ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতীক
পূর্ণ নাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব
ডাকনাম দ্য রেড ডেভিলস
প্রতিষ্ঠা ১৮৭৮ সালে,
নিউটন হিথ এল.ওয়াই.আর. এফ.সি. নামে
মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ড
স্ট্রেটফোর্ড
গ্রেটার ম্যানচেস্টার
ধারনক্ষমতা ৭৬,৩১২
চেয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্র এর পতাকা জোয়েল ও এভ্রাম গ্লেজার
ম্যানেজার স্কটল্যান্ড এর পতাকা স্যার এলেক্স ফার্গুসন
লীগ প্রিমিয়ার লীগ
২০০৬-০৭ প্রিমিয়ার লীগ, ১ম
দলের রঙ দলের রঙ দলের রঙ
দলের রঙ
দলের রঙ
 
হোম জার্সি
দলের রঙ দলের রঙ দলের রঙ
দলের রঙ
দলের রঙ
 
এওয়ে জার্সি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ ফুটবল দল। এদের নিজস্ব মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ড ফুটবল গ্রাউন্ড, ট্রাফোর্ড, গ্রেটার ম্যানচেস্টারে অবস্থিত। সারা বিশ্বের জনপ্রিয়তম দলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এদের সমর্থকের সংখ্যা সারা বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়নেরও অধিক।[১][২] ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে সফলতম দলগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অন্যতম। তারা এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ/ফুটবল লীগ জিতেছে ১৬ বার[৩], এফ.এ. কাপ ১১ বার[৩], লীগ কাপ ২ বার[৩], ইউরোপীয়ান কাপ/উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ ২ বার[৩], উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ ১ বার[৩], ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ১ বার[৪] এবং ইউরোপীয়ান সুপার কাপ ১ বার[৪]। বিগত ৩৪ বছরে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গড় দর্শকসংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ (১৯৮৭ - ১৯৮৯ বাদে কারন তখন ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামের সংস্কার চলছিল)।[৫]। 'রেড ডেভিল' বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাব বলে বিবেচিত হয়।

শুরুতে ক্লাবটি ১৮৭৮ সালে নিউটন হীথ এফ.সি. নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০২ সালে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পথে ক্লাবটি কিনে নেন জন হেনরি ডেভিস যিনি এর নাম পরিবর্তন করে রাখেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে বোমা আঘাত হানে। প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব ইউনাইটেডকে সাহায্য করে তাদের স্টেডিয়ামে খেলার অনুমতি দিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউনাইটেড স্যার ম্যাট বাজ্‌বিকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়। তিনি তরুন ফুটবলারদের মূল দলে খেলার অগ্রাধিকার দেয়ার নীতি গ্রহন করেন, যার সফলতা তিনি পরে পেয়েছিলেন। ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ সালে দলটি লীগ জিতে। ১৯৫৮ সালের মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায় তার সাফল্যের চাকা থেমে যায় যেখানে মূল দলের ৮ জন খেলোয়াড় মারা যান। মনে করা হচ্ছিল তখন ক্লাবটি বন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু দলটি ঠিকমতই চলতে থাকে এবং ১৯৬৫ ও ১৯৬৭ সালে ফুটবল লীগ এবং ১৯৬৮ সালে ইউরোপীয়ান কাপ জিতে নেয়।

১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত দলটি আর সাফল্যের মুখ দেখতে পারেনি। ১৯৯০ দশকে স্যার এলেক্স ফার্গুসন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেয়ার পরে দলটি ১১ মৌসুমে ৯ টিতেই লীগ জিতে নেয়, সর্বশেষটি ২০০৬-০৭ মৌসুমে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একমাত্র দল যারা ১৯৯৯ সালে একই মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ এবং এফ.এ. কাপ জিতে নেয়।

১৯৯১ সালের পর থেকে দলটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পরিচালিত হয়। রুপার্ট মুরডক ১৯৯৮ সালে দলটি কিনে নিতে চেয়েছিলেন যা ব্রিটিশ সরকার থেকে বাধা দেয়া হয়।[৬] কিন্তু ২০০৫ সালে ম্যালকম গ্লেজার বিতর্কিতভাবে দলটি কিনে নেন যার ফলে ক্লাবটি আকন্ঠ দেনায় ডুবে যায়।[৭]

বর্তমানে দলের অধিনায়ক গ্যারি নেভিল, যিনি রয় কিনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] ইতিহাস

[সম্পাদনা] শুরুর বছরগুলো (১৮৭৮-১৯৪৫)

১৯০৫/০৬ মৌসুমের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দল। সে মৌসুমে তারা ২য় বিভাগে রানার্স-আপ হয় এবং ১ম বিভাগে উন্নীত হয়
১৯০৫/০৬ মৌসুমের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দল। সে মৌসুমে তারা ২য় বিভাগে রানার্স-আপ হয় এবং ১ম বিভাগে উন্নীত হয়

১৮৭৮ সালে নিউটন হিথ এল এন্ড ওয়াই আর এফ.সি. (Newton Heath L&YR F.C.) নামে ল্যাঙ্কাশায়ার ও ইয়র্কশায়ার রেলওয়ের কর্মচারীর দল হিসেবে নিউটন হিথ ডিপোয় ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন দলের পোশাক ছিল সবুজ ও সোনালী রঙের। বর্তমান ম্যানচেস্টার পিকাডলি স্টেশনের কাছে নর্থ রোড নামের একটি ছোট স্টেডিয়ামে তারা পনের বছর খেলেছে। এরপর ১৮৯৩ সালে তারা মাঠ পরিবর্তন করে ক্লেটন শহরের কাছের ব্যাংক স্ট্রিট স্টেডিয়ামে খেলতে শুরু করে। এর আগের বছর ক্লাবটি ফুটবল লীগে প্রবেশ করে এবং রেল ডিপোর সাথে সম্পর্ক ছেদের মাধ্যমে মুক্ত প্রতিষ্ঠানে পরিনত হওয়ার উদ্যোগ নেয়। ক্লাবে একজন সচিব নিয়োগ দেয়া হয় এবং এর নামের শেষের এল এন্ড ওয়াই আর বাদ দিয়ে নামকরন করা হয় নিউটন হিথ এফ.সি.। তার কিছুকাল পরেই ১৯০২ সালে ক্লাবটি ২৫০০ পাউন্ডের ঋণে জর্জরিত হয়ে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যায়। এক সময় ভূসম্পত্তির তত্ত্বাবধায়কেরা তাদের ব্যাংক স্ট্রিট ফুটবল মাঠ বন্ধ করে দেয়।[৮]

চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পূর্বে ক্লাবে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেন ম্যানচেস্টার ব্রিউয়ারিজ এর পরিচালক জে.এইচ. ডেভিস। কথিত আছে তৎকালীন ক্লাব অধিনায়ক হ্যারি স্ট্যাফোর্ড ক্লাবের তহবিল সংগ্রহের সময় যখন তার ব্যক্তিগত সেইন্ট বার্নার্ড কুকুরটিকে পুরষ্কার হিসেবে ঘোষনা করেছিলেন, তখন ডেভিস তার কাছে কুকুরটি কিনতে চান। স্ট্যাফোর্ড কুকুরটি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান, কিন্তু তিনি ডেভিসকে ক্লাবে বিনিয়োগ করাতে ও ক্লাবের চেয়ারম্যান হতে রাজী করাতে সক্ষম হন।[৯] শুরুর দিকে বোর্ড মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় দলটির নাম পরিবর্তন করা হবে যাতে দলটির নতুন অগ্রযাত্রা প্রতিফলিত হয়। এজন্য ম্যানচেস্টার সেন্ট্রাল এবং ম্যানচেস্টার সেল্টিক এই দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়। তবে লুইস রকা নামের একজন ইতালীয় অভিবাসী বলেন, "ভদ্রমহোদয়গণ, আমরা আমাদের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নামে কেন ডাকি না?"[১০] শেষ পর্যন্ত এই নামটিই টিকে যায় এবং ১৯০২ সালের ২৬শে এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রাখা হয়। ডেভিস দলের রঙ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন এবং নিউটন হিথের সবুজ ও সোনালী রঙ ছেড়ে লাল ও সাদাকে ম্যানচেস্টারের রঙ হিসেবে নির্বাচিত করেন।

১৯০২ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বরে জেমস ওয়েস্ট ক্লাবের ম্যানেজারের পদ থেকে ইস্তফা দিলে আর্নেস্ট ম্যাংনালকে ক্লাবের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ম্যাংনাল দলটিকে প্রথম বিভাগে উন্নীত করতে অনেক চেষ্টা করেন, তবে প্রথম চেষ্টায় তিনি দলকে একটুর জন্য প্রথম বিভাগে উন্নীত করতে ব্যর্থ হন। সে মৌসুমে ম্যানচেস্টার দ্বিতীয় বিভাগে পঞ্চম অবস্থান দখল করে। ম্যাংনাল সিদ্ধান্ত নেন যে এখন দলে কিছু নতুন মুখের দরকার। তিনি গোলরক্ষক হিসেবে হ্যারি মগার, হাফ-ব্যাক হিসেবে ডিক ডাকওয়ার্থ এবং স্ট্রাইকার হিসেবে জন পিকেন প্রমুখকে দলভুক্ত করেন। তবে মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হন চার্লি রবার্টস নামের একজন নতুন হাফ-ব্যাক। ১৯০৪ সালের এপ্রিলে তাকে গ্রিমসবি টাউন থেকে আনতে দলের তৎকালীন সময়ে রেকর্ড ৭৫০ পাউন্ড খরচ করতে হয়। তিনি ১৯০৩-০৪ মৌসুমে দলকে দ্বিতীয় বিভাগে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত করতে সাহায্য করেন। এসময় প্রথম বিভাগে যেতে তাদের আর মাত্র একটি পয়েন্ট লাগত।

নতুন নামে প্রথম বিভাগে উন্নীত হতে অবশ্য দলটিকে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৯০৫-০৬ মৌসুমে দলটি দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। পরবর্তীতে প্রথম বিভাগে নতুন নামে তাদের প্রথম মৌসুমে তারা অষ্টম স্থান দখল করে। তাদের প্রথম লীগ শিরোপা আসে ১৯০৮ সালে। সেসময় ম্যানচেস্টার সিটিকে তাদের খেলোয়াড়দের এফএ কর্তৃক নির্ধারিত বেতনের বেশি বেতন দেয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাদেরকে ২৫০ পাউন্ড জরিমানা এবং আঠারজন খেলোয়াড়কে সে দলে খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইউনাইটেড এ সুযোগ গ্রহণ করে এবং বিলি মেরেডিথ (ওয়েলশ জাদুকর নামে পরিচিত) এবং স্যান্ডি টার্নবুল সহ কয়েকজনকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়। নতুন এই খেলোয়াড়েরা ১৯০৭ সালের নববর্ষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার কারনে খেলার অযোগ্য বিবেচিত হয়েছিলেন। তাই ইউনাইটেডকে ১৯০৭-০৮ মৌসুম পর্যন্ত শিরোপা লড়াইয়ে তাদের দক্ষতা দেখানোর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ঝড়ের বেগে মৌসুম শুরু করে এবং টানা দশটি খেলায় জয়লাভ করে। মৌসুমের শেষটা তত ভাল না হলেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস্টন ভিলা থেকে ৯ পয়েন্ট ব্যবধান রেখে তারা লীগ শিরোপা জিতে নেয়।

