্রঃ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

[সম্পাদনা] তত্ত্ব দর্শন

[সম্পাদনা] দেশকাল ও সমাজ-জীবন

[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র

চর্যাগীতিকা - সম্পাদনায় মুহম্মদ আবদুল হাইআনোয়ার পাশা


[সম্পাদনা] আরও দেখুন

[সম্পাদনা] বহির্সংযোগ

অন্যান্য ভাষা