গ্লিজে ৫৮১ সি
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বহিঃসৌর জাগতিক গ্রহ | বহিঃসৌর জাগতিক গ্রহসমূহের তালিকা | ||
---|---|---|---|
![]() সামনের পটে গ্লিসে ৫৮১ সি গ্রহটিকে দেখা যাচ্ছে |
|||
মাতৃ তারা | |||
তারা | গ্লিজে ৫৮১ | ||
তারামণ্ডল | তুলা রাশি | ||
বিষুবাংশ | (α) | ১৫ঘ ১৯ম ২৬স | |
বিষুবলম্ব | (δ) | −০৭° ৪৩′ ২০″ | |
বর্ণালীর ধরণ | M2.5V | ||
কক্ষপথের রাশি | |||
অর্ধ-মুখ্য অক্ষ | (a) | ০.০৭৩ AU | |
উৎকেন্দ্রিকতা | (e) | ০.১৬±০.০৭ | |
কক্ষীয় পর্যায় | (P) | ১২.৯৩ দ | |
নতি | (i) | ?° | |
পেরিএস্ট্রনের দ্রাঘিমা | (ω) | ?° | |
পেরিএস্ট্রনের সময় | (τ) | ? JD | |
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ | |||
ভর | (m) | > ৫ ME | |
ব্যাসার্ধ্য | (r) | ~১.৫ RE | |
ঘনত্ব | (ρ) | ? কেজি/m3 | |
তাপমাত্রা | (T) | ~২৯০ কে | |
আবিষ্কারের তথ্য | |||
আবিষ্কারের তারিখ | এপ্রিল ২৪, ২০০৭ | ||
আবিষ্কারক | স্তেফান উদ্রি ও তার দল | ||
সনাক্তকরণ পদ্ধতি | অরীয় গতি | ||
আবিষ্কারের মর্যাদা | প্রকাশিত |
গ্লিজে ৫৮১ সি (Gliese 581 c - ˈgliːˌzə) সম্প্রতি আবিষ্কৃত একটি বহিঃসৌর জাগতিক গ্রহ যা গ্লিজে ৫৮১ নামক একটি লাল বামন তারাকে প্রদক্ষিণ করছে।[১] তারাটিকে কেন্দ্র করে যে বাসযোগ্য অঞ্চল রয়েছে তার মধ্যেই গ্রহটি অবস্থিত বলে বিজ্ঞানীরা মত প্রকাশ করেছেন। উপরন্তু এর পৃষ্ঠতলে যে তাপমাত্রা রয়েছে তা পানি থাকার উপযোগী। গ্রহটি পৃথিবী থেকে অপেক্ষাকৃত নিকটে অবস্থিত। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ২০.৫ আলোক বর্ষ (১৯০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার)। এই তারাটি তুলা রাশিতে অবস্থিত। গ্লিজে তারা তালিকা অনুসারে এই গ্রহের মাতৃ তারাটির নামকরণ করা হয়েছে।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] আবিষ্কার
এই নতুন বহিঃসৌর জাগতিক গ্রহটি আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয় ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল তারিখে। ঘোষনা দেন সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত জেনেভা মানমন্দিরের বিজ্ঞানী স্তেফান উদ্রি ও তার গবেষক দল। গ্রহটি সনাক্ত করার জন্য এই পর্যবেক্ষক দল হাই একিউরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার (হার্পস-HARPS) পদ্ধতির জন্য সহায়ক যন্ত্রপাতি বৈবহার করেন। এই সহায়ক যন্ত্রগুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছিল চিলির লা সিলিতে অবস্থিত ইউরোপিয়ান সাউদার্ন মানমন্দিরে। পর্যবেক্ষণকারী দূরবীনটি ছিল ইএসও ৩.৬ এম দূরবীন। গ্রহটি সনাক্ত করার জন্য পর্যবেক্ষক দল অরীয় গতি পদ্ধতি প্রয়োগ করে। গ্রহটি যখন গ্লিজে ৫৮১ তারার সামনে দিয়ে যাবে তখন এটি নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করবেন বলে পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছেন। এজন্য তারা কানাডায় নির্মিত একটি দূরবীন ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। এর নাম মাইক্রোভেরিয়েবলিটি অ্যান্ড ওসিলেশন্স অফ স্টার্স দূরবীন (Microvariability and Oscillations of STars telescope - MOST)