পরবর্তী মৌসুমেই ম্যানচেস্টার আরেকটি ট্রফি ঘরে তুলে নেয়, তাদের প্রথম চ্যারিটি শিল্ড এবং এফ.এ. কাপ শিরোপা। এর মাধ্যমেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রেকর্ড সংখ্যক এফএ কাপ জেতার বীজ রোপিত হয়েছিল। ক্লাবের প্রথম লীগজয়ী মৌসুমের মত এ মৌসুমেও টার্নবুল ও মেরেডিথ প্রধান ভূমিকা পালন করেন। টার্নবুল এফএ কাপ ফাইনাকে জয়সূচক গোলটি করেন। এরপরে আরেকটি ট্রফি পেতে ক্লাবটিকে দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়। ১৯১০-১১ মৌসুমে দলটি দ্বিতীয়বারের মত প্রথম বিভাগ লীগ জিতে নেয়। এসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের নতুন মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্থানান্তরিত হয়। এ মাঠে তারা উদ্বোধনী ম্যাচ খেলে ১৯১০ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি লিভারপুলের বিরুদ্ধে, যে খেলায় ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও ইউনাইটেড ৪-৩ গোলে পরাস্ত হয়। ১৯১১-১২ মৌসুমটি তারা ট্রফিশূণ্য থেকে পার করে। এর ফলে ম্যাংনালকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয় (দশ বছর ইউনাইটেডের সাথে থাকার পর তিনি ম্যানচেস্টার সিটি দলে যোগ দেন)। ১৯১০-১১ মৌসুমের পর আরেকটি লীগ শিরোপা জিততে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে দীর্ঘ ৪১ বছর অপেক্ষা করতে হয়, যা দলটির ইতিহাসে লীগ শিরোপা না পাওয়ার জন্য দীর্ঘতম সময়।

পরবর্তী দশ বছরে ক্লাবটির ক্রমাবনতি লক্ষ করা যায়, এবং ফলশ্রুতিতে ১৯২২ সালে দলটি দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়। ১৯২৫ সালে তারা আবার প্রথম বিভাগে উন্নীত হয়, কিন্তু লীগ তালিকায় অর্ধেক দলের পেছনে থাকত। ১৯৩১ সালে ইউনাইটেড আবার দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়। ১৯৩৪ সালে দলটি তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করে। এসময় দলটি দ্বিতীয় বিভাগে ২০তম হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুর আগের মৌসুমগুলোতে তারা আরো একবার প্রথম বিভাগে উন্নীত হয় এবং দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়। ১৯৩৮-৩৮ মৌসুমে ১৪তম হওয়ার পর থেকে তারা শীর্ষদলগুলোর কাতারে চলে আসে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালের ১১ মার্চ ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামে বোমা ফেলা হয়। এতে স্টেডিমের অধিকাংশ অংশই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। কেবল একটি টানেল সুরক্ষিত ছিল। মাঠের অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়। ফলে দলটিকে তৎকালীন সময়ের বড় দল ও বেশি পরিচিত ম্যানচেস্টার সিটি ক্লাবের স্মরণাপন্ন হতে হয়। ম্যানচেস্টার সিটি ইউনাইটেডকে ৫০০০ পাউন্ডের নামমাত্র মূল্যের বিনিময়ে তাদেরকে মেইন রোড স্টেডিয়ামে খেলার অনুমতি দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আদতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য বর নিয়ে আসে। কারন এসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গঠনের পরিপূর্ণ সংস্কার সাধিত হয়, এবং কয়েকজন স্কটিশ ব্যক্তিকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

[সম্পাদনা] বাজ্‌বির বছরগুলি (১৯৪৫-১৯৬৯)

ম্যাট বাজ্‌বি ১৯৪২ সালে নতুন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি তখন তার পদে থেকে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যাবলি একই সাথে পালন করার উপর জোর দেন যা পূর্বে ঐ পদের জন্য প্রচলিত ছিল না। এই মনোভাবে জন্য তিনি তার পূর্ববর্তী দল লিভারপুলের ম্যানেজার হতে পারেননি, কারন লিভারপুল এসব কাজ পরিচালকদের দায়িত্ব হিসেবে মনে করত। তবে ইউনাইটেড বাজবির নতুন ধারনা গ্রহণ করে এবং তাকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়। বাজবি প্রথম যার সাথে চুক্তি করেন তিনি কোন খেলোয়াড় ছিলেননা, ছিলেন একজন সহকারী ম্যানেজার, যার নাম জিমি মারফি। বাজবিকে নিয়োগ করে দল যে ঝুকি নিয়েছিল তিনি তার প্রতিদান দেন ১৯৪৭, ১৯৪৮১৯৪৯ সালে লীগ রানার্স আপ হয়ে এবং ১৯৪৮ সালে এফ.এ. কাপ শিরোপা জিতে। এই সাফল্যের পিছনে স্ট্যান পিয়ারসন, জ্যাক রাউলি ও চার্লি মিটেন প্রমুখের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।

উন্নত বেতনের আশায় চার্লি মিটেন কলম্বিয়ায় চলে যান, তবে ইউনাইটেডের বাকি খেলোয়াড়েরা থেকে যান এবং ১৯৫২ সালে প্রথম বিভাগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন। বাজবি জানতেন দলে অভিজ্ঞতার চেয়েও দক্ষতা বেশি জরুরী, তাই তিনি যখনই সম্ভব যুব দল থেকে তরুন খেলোয়াড়দের মূল একাদশে খেলানোর নীতি গ্রহণ করেন। তার প্রথমদিকের তরুন খেলোয়াড়েরা, যেমন রজার বার্ন, বিল ফৌকেস, মার্ক জোনস এবং ডেনিস ভায়োলেট, মূল দলে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় নেন, ফলে ১৯৫৩ সালে ইউনাইটেড লীগ তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করে। কিন্তু ১৯৫৬ সালে তারা আবার লীগ জিতে নেয়। এই দলের খেলোয়াড়দের গড় বয়স ছিল মাত্র ২২ এবং লীগে তারা ১০৩টি গোল করে। বাজবির দেয়া তরুন খেলোয়াড় নীতি বর্তমান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে পরিগণিত। এ সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুন খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হচ্ছেন ডানকান এডওয়ার্ডস, যিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৫৩ সালে মূল দলে খেলার সুযোগ পান। জনশ্রুতি ছিল এডওয়ার্ডস যেকোন অবস্থানে খেলতে সক্ষম এবং যারা তাকে খেলতে দেখেছেন তারা একবাক্যে তাকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় আখ্যা দিয়েছেন। পরের ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আবার লীগ জিতে নেয় এবং এফ.এ. কাপ ফাইনালে এস্টন ভিলার কাছে পরাজিত হয়। তারা প্রথম ইংরেজ দল হিসেবে ইউরোপীয়ান কাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত উন্নীত হয়, যাতে তারা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাস্ত হয়। এসময় বেলজিয়ামের দল এন্ডারলেচকে তারা ১০-০ গোলে মেইন রোড স্টেডিয়ামে পরাস্ত করে যা আজও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।

মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনার স্মরনে ওল্ড ট্রাফোর্ডে রাখা সম্মাননা
মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনার স্মরনে ওল্ড ট্রাফোর্ডে রাখা সম্মাননা

পরবর্তী মৌসুম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য ছিল বিভীষিকাময় ট্রাজেডী। ইউরোপীয়ান কাপে খেলার পর খেলোয়াড়দের ফিরতি বিমানটি জ্বালানী তেল সংগ্রহের জন্য মিউনিখে নামার পর উড্ডয়নের সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ১৯৫৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত এই মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায় অকালে মৃত্যুবরন করেন ৮ জন খেলোয়াড় - জিওফ বেন্ট, রজার বার্ন, এডি কোলম্যান, ডানকান এডওয়ার্ডস, মার্ক জোনস, ডেভিড পেগ, টমি টেইলর ও লিয়াম হোয়েলান এবং ১৫ জন অন্যান্য যাত্রী যার মধ্যে ছিলেন ইউনাইটেড কর্মী - ওয়াল্টার ক্রিকমার, বার্ট হোয়ালি ও টম কারি। বিমানটি প্রথম দুইবার ঊড্ডয়নের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর তৃতীয়বার চেষ্টার সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। রানওয়ের শেষপ্রান্তে বিমানটি পিছলে যায় এবং একটি খালি বাড়ীর সাথে ধাক্কা লাগে। ইউনাইটেড গোলরক্ষক হ্যারি গ্রেগ দুর্ঘটনার পরও চেতনা হারাননি এবং ভয়ভীতি সামলে নিয়ে তিনি ববি চার্লটন - যিনি মাত্র ১৮ মাস পূর্বে ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন এবং ডেনিস ভায়োলেট উভয়কে কাধে করে নিরাপদ স্থানে পৌছে দিয়ে জীবন রক্ষা করেন। ঘটনাস্থলেই সাত খেলোয়াড় মৃত্যুবরন করেন, এবং ডানকান এডওয়ার্ডস পরবর্তীতে হাসপাতালে মারা যান। রাইট উইঙ্গার জন বেরি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলেও তার ক্যারিয়ারের অকাল সমাপ্তি ঘটে। ম্যাট বাজবি মৃত্যুর খুব কাছাকাছি চলে গেলেও শেষপর্যন্ত দুই মাস হাসপাতালে থেকে বেঁচে ফিরে আসেন।

তখন দলটি বন্ধ করে দেয়ার গুজব উঠেছিল। কিন্তু ম্যাট বাজ্‌বি আঘাতগ্রস্থ থাকার সময় জিমি মারফি ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন এবং ম্যানচেস্টার দল ঘুরে দাঁড়ায়। এত কিছুর পরও তারা এফ.এ. কাপের ফাইনালে পৌছায় যাতে তারা বোল্টন ওয়ান্ডারার্স এর কাছে পরাজিত হয়। মৌসুম শেষে উয়েফা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থের সম্মানে এফএকে ইউনাইটেড ও তৎকালীন লীগ বিজয়ী উভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স দুটি দলকেই ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে খেলার সুযোগ দিতে চায়, কিন্তু এফএ তাতে অস্বীকৃতি জানায়। এই মৌসুমে ম্যনচেস্টার ইউনাইটেড লীগ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। যে দলের প্রথম একাদশের নয়জনকেই দুর্ঘটনায় হারিয়েছে সে দলের জন্য এ ফলাফল ভালোই বলা যায়।

ষাট দশকের শুরুর দিকে বাজ্‌বি ডেনিস লপ্যাট ক্রেরান্ড এর মত খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করে দলটি পুনর্গঠন করেন। এসময়কার বাজবির তরুন দলের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন বেলফাস্টের তরুন জর্জ বেস্ট। বেস্ট ছিলেন সহজাত অ্যাথলেট যা সহজে দেখা যায়না। তার সবচেয়ে দামী অস্ত্র ছিল বলের উপর তার নিয়ন্ত্রণ। একারনে বিপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যুহ্যে সামান্য ফাক থাকলেও বেস্ট তাতে ঢুকে পড়তেন। ১৯৬৩ সালে দল এফএ কাপ জিতে। ১৯৬৪ সালে দলটি লীগ রানার্স-আপ এবং ১৯৬৫১৯৬৭ সালে লীগ জিতে। ১৯৬৮ সালে ইউসেবিওর মত তারকাসমৃদ্ধ বেনফিকাকে ফাইনালে ৪-১ গোলে হারিয়ে ইউনাইটেড ইউরোপীয়ান কাপ জিতে যা কোন ইংরেজ ক্লাবের জন্য প্রথম ইউরোপীয় শিরোপা। এই দলটি তিনজন ইউরোপীয় বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের জন্য বিখ্যাতঃ ববি চার্লটন, ডেনিস লজর্জ বেস্ট। বাজ্‌বি ১৯৬৯ সালে পদত্যাগ করলে রিজার্ভ-কোচ ও সাবেক ইউনাইটেড খেলোয়াড় উইলফ ম্যাকগিনেস দায়িত্ব গ্রহন করেন।

[সম্পাদনা] ১৯৬৯-১৯৮৬

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ব্যাজ, ১৯৭০ দশক
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ব্যাজ, ১৯৭০ দশক

বাজবি ম্যানেজারের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার পর উইলফ ম্যাকগিনেসের অধীনে দলটি ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে টিকে থাকার লড়াই করতে থাকে, এবং অষ্টম অবস্থানে লীগ শেষ করে। দলটি পরবর্তী ১৯৭০-৭১ মৌসুমেও দুর্বল সূচনা করে। ফলে ম্যাকগিনেসকে তার পূর্ববর্তী পদে ফিরিয়ে বাজবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। অবশ্য বাজবি কেবল ছয় মাস ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন, তবে তার ব্যবস্থাপনায় দলের ফলাফল কিছুটা ভাল হয়। ১৯৭১ সালের গ্রীষ্মে তিনি চিরতরে দল ছেড়ে দেন। এসময় ম্যানচেস্টার উচুমানের খেলোয়াড় নবি স্টিলেসপ্যাট ক্রেরান্ড কে দল থেকে হারায়।

সেল্টিকের ইউরোপীয়ান কাপজয়ী ম্যানেজার জক স্টেইনকে ইউনাইটেডের ম্যানেজারের দায়িত্ব নিতে প্রস্তাব দেয়া হয় এবং তিনি মৌখিক সম্মতি দেন। শেষ মুহূর্তে তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ফ্রাঙ্ক ও'ফেরেলকে ম্যানেজার করা হয়। ম্যাকগিনেসের মত ও'ফেরেলও ১৮ মাসের কম সময়ের জন্য ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন, এবং ম্যানগিনেসের সময়ের সাথে তার তফাৎ হলো তিনি দলে নতুন মুখ মার্টিন বুকান (১২৫,০০০ পাউন্ডের বিনিময়ে আবেরডিন থেকে) নিয়ে আসতে পেরেছেন। ১৯৭২ সালের শেষের দিকে টমি ডোচার্টি ম্যানেজার হন। ডোচার্টি যিনি "দ্য ডক" (the Doc) নামে পরিচিত, ইউনাইটেডকে সেই মৌসুমে রেলিগেশন থেকে রক্ষা করেন কিন্তু ১৯৭৪ সালে তারা দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যান। এসময় দলের সোনালী ত্রয়ী (the golden trio) বেস্ট, ল এবং চার্লটন দলত্যাগ করেন। ডেনিস ল ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগদান করেন এবং ১৯৭৩ সালের গ্রীষ্মে ইউনাইটেডের বিপক্ষে একটি গোল করেন, যে গোলটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে দ্বিতীয় বিভাগে নামিয়ে দেয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। ডেনিস ল গোলটি করে বিনয়ের সাথে সিটি দলের গোলউৎসবে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকেন। সোনালী ত্রয়ীর স্থানে লু ম্যাকারি, স্টুয়ার্ট হাউস্টনব্রায়ান গ্রিনহফ আসলেও কখনই তাদের সমকক্ষ হতে পারেননি।

দ্বিতীয় বিভাগ থেকে দলটি প্রথম প্রচেষ্টাতেই প্রথম বিভাগে উন্নীত হয় এবং ১৯৭৬ সালে এফএ কাপের ফাইনালে উঠে, কিন্তু সাউদাম্পটনের কাছে পরাজিত হয়। ১৯৭৭ সালে তারা আবার ফাইনালে উঠে লিভারপুলকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। সফলতা ও সমর্থকদের কাছে জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও দলের ফিজিওথেরাপিস্টের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের কারনে ডোচার্টিকে বরখাস্ত করা হয়।

ডেভ সেক্সটন ১৯৭৭ সালের গ্রীষ্মে দলের ম্যানেজার হন এবং দলকে আরো রক্ষনাত্নক করেন। এই ধারা সমর্থকদের কাছে জনপ্রিয় ছিলনা কারন তারা ডোচার্টি ও বাজবির আক্রমনাত্নক ফুটবল দেখে অভ্যস্ত। সেক্সটন যে সমস্ত খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন জো জর্ডান, গর্ডন ম্যাককুইন, গ্যারি বেইলি এবং রে উইলকিনস। তার রক্ষণাত্নক ফুটবলের কারনে ম্যানচেস্টার লীগ তালিকায় মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে, কেবল একবার দ্বিতীয় অবস্থানে পৌছেছিল ও এফএ কাপের ফাইনালেও উঠেছিল যাতে তারা আর্সেনালের কাছে পরাজিত হয়। কোন ট্রফি না পাওয়ায় ১৯৮১ সালে সেক্সটনকে বরখাস্ত করা হয় যদিও শেষ ৭ খেলায় তিনি জয়লাভ করেন।

তার বদলে আসেন রন এটকিনসন যিনি তৎকালীন সর্বোচ্চ মূল্যে ওয়েস্ট ব্রম থেকে ব্রায়ান রবসনকে কিনেন। ডানকান এডওয়ার্ডসের পর রবসন ইউনাইটেডের সেরা মিডফিল্ডার হবেন বলে ধারনা করা হয়েছিল। এছাড়া দলে অন্তর্ভূক্ত হন জেসপার ওলসেন, পল ম্যাকগ্রাথগর্ডন স্ট্র্যাচান যারা সাবেক তরুন-দলের খেলোয়াড় নরম্যান হোয়াইটসাইডমার্ক হিউগস এর সাথে খেলেন। ১৯৮৩১৯৮৫ সালে ইউনাইটেড এফএ কাপ জিতে এবং পরপর ১০টি ম্যাচ জিতে অক্টোবরে দশ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করতে সক্ষম হয়, যা ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে তাদের লীগ জেতার আশা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দলের মান পড়ে যায় ও মৌসুমটি ইউনাইটেড চতুর্থ অবস্থানে শেষ করে। এই খারাপ মান পরবর্তী মৌসুমেও বিরাজ করে ও ইউনাইটেড রেলিগেশনের কিনারায় দাঁড়িয়ে যায়। এমতাবস্থায় ১৯৮৬ সালের নভেম্বরে এটকিনসনকে বরখাস্ত করা হয়।

[সম্পাদনা] এলেক্স ফার্গুসন যুগ, ত্রয়ীর পূর্বে (১৯৮৬-১৯৯৮)

এলেক্স ফার্গুসন আবেরডিন থেকে দলের ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন ও দলকে ১১তম অবস্থানে নিয়ে লীগ শেষ করেন। পরবর্তী মৌসুমে (১৯৮৭-৮৮) দলটি দ্বিতীয় স্থান দখল করে এবং জর্জ বেস্টের পর ব্রায়ান ম্যাকক্লেয়ার দ্বিতীয় ইউনাইটেড খেলোয়ার হিসেবে এক মৌসুমে লীগে ২০ গোল করেন।

অবশ্য পরের দুই মৌসুমে ইউনাইটেড আবার পরীক্ষার সম্মুখীন হয় এবং আরেকটু হলেই দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যেত। ফার্গুসনের চুক্তিবদ্ধ অনেক নতুন খেলোয়াড় প্রত্যাশানুযায়ী খেলতে পারেননি। ধরে নেয়া হয়েছিল ১৯৯০ এর শুরুতে ফার্গুসনকে বরখাস্ত করা হবে কিন্তু এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিরুদ্ধে ১-০ গোলের বিজয় তাকে বাঁচিয়ে দেয়। ইউনাইটেড এফএ কাপ জিতে নেয় ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারিয়ে দিয়ে।

১৯৯০-৯১ মৌসুমে উয়েফা কাপ উইনার্স কাপের ফাইনালে তৎকালীন স্প্যানিশ লীগ বিজয়ী বার্সেলোনাকে ইউনাইটেড হারিয়ে দিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। কিন্তু পরবর্তী মৌসুমে প্রতিদ্বন্দ্বী লিডস ইউনাইটেডের কাছে লীগে পরাজিত হয়। ১৯৯১ সালে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে দলের শেয়ার ছাড়া হয় ও ক্লাবটির সম্পত্তির পরিমান নির্ণয় করা হয় ৪৭ মিলিয়ন পাউন্ড।[১১] এতে দলের আর্থিক অবস্থা জনগনের কাছে প্রকাশ পায়।

১৯৯২ সালের নভেম্বরে এরিক ক্যান্টোনার আগমনের পর ক্লাবটি যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায়। গ্যারি প্যালিস্টার, ডেনিস ইরউইনপল ইন্স এর সাথে নতুন উদীয়মান তারকা রায়ান গিগস এর সমন্বয়ে গড়া দলটি ১৯৬৭ এর পর প্রথম লীগ চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে। পরবর্তী মৌসুমে তারা প্রথমবারের মত দ্বৈত (লীগ ও এফএ কাপ) শিরোপা অর্জন করে। এসময় নটিংহ্যাম ফরেস্ট থেকে দলে অন্তর্ভুক্ত হন রয় কিন যিনি পরবর্তীতে দলের অধিনায়ক হন। একই বছরে ক্লাবের কিংবদন্তী ম্যানেজার ও ক্লাব প্রেসিডেন্ট স্যার ম্যাট বাজবি পরলোকগমন করেন জানুয়ারি ২০, ১৯৯৪ তারিখে।

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে ক্রিস্টাল প্যালেসের সমর্থক ম্যাথু সিমন্স ক্যান্টোনার প্রতি বর্ণবাদী খারাপ ভাষা ব্যবহারের করলে ক্যান্টোনা তাকে আঘাত করেন এবং তাকে আটমাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তাদের শেষ লীগ ম্যাচ প্রত্যাহার ও এভারটনের কাছে এফএ কাপের ফাইনালে হেরে ইউনাইটেড এফএ ও লীগ দুটোতেই রানার্স আপ হয়। ফার্গুসন দলের প্রধান খেলোয়ারদের বেচে দিয়ে সমর্থকদের শত্রুতে পরিনত হন। এসব খেলোয়াড়দের বদলে তিনি যুব-দলের খেলোয়াড়দের আনেন যার মধ্যে ছিলেন ডেভিড বেকহ্যাম, গ্যারি নেভিল, ফিল নেভিলপল স্কোলস। এই নতুন খেলোয়াড়েরা দ্রুত ইংল্যান্ড দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিনত হন এবং আশ্চর্যজনক সফলতা দেখান। ফলে ইউনাইটেড ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে আবার দ্বৈত শিরোপা জিতে। ইউনাইটেড প্রথম ইংরেজ ক্লাব যারা দু'বার দ্বৈত শিরোপা লাভ করে, এবং তাদেরকে ডাব্‌ল ডাব্‌ল নামে ডাকা শুরু হয়।[১২]

১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে তারা আবার লীগ জেতে ও এরিক ক্যান্টোনা ৩০ বছর বয়সে অবসরের ঘোষনা দেন। তারা পরবর্তী মৌসুম ভালোভাবে শুরু করলেও আর্সেনালের পরে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।

[সম্পাদনা] ত্রয়ী (১৯৯৮-৯৯)

১৯৯৮-৯৯ মৌসুম ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য ইংরেজ ক্লাবের ইতিহাসে সফলতম মৌসুম। তারা প্রথম ও একমাত্র ইংরেজ ক্লাব যারা একই মৌসুমে ত্রয়ী (ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, এফএ কাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ) জিতে নেয়। খুব উত্তেজনাপূর্ণ প্রিমিয়ার লীগ মৌসুম শেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিরোপা জিতে টোটেনহাম হটস্পারকে ২-১ গোলে হারিয়ে, যেখানে আর্সেনাল ১-০ ব্যবধানে জিতে এস্টন ভিলা বিপক্ষে। ফার্গুসনের মতে ত্রয়ীর প্রথম অংশ লীগ শিরোপা জেতাটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল। টেডি শেরিংহ্যামপল স্কোলস এর গোলে ২-০ ব্যবধানে নিউকাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ফাইনালে এফএ কাপ জিতে ইউনাইটেড। মৌসুমের শেষ খেলা ছিল বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মধ্যকার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল। এতে ইউনাইটেড বায়ার্নের বিপক্ষে জয়লাভ করে এবং খেলাটি ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। মারিও বাসলারের ফ্রি-কিক থেকে পাওয়া গোলে বায়ার্ন এগিয়ে যাওয়ার পরে ৮৫ মিনিট ধরে ইউনাইটেড প্রতিআক্রমন চালায়। ৯০ মিনিটের পর তারা একটি কর্নার কিক পায়। তখন শেষের দিকের বদলী খেলোয়াড় টেডি শেরিংহ্যাম গোল করেন। হাল না ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আক্রমন চালায় ও আরেকটি কর্ণার পায়। আরেকজন পরিবর্তিত খেলোয়াড় ওলে গানার সলশেয়ার বলকে জালে জড়াতে সক্ষম হন। ফার্গুসনকে এই ত্রয়ী জেতার জন্য ও ফুটবলে অবদানের জন্য পরবর্তীতে নাইটহুড প্রদান করা হয়। এছাড়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টোকিওতে অনুষ্টিত ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ফাইনালে পালমেরাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়।

[সম্পাদনা] ত্রয়ীর পর (১৯৯৯-বর্তমান)

ইউনাইটেড ২০০০ ও ২০০১ মৌসুমে আবার লীগ জিতে কিন্তু সাংবাদিকদের দৃষ্টিতে তাদের এই মৌসুমকে ব্যর্থ বলা হয়েছে কারন তারা ইউরোপীয়ান কাপ ধরে রাখতে পারেনি। ২০০০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও সহযোগী ইউরোপের আরো ১৩টি দল মিলে ১৪ দলের জি-১৪ গ্রুপ গঠন করে।[১৩] ফার্গুসন আরো রক্ষনাত্নক দল গঠন করেন যাতে ইউনাইটেডকে ইউরোপে হারানো কঠিন হয়, তবুও তিনি সফল হননি এবং ইউনাইটেড ২০০১-০২ মৌসুমে তৃতীয় স্থান দখন করে। তার ২০০২-০৩ মৌসুমে আবার লীগ দখল করে ও পরবর্তী মৌসুমের শুরুটাও ভালো হয়। কিন্তু রিও ফার্ডিনান্ড ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হলে তার ওপরে আট মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে তাদের খেলার মান খারাপ হয়। তারা ২০০৪ মৌসুমে আবার এফএ কাপ জিতে।

২০০৪-০৫ মৌসুমে ম্যানচেস্টার গোল করতে ব্যর্থ হয় যার মূল কারন ছিল প্রধান স্ট্রাইকার রুড ভ্যান নিস্তেলরয়ের ইনজুরি। এই মৌসুমে ইউনাইটেড কোন শিরোপা পায়নি এবং তারা লীগে তৃতীয় হয। এমনকি সান্তনা পুরস্কারের মত এফএ কাপ খেলার ফাইনালে তারা আর্সেনালের কাছে ১২০ মিনিট গোলশূন্য থেকে টাইব্রেকারে হেরে যায়। খেলার বাইরে এ সময় প্রধান আলোচিত বিষয় ছিল ম্যালকম গ্লেজারের (যিনি আমেরিকার ফুটবল দল ট্যাম্পা বে বাকানিয়ার্স এরও মালিক) ক্লাব কিনে নেয়ার প্রসঙ্গ।

২০০৫-০৬ মৌসুমে ম্যানচেস্টার দুর্বল সূচনা করে যার একটি কারন ছিল মিডফিল্ডার রয় কিনের দলত্যাগ। রয় কিন প্রকাশ্যে দলের কিছু সদস্যের সমালোচনা করার কারনে তার শৈশবের প্রিয় দল সেল্টিকে চলে যান। দলটি এসময় উয়েফা লীগের নকআউট পর্যায়ে ঊঠতে ব্যর্থ হয় যা ক্লাবের বিগত এক যুগের ইতিহাসে প্রথম। এসময় দলের প্রধান খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ, অ্যালান স্মিথ, রায়ান গিগসপল স্কোলস ইনজুরিতে পড়েন। কিন্তু গত ১৭ বছরের না পাওয়া লীগ কাপ তারা ২০০৬ মৌসুমে দখল করে প্রিমিয়ারশিপে সদ্য উত্তীর্ণ দল উইগান এথলেটিককে ৪-০ গোলে পরাস্ত করে। লীগে তারা দ্বিতীয় স্থান দখন করে ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে উত্তীর্ন হয় লীগের শেষদিনে চার্লটন এথলেটিককে ৪-০ গোলে পরাস্ত করে। ২০০৫-০৬ মৌসুমের শেষে এলেক্স ফার্গুসনের সাথে মনোমালিন্য হওয়ার কারনে ইউনাইটেডের অন্যতম প্রধান স্ট্রাইকার রুড ভ্যান নিস্তেলরয় দলত্যাগ করে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন।[১৪]

প্রিমিয়ার লীগ ২০০৬-০৭ মৌসুমে ইউনাইটেড আবার আক্রমণাত্বক ফুটবল উপহার দেয় যা ১৯৯০ দশকে তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল। এসময় তারা ৩২ খেলায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেলসির তুলনায় প্রায় ২০ গোল বেশি করে। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ইউনাইটেড দুই মাসের জন্য হেলসিংবর্গ দল থেকে সুইডেনের খেলোয়াড় হেনরিক লারসনকে ধারে আনে, যিনি ইউনাইটেডকে চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে উন্নীত করতে সাহায্য করেন[১৫] এবং তিনি ইউনাইটেডের দ্বিতীয় ত্রয়ী জেতার স্বপ্নে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। ১১ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে উন্নীত হয়। তবে তারা সেমিফাইনালে এসি মিলানের বিরুদ্ধে প্রথম লেগ জেতার পর দ্বিতীয় লেগে হেরে যায় এবং ত্রয়ীর স্বপ্নভঙ্গ হয়।[১৬]

ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পঞ্চাশ বছরপুর্তি উপলক্ষে ইউনাইটেড মার্সেলো লিপ্পির অধীনে ইউরোপীয়ান একাদশের সাথে সৌজন্য ম্যাচ খেলে মার্চ ১৩ ২০০৭ সালে। এ খেলায় ইউনাইটেড ৪-৩ গোলে জয়ী হয় যেখানে রুনি ২ গোল করেন।[১৭].

তাদের সর্বশেষ লীগ শিরোপা জেতার চার বছর পর ইউনাইটেড ২০০৭ সালের ৬ মে তারিখে লীগ শিরোপা নিশ্চিত করে, যখন চেলসি ও আর্সেনালের মধ্যকার খেলা ড্র হয়। এর ফলে চেলসি উইনাইটেডের চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে গিয়েছিল। ১৫টি প্রিমিয়ারশিপ মৌসুমে এটি ইউনাইটেডের নবম শিরোপা। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের চতুর্থ দ্বৈত অর্জনে ব্যর্থ হয় যখন এফএ কাপের ফাইনালে তারা চেলসির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়। এটি ছিল নতুন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলা। ইংল্যান্ড ৭ বছর আগে সংস্কারের উদ্দেশ্যে পুরোনো ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ভেঙ্গে ফেলেছিল।

২০০৭ সালের জুলাই মাসে ইউনাইটেডের এশিয়া ভ্রমনের কথা রয়েছে। তারা চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার কথা। তবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ২০০৭ সালের ৯ মে তারিখে এই ভ্রমনের বিরুদ্ধে যায় এই বলে যে সদ্য প্রিমিয়ারশিপ চ্যাম্পিয়ানের কারনে প্রতিযোগিতাটি থেকে দৃষ্টি সরে যাবে।[১৮]

[সম্পাদনা] ম্যালকম গ্লেজার অধিগ্রহন

১৩ মে ২০০৫ তারিখে ব্যবসায়ী ম্যালকম গ্লেজার তার বিনিয়োগ কোম্পানি রেড ফুটবল এর মাধ্যমে ক্লাবে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী হন। তিনি বিনিয়োগ করেন প্রায় ৮০০ মিলিয়ন পাউন্ড (১.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ১৬ মে তিনি তার শেয়ারের পরিমান বৃদ্ধি করে ৭৫% করেন যা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য যথেষ্ট। এভাবে ম্যান ইউ আবার প্রাইভেট কোম্পানীতে রুপান্তরিত হয়। ৮ জুন তিনি তার সন্তান জোয়েল গ্লেজার, এভ্রাম গ্লেজার ও ব্রায়ান গ্লেজারকে ম্যানচেস্টারের অনির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। ধরে নেয়া হয়েছিল যে জোয়েল নতুন চেয়ারম্যান হবেন কিন্তু তা কখনো হয়নি। একই সময়ে স্যার রয় গার্ডনার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন অনির্বাহী পরিচালক জিম ও'নিল ও ইয়ান মাচ দের সঙ্গে নিয়ে। ম্যালকম গ্লেজার এন্ডি এনসনকে পুনরায় বানিজ্যিক ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেন এজিএম-পূর্ব সময়ে তাকে বরখাস্ত করে। তিনি প্রধান নির্বাহী ডেভিড গিল ও অর্থনৈতিক পরিচালক নিক হামবি কে তাদের পদে বহাল রাখেন।

জুলাই ২০০৬ এ দলটি তাদের নতুন অর্থনৈতিক কর্মপরিকল্পনা ঘোষনা দেয়। পুর্বে নেয়া ঋণকে ক্লাব ও গ্লেজার পরিবারের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। মোট ঋণের পরিমান দাঁড়ায় ৬৬০ মিলিয়ন পাউন্ড, যায় সুদ হয় ৬২ মিলিয়ন পাউন্ড প্রতি বছরে। এর মাধ্যমে সুদের ৩০% হ্রাস ঘটে।

[সম্পাদনা] ক্লাব ক্রেস্ট ও রঙ

নিউটন হীথ থাকাকালীন দলটির পোশাক ছিল হলুদ ও সবুজ রঙের। ১৯৯০ সালে দলটির শতবার্ষিকী উপলক্ষে পুণরায় অ্যাওয়ে পোশাক হিসেবে এই রং ব্যবহার করা হয়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবচেয়ে পরিচিত পোশাক হচ্ছে লাল জার্সি, সাদা শর্টস ও কালো মোজা। অ্যাওয়ে পোশাক হয় সাধারনত সাদা জার্সি, কালো শর্টস ও সাদা মোজা।

তৃতীয় পোশাক সাধারনত পুরোপুরি নীল রঙের হয়, তবে তারা পুরোপুরি কালো এবং ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে পুরোপুরি ধুসর রঙের পোশাকও পরেছিল। তবে ধুসর পোশাক পড়ে একবারও জিততে না পারায় এটি বাদ দেয়া হয়। সাউদাম্পটনের সাথে একটি খেলায় ম্যানচেস্টার ধুসর পোশাক পড়ে খেলে ৩-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। খেলার মধ্যবিরতিতে তারা পোশাক পরিবর্তন করে নীল-সাদা পোশাক পড়ে ও বাকী খেলা খেলে। শেষ পর্যন্ত তারা ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়। খেলোয়াড়দের মতে ধুসর পোশাক ঠিকমত দেখা যায় না ফলে ফলাফল ভাল হয় না।[১৯][২০]

তাদের জার্সির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বর্তমানে এআইজি। বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি লাল রঙের, নিচের দিকে সোনালী দাগ কাটা। এআইজিনাইকির লোগো সাদা রঙের। জামার নিচের দিকে MUFC সোনালী রঙে এমব্রয়ডারী করা। অ্যাওয়ে পোশাক হচ্ছে সাদা জার্সি। এআইজি, নাইকি কালো রঙের। জামার উপরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্রেস্ট লাগানো থাকে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্রেস্ট বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান আকারে এসেছে। তবে মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রয়েছে। এই ব্যাজের কাঠামো ম্যানচেস্টার শহরের ক্রেস্টের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রেড ডেভিল নাম থেকেই ব্যাজে ডেভিলের প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। ষাট দশকে ম্যাট বাজবি স্যালফোর্ড সিটি রেড নামের লাল পোশাকের একটি রাগবি দল থেকে এই ধারনার জন্ম দেন। ১৯৬০ দশকের শেষভাগে এই লাল দানব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছিল। ১৯৭০ সালে প্রাতিষ্ঠানিকরূপে দলের ব্যাজে এই লাল দানবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালে ব্যাজটিকে পরিবর্ধিত করা হয়। এসময় ফুটবল ক্লাব শব্দদুটি ব্যাজ থেকে বাদ দেয়া হয়।[২১]

[সম্পাদনা] স্টেডিয়াম

এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: ওল্ড ট্রাফোর্ড (ফুটবল)
ওল্ড ট্রাফোর্ড
স্বপ্নের থিয়েটার
সাম্প্রতিক সম্পসারণের পর ওল্ড ট্রাফোর্ড
অবস্থান স্যার ম্যাট বাজবি ওয়ে,
ওল্ড ট্রাফোর্ড, ম্যানচেস্টার,
গ্রেটার ম্যানচেস্টার,
ইংল্যান্ড
নির্মান শুরু ১৯০৯
খেলা শুরু ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯১০
মালিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
ব্যবস্থাপনা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
নির্মান খরচ ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড(£)
স্থাপত্যবিদ আর্চিবল্ড লিচ
দল
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (প্রিমিয়ার লীগ) (১৯১০-বর্তমান)
ধারনক্ষমতা
৭৬,২১২[২২]


ক্লাবটি যখন প্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেসময়কার নিউটন হীথ ক্লাবটি নিউটন হীথ শহরের কাছে নর্থ রোডের একটি ছোট মাঠে হোম ম্যাচ খেলত। বর্তমানে এই মাঠের কাছে ম্যানচেস্টার পিকাডলি স্টেশন অবস্থিত। বিপক্ষ দল মাঠটি নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ করতে যে, মাঠের একপ্রান্তে নরম কাদার মত আরেক প্রান্ত কঠিন শিলার মত শক্ত।[৮] এছাড়া সাজ ঘরটি নিয়েও গর্ব করার মত কিছু ছিলনা। এটি ছিল স্টেডিয়াম থেকে দশ মিনিটের হাঁটা পথে ওল্ডহ্যাম রোডের থ্রি কাউনস পাবে। এই পরে ওল্ডহ্যাম রোডের আরেকটি পাব শিয়ার্স হোটেলে স্থানান্তর করা হয়। তবে ফুটবল লীগে খেলার জন্য ক্লাবে অবকাঠামোগত পরিবর্তন দরকার ছিল।

১৮৭৮ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত পনের বছর ধরে নিউটন হীথ নর্থ রোডে খেলেছে। ফুটবল লীগে ঢোকার একবছর তারা স্টেডিয়াম পরিবর্তন করে ক্লেটনের কাছে ব্যাংক স্ট্রিটে নিয়ে যায়। নতুন মাঠটিও তেমন আহামরি কিছু ছিলনা, কেবল বালুময় মাঠের স্থানে ঘাস লাগানো ছিল। স্টেডিয়ামের পাশের কারখানা থেকে ধোয়া এসে স্টেডিয়ামে মেঘের মত তৈরি হত। এক সময়, পরিস্থিতি এতই খারাপ ছিল যে ওয়ালসল টাউন সুইফটস দলটি এখানে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আরেক স্তর বালি বিছানোর পর ওয়ালসল খেলতে রাজী হয় এবং ১৪-০ গোলে পরাজিত হয়। তারা এই ফলাফলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় এবং তাদের পরাজয়ের জন্য মাঠকেই দায়ী করে। পরে খেলাটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত খেলাতেও পরিবেশ ততটা ভালো ছিলনা, এবং এতে ওয়ালসল ৯-০ ব্যবধানে আবার পরাজিত হয়।[৮]

১৯০২ সালে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার সময় ব্যাংক স্ট্রিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন অধিনায়ক হ্যারি স্ট্যাফোর্ডের কল্যাণে ক্লাবটি বেঁচে যায়, যিনি অর্থকড়ি যোগাড় করে সিটি এবং ব্ল্যাকপুলের জন্য পার্শ্ববর্তী হ্যারপারহে স্টেডিয়াম ভাড়া করেন।[২৩]

বিনিয়োগের পর ক্লাবটি নিজ পায়ে দাড়ানোর চেষ্টা করে, এবং নিজেদের নাম পরিবর্তন করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রাখে। কিন্তু তখনও তারা কোণ মানসম্মত স্টেডিয়ামের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ইউনাইটেডের প্রথম এফএ কাপের ছয় সপ্তাহ আগে, ১৯০৯ সালের এপ্রিলে ওল্ড ট্রাফোর্ডকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নিজস্ব মাঠ হিসেবে ঘোষনা দেয়া হয়। এজন্য ৬০,০০০ পাউন্ড খরচ করে জমির বন্দোবস্ত করা হয়। ইউনাইটেড চেয়ারম্যান জন হেনরি ডেভিস স্থাপত্যবিদ আর্কিবল্ড লিচকে মাঠের নকশা প্রণয়নের দায়িত্ব দেন এবং এ বাবদ ৩০,০০০ পাউন্ড বাজেট ঘোষনা করেন। মূল পরিকল্পনা ছিল ১০০,০০০ আসনের স্টেডিয়াম বানানোর, পরে আসন সংখ্যা হ্রাস করে ৭৭,০০০ করা হয়। তাসত্ত্বেও স্টেডিয়ামের রেকর্ড দর্শক সংখ্যা ৭৬,৯৬২ যা বর্তমানে স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক ধারনক্ষমতারও বেশি। ম্যানচেস্টারের মেসার্স ব্রামেল্ড এন্ড স্মিথ স্টেডিয়ামের নির্মাণ করেছে। স্টেডিয়াম যখন উদ্বোধন করা হয় তখন এর দাঁড়ানো আসনের টিকিটের দাম ছিল ৬ পেন্স এবং গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে সবচেয়ে বিলাসবহুল আসনের মূল্য ছিল ৫ শিলিং। উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি লিভারপুলের বিরুদ্ধে যাতে ইউনাইটেড ৪-৩ গোলে পরাজিত হয়। এ মাঠে খেলা অনুষ্ঠানের জন্য তাড়াহুড়ো করতে হয়েছে কেননা ব্যাংক স্ট্রিটে উইনাইটেডের শেষ খেলার পর প্রধান গ্যালারি ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল।[২৪]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালের ১১ মার্চ বোমার আঘাতে প্রধান স্ট্যান্ডসহ স্টেডিয়ামের অনেকাংশ গুড়িয়ে যায়। দক্ষিণ স্ট্যান্ডের সেন্ট্রাল টানেলটিই, যা স্টেডিয়ামের এক চতুর্থাংশ মাত্র, কেবল অক্ষত ছিল। ১৯৪৯ সালে স্টেডিয়ামটি পুনঃনির্মিত হয়, যার অর্থ হল দশ বছর ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেডের কোন নিজস্ব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এসময় ক্লাবটির সব হোম ম্যাচ ম্যানচেস্টার সিটির নিজস্ব মাঠ মেইন রোডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরে খেলার জন্য ম্যানচেস্টার সিটিকে ৫০০০ পাউন্ড এবং প্রবেশমূল্যের কিছু অংশ দিতে হয়েছে। ইউনাইটেড যুদ্ধ পুনর্বাসন কমিশনে আবেদন করে এবং স্টেডিয়ামের পুনঃনির্মানের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২,২৭৮ পাউন্ড অর্থ লাভ করে।[২৫]

পরবর্তীতে স্টেডিয়ামে উন্নতির ছোয়া লাগতে শুরু করে এবং স্ট্রেডফোর্ড প্রান্তে ছাদ লাগানো শুরু হয়। এর পর উত্তর ও পূর্ব প্রান্তেও ছাদ লাগানো হয়। কিন্তু পুরানো ধাঁচের ছাদের ফলে অনেক দর্শকের খেলা দেখতে অসুবিধা হত, ফলে নকশার উন্নতি করে ক্যান্টিলিভারের সাহায্যে ছাদ দেয়া হয় যা আজও আছে। স্ট্রেটফোর্ড প্রান্তে সবার শেষে ক্যান্টিলিভারের ছাদ লাগানো হয়েছে, যা ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের শুরুতে সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে[২৬]

১৯৫০ দশকের মাঝামাঝি মাঠে ফ্লাডলাইট বসানো হয়। চারটি ১৮০-ফুট উচ্চ পাইলন বসানো হয় যার প্রতিটি ৫৪টি ফ্লাডলাইটের সমন্বয়ে গঠিত ছিল। পুরো স্টেডিয়ামকে ফ্লাডলাইটের আওতায় আনতে ৪০,০০০ পাউন্ড খরচ হয় এবং ১৯৫৭ সালের ১৫ মার্চ এটি প্রথম ব্যবহার করা হয়। তবে ১৯৮৭ সালে পুরানো ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা বাতিল করা হয় এবং প্রতিটি স্ট্যান্ডের ছাদে ফ্লাডলাইট লাগিয়ে আধুনিক ব্যবস্থাপনার আলোকসজ্জা স্থাপিত হয়, যা আজও টিকে আছে।

১৯৯০ সালে হিলসবোরো দুর্ঘটনার পর প্রতিটি স্টেডিয়ামে বাধ্যতামূলকভাবে বসার আসন রাখার সরকারী আদেশ জারী করা হয়। এর ফলে স্টেডিয়ামে আরো উন্নয়ন কার্যক্রম চলে এবং ধারনক্ষমতা হ্রাস পেয়ে ৪৪,০০০ এ নেমে আসে। তবে ক্লাবের জনপ্রিয়তার কারনে আরো উন্নয়ন করা ছাড়া উপায় ছিল না। ১৯৯৫ সালে উত্তর প্রান্ত পুনঃনির্মিত করে তিন ভাবে ভাগ করা হয় ফলে ধারন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫,০০০ দর্শকে। এরপর প্রথমে পূর্ব ও পরে পশ্চিম স্ট্যান্ড বর্ধিত করে মোট ৬৮,০০০ দর্শকের স্টেডিয়ামে পরিনত হয়। সর্বসাম্প্রতিককালে ২০০৬ সালে আরো সম্প্রসারণ কাজ চলে এবং উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম স্ট্যান্ড উম্মুক্ত করার পর রেকর্ড দর্শক হয়েছে ৭৬,০৯৮, যা স্টেডিয়ামের ধারনক্ষমতার তুলনায় মাত্র ২০৪ টি কম।[২৬]

হিসাব করে দেখা গেছে যে স্টেডিয়ামের, বিশেষ করে দক্ষিণ প্রান্তের, যা এখনো মাত্র একধাপ উঁচু, উন্নতি করতে গেলে ১১৪ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ পড়বে যা গত চোদ্দ বছরে স্টেডিয়াম সম্প্রসারনের জন্য ব্যয়িত মোট অর্থের প্রায় সমান। এর কারন উন্নতি করতে গেলে ক্লাবকে স্টেডিয়ামের লাগোয়া প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ী কিনতে হবে যা জনজীবনকে ব্যহত করবে। এছাড়া যেকোন সম্প্রসারণ করতে গেলে রেল লাইনের উপর দিয়ে করতে হবে যেটি স্টেডিয়ামের কাছ দিয়ে যায়। আদর্শভাবে হিসেব করলে এই সম্প্রসারণের ফলে দক্ষিণ প্রান্ত কমপক্ষে দুই ধাপে বর্ধিত হবে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম, এবং দক্ষিণ-পূর্ব কোণের এলাকাও বৃদ্ধি পাবে, এবং স্টেডিয়ামটি বাটি এর মত আকার পাবে। বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ধারনক্ষমতা দাঁড়াবে ৯৬,০০০ দর্শকে যা একে ধারনক্ষমতার দিক দিয়ে নবনির্মিত ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম থেকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।[২৬]

[সম্পাদনা] পৃষ্ঠপোষকতা

২৩ নভেম্বর ২০০৫ সালে ম্যান ইউর সাথে ভোডাফোনের চার বছর মেয়াদী £৩৬ মিলিয়ন পাউন্ডের শার্টের পৃষ্ঠপোষকতা চুক্তি শেষ হয়। ৬ এপ্রিল ২০০৬ তারিখে প্রধান নির্বাহী ডেভিড গিল এআইজি কে দলের নতুন শার্ট পৃষ্ঠপোষক [২৭] হিসেবে ঘোষনা দেন। এটি ৫৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৪ বছর মেয়াদী চুক্তি (প্রতি বছরে ১৪.১ মিলিয়ন পাউন্ড)। বর্তমানে ম্যানচেস্টারের এই চুক্তিটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষকতা চুক্তি যা নিকটতম জুভেন্টাসের চেয়ে বেশি যারা প্রতিবছর ১২.৮ মিলিয়ন পাউন্ড পায় Tamoil এর কাছ থেকে।[২৮]। এই চার বছর মেয়াদী চুক্তিটি ব্রিটিশ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ আগে যেটি ছিল চেলসির সাথে স্যামসাং এর। কিন্তু গ্লেজার ক্লাবটি কিনতে যে এক বিলিয়ন ডলার ধার নিয়েছিলেন তার কারনে এই চুক্তি খুব বড় কিছু নয় ক্লাবটির জন্য।

অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চুক্তি আছেঃ

  • এআইজি (AIG) - প্রধান পৃষ্ঠপোষক
  • নাইকি (Nike) - অফিসিয়াল খেলার পোষাক
  • অদি (Audi) - অফিসিয়াল গাড়ী সরবরাহকারী
  • বাডউইজার (Budweiser) - অফিসিয়াল বিয়ার
  • এয়ারএশিয়া (AirAsia) - অফসিয়াল বিমান পরিবহন
  • বেটফ্রেড (Betfred) - অফিসিয়াল বেটিং
  • ট্যুরিজম মালয়শিয়া (Tourism Malaysia) - অফিসিয়াল ভ্রমণ
  • সেঞ্চুরি রেডিও (Century Radio) - অফিসিয়াল বেতারকেন্দ্র
  • ভায়াগোগো (viagogo) - টিকেট
  • রয়াল রিজর্ট (Royal Resorts) - অফিসিয়াল অবকাশ যাপন

[সম্পাদনা] সমর্থক

খরচ, সময় ও পর্যাপ্ত গাড়ির অভাবের কারনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে খুব কম সংখ্যক ইংরেজ সমর্থকই এওয়ে খেলা দেখতে যেতেন। যেহেতু সিটি ও ইউনাইটেড এর খেলা পর পর দুই শনিবারে হত ম্যানচেস্টারের অধিবাসীরা এক সপ্তাহে সিটি ও অন্য সপ্তাহে ইউনাইটেড এর খেলা দেখতেন। যুদ্ধের পর দলগুলোর মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীতা শুরু হয় এবং সমর্থকদের মাঝে কেবল একটি দলকে সমর্থন করার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।

যখন ইউনাইটেড ১৯৫৬ সালে লীগ জিতে তখন তারা সর্বোচ্চ গড় দর্শকের রেকর্ড গড়ে যা আগে ছিল নিউকাসল ইউনাইটেড এর দখলে। ১৯৫৮ সালের মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনার পরে অনেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সমর্থন করা শুরু করে এবং খেলা দেখতে যায়। এভাবে ক্লাবের পক্ষে প্রবল জনসমর্থন গড়ে ওঠে এবং এই কারনে আজও ম্যানচেস্টারের গড় দর্শক সবচেয়ে বেশি। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ২য় বিভাগে নেমে গেলেও তাদের জনসমর্থনে তেমন ভাটা পড়েনি।[৫]

১৯৯০ দশকের শেষে ও ২০০০ দশকের শুরুতে সমর্থকের অনেকেই দলের মালিকানায় পরিবর্তনের জন্য চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। সমর্থকদের গ্রুপ আই.এম.ইউ.এস.এ. বা (ইন্ডিপেন্ডেন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সাপোর্টার্স এসোসিয়েশন) ১৯৯৮ সালে রুপার্ট মুরডকের প্রস্তাবিত ক্লাব অধিগ্রহণে সক্রিয়ভাবে বাধা প্রদান করেছে। আরেকটি গ্রুপ শেয়ারহোল্ডারস ইউনাইটেড এগেইনস্ট মুরডক (যা পরে শেয়ারহোল্ডারস ইউনাইটেড এবং বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সাপোর্টারস ট্রাস্ট নামকরণ হয়েছে) নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এবং সমর্থকদের ক্লাবের শেয়ার কিনতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এর একটি কারন ছিল টিকিটের দাম ও বিন্যাস প্রভৃতি বিষয়ে সমর্থকদের দাবী ক্লাবে উত্থাপন, এবং আর কারও পক্ষে ক্লাবের শেয়ার কিনে মালিকানা গ্রহণের পথ কষ্টসাধ্য করা। তবে এত চেষ্টার পরেও তা ম্যালকম গ্লেজারকে দলের অধিকাংশ শেয়ার কেনা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অনেক সমর্থক এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এফ.সি. ইউনাইটেড অব ম্যানচেস্টার নামে আরেকটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন।

নতুন মালিকের প্রতি রোষ সত্ত্বেও দর্শক সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে এবং দলের ভাল খেলার কারনে সমর্থকদের মাঝে নতুন করে উদ্দীপনার জন্ম হয়েছে। সাম্পতিক সময়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডের পরিবেশ নিয়ে বেশ বিতর্ক উঠেছিল, তবে ২০০৬/০৭ মৌসুমের উত্তেজনাপূর্ণ সমাপ্তিতে বিতর্ক থেমে গেছে। প্রতি মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকের নতুন করে দলের গান লিখেন, যা একটি ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছে।

[সম্পাদনা] নারী দল

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড লেডীস ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ২০০১/০২ মৌসুমে মূল দলের অংশ হিসেবে গৃহীত হয়।

[সম্পাদনা] খেলোয়াড়

[সম্পাদনা] বর্তমান দল

৯ জুলাই ২০০৭ পর্যন্ত, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে।[২৯][৩০][৩১]

নং অবস্থান খেলোয়াড়
নেদারল্যান্ড এর পতাকা গো এডউইন ভ্যান ডার সার
ইংল্যান্ড এর পতাকা গ্যারি নেভিল (অধিনায়ক)
ফ্রান্স এর পতাকা প্যাট্রিস এভরা
আর্জেন্টিনা এর পতাকা গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ
ইংল্যান্ড এর পতাকা রিও ফার্ডিনান্ড
ইংল্যান্ড এর পতাকা ওয়েস ব্রাউন
পর্তুগাল এর পতাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ফ্রান্স এর পতাকা লুইস সাহা
১০ ইংল্যান্ড এর পতাকা ওয়েন রুনি
১১ ওয়েলস এর পতাকা রায়ান গিগস (সহ-অধিনায়ক)
১৩ দক্ষিণ কোরিয়া এর পতাকা পার্ক জি-সুং
১৪ ইংল্যান্ড এর পতাকা অ্যালান স্মিথ
১৫ সার্বিয়া এর পতাকা নেমানজা ভিডিচ
১৬ ইংল্যান্ড এর পতাকা মাইকেল ক্যারিক
১৭ পর্তুগাল এর পতাকা ন্যানি
১৮ ইংল্যান্ড এর পতাকা পল স্কোলস
নং অবস্থান খেলোয়াড়
১৯ ইতালি এর পতাকা গিউসেপ রসি
২০ নরওয়ে এর পতাকা ওলে গানার সলশেয়ার
২১ গণচীন এর পতাকা ডং ফ্যাংঝুও
২২ আয়ারল্যান্ড এর পতাকা জন ও'শি
২৩ ইংল্যান্ড এর পতাকা কিয়েরেন রিচার্ডসন
২৪ স্কটল্যান্ড এর পতাকা ড্যারেন ফ্লেচার
২৬ ইংল্যান্ড এর পতাকা ফিল বার্ডসলে
২৭ ফ্রান্স এর পতাকা মিকায়েল সিলভেস্ত্রে
২৮ স্পেন এর পতাকা জেরার্ড পিক
২৯ পোল্যান্ড এর পতাকা গো টমাস কুসচাক
৩২ উত্তর আয়ারল্যান্ড এর পতাকা ক্রেগ ক্যাথকার্ট
৩৩ ইংল্যান্ড এর পতাকা ক্রিস ঈগলস
ইংল্যান্ড এর পতাকা গো বেন ফস্টার
ইংল্যান্ড এর পতাকা ওয়েন হারগ্রিভস
ব্রাজিল এর পতাকা অ্যান্ডারসন

[সম্পাদনা] বিখ্যাত সাবেক খেলোয়াড়

বিখ্যাত সাবেক খেলোয়াড় সম্পর্কে জানতে দেখুনঃ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় তালিকা এবং Category:ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড়

[সম্পাদনা] ক্লাব অধিনায়ক

সময়কাল নাম টুকিটাকি
১৮৭৮-১৮৯৬ অজানা
১৮৯৬-১৯০৩ ইংল্যান্ড এর পতাকা হ্যারি স্ট্যাফোর্ড নিউটন হিথের অধিনায়ক ছিলেন এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রথম অধিনায়ক
১৯০৪-১৯০৭ স্কটল্যান্ড এর পতাকা জ্যাক পেডি
১৯০৭-১৯১৩ ইংল্যান্ড এর পতাকা চার্লি রবার্টস
১৯১৩-১৯১৯ ইংল্যান্ড এর পতাকা জর্জ স্টেসি
১৯১৯-১৯২২ ইংল্যান্ড এর পতাকা জর্জ হান্টার
১৯২২-১৯২৮ ইংল্যান্ড এর পতাকা ফ্রাঙ্ক বার্সন
১৯২৮-১৯৩২ ইংল্যান্ড এর পতাকা জ্যাক উইলসন
১৯৩২-১৯৩৬ ইংল্যান্ড এর পতাকা হিউগ ম্যাকলেনাহান
১৯৩৬-১৯৩৯ স্কটল্যান্ড এর পতাকা জিমি ব্রাউন
১৯৪৫-১৯৫৩ আয়ারল্যান্ড এর পতাকা জনি ক্যারি প্রথম আ-ব্রিটিশ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক
১৯৫৩-১৯৫৫ ইংল্যান্ড এর পতাকা অ্যালেনবি চিল্টন
১৯৫৩-১৯৫৮ ইংল্যান্ড এর পতাকা রজার বার্ন ১৯৫৮ মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন
১৯৫৮-১৯৬৬ ইংল্যান্ড এর পতাকা বিল ফকস
১৯৬৬-১৯৭৩ ইংল্যান্ড এর পতাকা ববি চার্লটন
১৯৭৩-১৯৭৯ স্কটল্যান্ড এর পতাকা মার্টিন বুকান
১৯৭৯-১৯৮২ উত্তর আয়ারল্যান্ড এর পতাকা স্যামি ম্যাকইলরয়
১৯৮২-১৯৯৪ ইংল্যান্ড এর পতাকা ব্রায়ান রবসন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দীর্ঘতম সময়ের জন্য অধিনায়ক ছিলেন
১৯৯১-১৯৯৬ ইংল্যান্ড এর পতাকা স্টিভ ব্রুস ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত ব্রায়ান রবসনের সহকারী ছিলেন
১৯৯৬-১৯৯৭ ফ্রান্স এর পতাকা এরিক ক্যান্টোনা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ এলাকার বাইরের প্রথম অধিনায়ক
১৯৯৭-২০০৫ আয়ারল্যান্ড এর পতাকা রয় কিন যেকোন অধিনায়কের থেকে বেশি ট্রফি জিতেছেন
২০০৫-বর্তমান ইংল্যান্ড এর পতাকা গ্যারি নেভিল রজার বার্নের পর গ্রেটার ম্যানচেস্টার থেকে দ্বিতীয় অধিনায়ক

[সম্পাদনা] খেলোয়াড়ের রেকর্ড

[সম্পাদনা] সর্বোচ্চ উপস্থিতি

১৯ মে, ২০০৭ পর্যন্ত ক্লাবের পক্ষে সর্বোচ্চ উপস্থিতি।[৩২] মোটা হরফে উল্লিখিত খেলোয়াড়গণ বর্তমানে দলের হয়ে খেলছেন

# নাম ক্যারিয়ার উপস্থিতি গোল
ইংল্যান্ড এর পতাকা স্যার ববি চার্লটন ১৯৫৬ - ১৯৭৩ ৭৫৯ ২৪৯
ওয়েলস এর পতাকা রায়ান গিগস ১৯৯১ - বর্তমান ৭১৬ ১৪০
ইংল্যান্ড এর পতাকা বিল ফোকেস ১৯৫২ - ১৯৭০ ৬৮৮
ইংল্যান্ড এর পতাকা গ্যারি নেভিল ১৯৯২ - বর্তমান ৫৪০
ইংল্যান্ড এর পতাকা এলেক্স স্টেপনি ১৯৬৬ - ১৯৭৮ ৫৩৯
৬= আয়ারল্যান্ড এর পতাকা টনি ডান ১৯৬০ - ১৯৭৩ ৫৩৬
৬= ইংল্যান্ড এর পতাকা পল স্কোলস ১৯৯৪ - বর্তমান ৫৩৬ ১৩৭
আয়ারল্যান্ড এর পতাকা ডেনিস ইরউইন ১৯৯০ - ২০০২ ৫২৯ ৩৩
ইংল্যান্ড এর পতাকা জো স্পেন্স ১৯১৯ - ১৯৩৩ ৫১০ ১৬৮
১০ স্কটল্যান্ড এর পতাকা আর্থার অ্যালবিস্টন ১৯৭৪ - ১৯৮৮ ৪৮৫

[সম্পাদনা] সর্বোচ্চ গোলদাতা

# নাম ক্যারিয়ার উপস্থিতি গোল গোল/খেলা
হার
ইংল্যান্ড এর পতাকা স্যার ববি চার্লটন ১৯৫৬ - ১৯৭৩ ৭৫৯ ২৪৯ ০.৩২৮
স্কটল্যান্ড এর পতাকা ডেনিস ল ১৯৬২ - ১৯৭৩ ৪০৪ ২৩৭ ০.৫৮৭
ইংল্যান্ড এর পতাকা জ্যাক রোউলি ১৯৩৭ - ১৯৫৫ ৪২৪ ২১২ ০.৫০০
৪= ইংল্যান্ড এর পতাকা ডেনিস ভায়োলেট ১৯৫৩ - ১৯৬২ ২৯৩ ১৭৯ ০.৬১১
৪= উত্তর আয়ারল্যান্ড এর পতাকা জর্জ বেস্ট ১৯৬৩ - ১৯৭৪ ৪৭০ ১৭৯ ০.৩৮১
ইংল্যান্ড এর পতাকা জো স্পেন্স ১৯১৯ - ১৯৩৩ ৫১০ ১৬৮ ০.৩২৯
ওয়েলস এর পতাকা মার্ক হিউগস ১৯৮৩ - ১৯৮৬, ১৯৮৮ - ১৯৯৫ ৪৬৬ ১৬৪ ০.৩৫২
নেদারল্যান্ড এর পতাকা রুড ভ্যান নিস্তেলরয় ২০০১ - ২০০৬ ২২০ ১৫০ ০.৬৮২
ইংল্যান্ড এর পতাকা স্ট্যান পিয়ারসন ১৯৩৭ - ১৯৫৪ ৩৪৭ ১৪৮ ০.৪২৭
১০ স্কটল্যান্ড এর পতাকা ডেভিড হার্ড ১৯৬১ - ১৯৬৮ ২৬৫ ১৪৫ ০.৫৪৭

[সম্পাদনা] ইউরোপীয় বর্ষসেরা ফুটবলার

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময় নিম্মোক্ত খেলোয়াড়গণ বর্ষসেরার (Ballon d'Or) খেতাব জিতেছেনঃ

[সম্পাদনা] ক্লাব কর্মকর্তা

পরিচালকমন্ডলী

  • মালিক: ম্যালকম গ্লেজার
  • আজীবন প্রেসিডেন্ট: মার্টিন এডওয়ার্ডস
  • যৌথ চেয়ারম্যান: জোয়েল গ্লেজারএভ্রাম গ্লেজার
  • প্রধান নির্বাহী: ডেভিড গিল
  • প্রধান অপারেটিং কর্মকর্তা: মাইকেল বোলিংব্রক (মে ২০০৭ এর শেষে দায়িত্ব নেবেন)
  • গ্রুপ বানিজ্যিক পরিচালক: লি ডেলি
  • অনির্বাহী পরিচালক: ব্রায়ান গ্লেজার, এডওয়ার্ড গ্লেজার, কেভিন গ্লেজার, ডার্সি গ্লেজার
  • ফুটবল বোর্ড পরিচালক: মার্টিন এডওয়ার্ডস, স্যার ববি চার্লটন, মরিস ওয়াটকিনস, মাইকেল এডেলসনকেন মেরেট (সেক্রেটারী)

সিনিয়র ক্লাব কর্মকর্তা

  • কোম্পানি সচিব: ডেভিড বেসইউদারিক
  • সহকারী কোম্পানি সচিব: কেন র‌্যামসডেন
  • যোগাযোগ পরিচালক: ফিল টাউনসেন্ড
  • বানিজ্যিক এন্টারপ্রাইজ পরিচালক: বেন হ্যটন
  • অর্থনৈতিক সেবা পরিচালক: স্টিভ ফক
  • অর্থনৈতিক ও আইটি পরিচালক: স্টিভ ডিভিল
  • পরিসেবা পরিচালক:ক্লাইভ স্নেল

ব্যবস্থাপনা

  • ব্যবস্থাপক(Manager): স্যার এলেক্স ফার্গুসন
  • সহকারী ব্যবস্থাপক: কার্লোস কুইরোজ
  • প্রথম দল কোচ: মাইক ফেলান
  • গোলরক্ষক কোচ: টনি কোটন
  • ফিটনেস কোচ: ভ্যালটের ডি স্যালভো
  • সহকারী ফিটনেস কোচ: মিক ক্লেগ
  • কেয়ারটেকার রিজার্ভ দল কোচ: ব্রায়ান ম্যাকক্লেয়ার
  • প্রধান স্কাউট: জিম লেওর
  • প্রধান ইউরোপীয়ান স্কাউট: মার্টিন ফার্গুসন

একাডেমি কোচিং কর্মকর্তা

  • যুব একাডেমি পরিচালক: ব্রায়ান ম্যাকক্লেয়ার
  • যুব ফুটবল পরিচালক: জিমি রায়ান
  • সহকারী পরিচালক(১৭-২১ বছর বয়সীদের): পল ম্যাকগিনেস
  • সহকারী পরিচালক(৯-১৬বছর বয়সীদের): টনি হোয়েলান
  • অনুর্ধ্ব ১৮ কোচ: পল ম্যাকগিনেস
  • অনুর্ধ্ব ১৩-১৬ কোচ: মার্ক ডেম্পসি
  • অনুর্ধ্ব ১১-১২ কোচ: টনি হোয়েলান
  • অনুর্ধ্ব ৯-১০ কোচ: ইয়ামন মালভি
  • স্কিল উন্নয়ন কোচ: রেনে মিউলেন্সতিন
  • গোলরক্ষক প্রশিক্ষন পরিচালক: রিচার্ড হার্টিস
  • যুব কোচ: এডি লিচ, টমি মার্টিন, মাইক গ্লেনি, এন্ডি ওয়েলশ

মেডিকাল কর্মকর্তা

  • ক্লাব ডাক্তার: ডাঃ স্টীভ ম্যাকন্যালি
  • সহকারী ক্লাব ডাক্তার: ডাঃ টনি গিল
  • প্রথম দল ফিজিও: রব সুইর
  • রিজার্ভ দল ফিজিও: নিল হগ
  • একাডেমি ফিজিও: জন ড্যাভিন, ম্যান্ডি জনসন, রিচার্ড মেরেন
  • Masseurs: গ্যারি আর্মার, রড থর্নলি

[সম্পাদনা] ব্যবস্থাপনার ইতিহাস

নাম বছর
ইংল্যান্ড এর পতাকা এ.এইচ. এলবাট ১৮৯২-১৯০০
ইংল্যান্ড এর পতাকা জেমস ওয়েস্ট ১৯০০-১৯০৩
ইংল্যান্ড এর পতাকা জে. আর্নেস্ট ম্যাংনাল ১৯০৩-১৯১২
ইংল্যান্ড এর পতাকা জন বেন্টলি ১৯১২-১৯১৪
ইংল্যান্ড এর পতাকা জ্যাক রবসন ১৯১৪-১৯২২
ইংল্যান্ড এর পতাকা জন চ্যাপম্যান ১৯২১-১৯২৭
ইংল্যান্ড এর পতাকা ল্যাল হিল্ডিচ ১৯২৬-১৯২৭
ইংল্যান্ড এর পতাকা হার্বার্ট ব্যামলেট ১৯২৭-১৯৩১
ইংল্যান্ড এর পতাকা ওয়াল্টার ক্রিকমার ১৯৩১-১৯৩২ ও ১৯৩৭-১৯৪৫
স্কটল্যান্ড এর পতাকা স্কট ডানকান ১৯৩২-১৯৩৭
স্কটল্যান্ড এর পতাকা স্যার ম্যাট বাজবি ১৯৪৫-১৯৬৯ ও ১৯৭০-১৯৭১
ইংল্যান্ড এর পতাকা উইলফ ম্যাকগিনেস ১৯৬৯-১৯৭০
আয়ারল্যান্ড এর পতাকা ফ্রাঙ্ক ও'ফেরেল ১৯৭১-১৯৭২
স্কটল্যান্ড এর পতাকা টমি ডোচার্টি ১৯৭২-১৯৭৭
ইংল্যান্ড এর পতাকা ডেভ সেক্সটন ১৯৭৭-১৯৮১
ইংল্যান্ড এর পতাকা রন এটকিনসন ১৯৮১-১৯৮৬
স্কটল্যান্ড এর পতাকা স্যার এলেক্স ফার্গুসন ১৯৮৬—

[সম্পাদনা] সম্মাননা

[সম্পাদনা] ঘরোয়া

[সম্পাদনা] লীগ

১৯০৭-০৮, ১৯১০-১১, ১৯৫১-৫২, ১৯৫৫-৫৬, ১৯৫৬-৫৭, ১৯৬৪-৬৫, ১৯৬৬-৬৭, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৫-৯৬, ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৮-৯৯, ১৯৯৯-২০০০, ২০০০-০১, ২০০২-০৩, ২০০৬-০৭
১৯৩৫-৩৬, ১৯৭৪-৭৫

[সম্পাদনা] কাপ

১৯০৯, ১৯৪৮, ১৯৬৩, ১৯৭৭, ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৯০, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৪
১৯৯২, ২০০৬
১৯০৮, ১৯১১, ১৯৫২, ১৯৫৬, ১৯৫৭, ১৯৬৫*, ১৯৬৭*, ১৯৭৭*, ১৯৮৩, ১৯৯০*, ১৯৯৩, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ২০০৩ (* যুগ্ম বিজয়ী)

[সম্পাদনা] ইউরোপীয়ান

১৯৬৮, ১৯৯৯
১৯৯১
১৯৯১

[সম্পাদনা] আন্তর্জাতিক

১৯৯৯


একমাত্র যে প্রধান ট্রফিটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জেতেনি তা হচ্ছে উয়েফা কাপ[৩৬]

[সম্পাদনা] ক্লাব রেকর্ড

  • রেকর্ড লীগ জয়ঃ ১০-১ বিপক্ষ উভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স, ১ম বিভাগ, ১৫ অক্টোবর ১৮৯২
  • রেকর্ড প্রিমিয়ার জয়ঃ ৯-০ বিপক্ষ ইপসুইচ টাউন ৪ মার্চ ১৯৯৫
  • রেকর্ড ইউরোপিয়ান কাপ জয়ঃ ১০-০ বিপক্ষ এন্ডারলেচ, চ্যাম্পিয়নস কাপ, প্রাথমিক পর্যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬
  • রেকর্ড ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়নস লীগ) জয়ঃ ৭-১ বিপক্ষ এএস রোমা ১০ এপ্রিল ২০০৭
  • রেকর্ড হোম জয়ঃ ১০-০ বিপক্ষ এন্ডারলেচ, চ্যাম্পিয়নস কাপ, প্রাথমিক পর্যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬
  • রেকর্ড এওয়ে জয়ঃ ৮-১ বিপক্ষ নটিংহ্যাম ফরেস্ট ৬ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯
  • রেকর্ড লীগ পরাজয়ঃ ০-৭ বিপক্ষ ব্ল্যাকবার্ন রোভারস , ১ম বিভাগ, ১০ এপ্রিল ১৯২৬
  • রেকর্ড কাপ পরাজয়ঃ ১-৭ বিপক্ষ বার্নলি, এফ.এ. কাপ, প্রথম পর্যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৯০১
  • রেকর্ড লীগ দর্শকঃ ৭৫,১১৫ বিপক্ষ ফুলহ্যাম, প্রিমিয়ার লীগ, ওল্ড ট্রাফোর্ড, ২০ আগস্ট ২০০৬
  • রেকর্ড 'হোম' লীগ দর্শকঃ: ৮৩,২৫০ বিপক্ষ আর্সেনাল, ১ম বিভাগ, মেইন রোড, ৭ জানুয়ারী ১৯৪৮
  • রেকর্ড লীগ দর্শক (ওল্ড ট্রাফোর্ডে): ৭৬,০৯৮ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড v ব্ল্যাকবার্নস রোভার্স, ৩১ মার্চ ২০০৭
  • সর্বোচ্চ অপরাজিত খেলাঃ ৪৫ (সব প্রতিযোগিতা), ডিসেম্বর ২৪ ১৯৯৮ থেকে অক্টোবর ৩ ১৯৯৯
  • সর্বোচ্চখেলায় অংশগ্রহনঃ ৭৫৪ ববি চার্লটন
  • সর্বোচ্চ লীগ খেলায় অংশগ্রহনঃ ৬০৬ ববি চার্লটন
  • সর্বোচ্চ গোলঃ ২৪৭ ববি চার্লটন
  • সর্বোচ্চ লীগ গোলঃ ১৯৯ ববি চার্লটন
  • এক মৌসুমে সর্বোচ্চ লীগ গোলঃ ৩২ ডেনিস ভায়োলেট, প্রথম বিভাগ, ১৯৫৯-৬০
  • এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (সব প্রতিযোগিতা): ৪৬ ডেনিস ল, ১৯৬৩-৬৪
  • এক ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলঃ জর্জ বেস্ট v নর্দাম্পটন টাউন, ৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৭০
  • ইউরোপে সর্বোচ্চ গোলঃ ৩৮ রুড ভ্যান নিস্তেলরয়
  • পরপর খেলায় গোলঃ ১০ খেলায় রুড ভ্যান নিস্তেলরয়, ২২ মার্চ ২০০৩ থেকে ২৩ আগস্ট ২০০৩
  • পরপর সর্বোচ্চ পেনাল্টিঃ ১২ রুড ভ্যান নিস্তেলরয়
  • এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি লীগ গোলঃ ১০৩ ১৯৫৬/৫৭, ১৯৫৮/৫৯
  • এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পয়েন্টঃ ৯২ - ৪২ খেলায় ১৯৯৩/৯৪
  • এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পয়েন্টঃ ৯১ - ৩৮ খেলায় ১৯৯৯/২০০০
  • সর্বোচ্চ জাতীয় দলে খেলাঃ ১২৯ পিটার স্মাইকেল - ডেনমার্ক
  • দ্রুততম গোলঃ ১৫ সেকেন্ড রায়ান গিগস v সাউদাম্পটন, প্রিমিয়ার লীগ, নভেম্বর ১৮ ১৯৯৫

[সম্পাদনা] উচ্চ বিভাগে ফলাফল

ম্যানচেস্টার যে ৭টি ক্লাব সবকটি প্রিমিয়ার লীগ খেলেছে তার একটি। অন্যউগুলো হলঃ আর্সেনাল, এস্টন ভিলা, চেলসি, এভারটন, লিভারপুল ও টোটেনহাম হটস্পার। এত প্রিমিয়ারলীগে ইউনাইটেড ৩য় এর নীচে কোন অবস্থান পায়নি। ম্যান ইউ ৭৯ টি মৌসুম খেলেছে। (কেবল এভারটন, এস্টন ভিলা, লিভারপুল ও আর্সেনাল এর চেয়ে বেশি মৌসুম খেলেছে)

১ম ১৫ ১২তম
২য় ১৩ ১৩তম
৩য় ১৪তম
৪র্থ ১৫তম
৫ম ১৬তম
৬ষ্ঠ ১৭তম
৭ম ১৮তম
৮ম ১৯তম
৯ম ২০তম
১০ম ২১তম
১১তম ২২তম

[সম্পাদনা] লীগ অবস্থানঃ ১৯৪৬/৪৭ - ২০০৬/২০০৭

  • ১৯৪৬/৪৭ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৪৭/৪৮ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৪৮/৪৯ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৪৯/৫০ (বিভাগ ১) ৪তম
  • ১৯৫০/৫১ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৫১/৫২ (বিভাগ ১) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৫২/৫৩ (বিভাগ ১) ৮তম
  • ১৯৫৩/৫৪ (বিভাগ ১) ৪তম
  • ১৯৫৪/৫৫ (বিভাগ ১) ৫তম
  • ১৯৫৫/৫৬ (বিভাগ ১) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৫৬/৫৭ (বিভাগ ১) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৫৭/৫৮ (বিভাগ ১) ৯তম
  • ১৯৫৮/৫৯ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৫৯/৬০ (বিভাগ ১) ৭তম
  • ১৯৬০/৬১ (বিভাগ ১) ৭তম
  • ১৯৬১/৬২ (বিভাগ ১) ১৫তম
  • ১৯৬২/৬৩ (বিভাগ ১) ১৯তম
  • ১৯৬৩/৬৪ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৬৪/৬৫ (বিভাগ ১) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৬৫/৬৬ (বিভাগ ১) ৪তম
  • ১৯৬৬/৬৭ (বিভাগ ১) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৬৭/৬৮ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৬৮/৬৯ (বিভাগ ১) ১১তম
  • ১৯৬৯/৭০ (বিভাগ ১) ৮তম
  • ১৯৭০/৭১ (বিভাগ ১) ৮তম
  • ১৯৭১/৭২ (বিভাগ ১) ৮তম
  • ১৯৭২/৭৩ (বিভাগ ১) ১৮তম
  • ১৯৭৩/৭৪ (বিভাগ ১) ২১ম (রেলিগেশন)
  • ১৯৭৪/৭৫ (বিভাগ ২) ১ম (উন্নয়ন)
  • ১৯৭৫/৭৬ (বিভাগ ১) ৩য়
  • ১৯৭৬/৭৭ (বিভাগ ১) ৬তম
  • ১৯৭৭/৭৮ (বিভাগ ১) ১০তম
  • ১৯৭৮/৭৯ (বিভাগ ১) ৯তম
  • ১৯৭৯/৮০ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৮০/৮১ (বিভাগ ১) ৮তম
  • ১৯৮১/৮২ (বিভাগ ১) ৩য়
  • ১৯৮২/৮৩ (বিভাগ ১) ৩য়
  • ১৯৮৩/৮৪ (বিভাগ ১) ৪তম
  • ১৯৮৪/৮৫ (বিভাগ ১) ৪তম
  • ১৯৮৫/৮৬ (বিভাগ ১) ৪তম
  • ১৯৮৬/৮৭ (বিভাগ ১) ১১তম
  • ১৯৮৭/৮৮ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৮৮/৮৯ (বিভাগ ১) ১১তম
  • ১৯৮৯/৯০ (বিভাগ ১) ১৩তম
  • ১৯৯০/৯১ (বিভাগ ১) ৬তম
  • ১৯৯১/৯২ (বিভাগ ১) ২য়
  • ১৯৯২/৯৩ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৯৩/৯৪ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৯৪/৯৫ (প্রিমিয়ার) ২য়
  • ১৯৯৫/৯৬ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৯৬/৯৭ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৯৭/৯৮ (প্রিমিয়ার) ২য়
  • ১৯৯৮/৯৯ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ১৯৯৯/০০ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ২০০০/০১ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ২০০১/০২ (প্রিমিয়ার) ৩য়
  • ২০০২/০৩ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)
  • ২০০৩/০৪ (প্রিমিয়ার) ৩য়
  • ২০০৪/০৫ (প্রিমিয়ার) ৩য়
  • ২০০৫/০৬ (প্রিমিয়ার) ২য়
  • ২০০৬/০৭ (প্রিমিয়ার) ১ম (চ্যাম্পিয়ন)

[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র

  1. "Who's The Greatest?", 4thegame.com, 2001-07-27.
  2. Henderson, Ian, "Manchester United score with annual profits", 999Today, 2007-01-26. Retrieved on এপ্রিল ১৬.
  3. ৩.০ ৩.১ ৩.২ ৩.৩ ৩.৪ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড. বিবিসি স্পোর্ট নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড অ্যাট দ্য মিল্ক কাপ. Retrieved on জানুয়ারি ৬, ২০০৭.
  4. ৪.০ ৪.১ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড. ফর্বেস.কম. Retrieved on জানুয়ারি ৬, ২০০৭.
  5. ৫.০ ৫.১ ইউরোপীয়ান ফুটবল পরিসংখ্যান. Retrieved on [[জুন ২৪]], [[২০০৬]].
  6. Who's Afraid Of Rupert Murdoch? - বিবিসি নিউজ থেকে নিবন্ধ
  7. Glazer Wins Control of Man United -বিবিসি নিউজ থেকে নিবন্ধ
  8. ৮.০ ৮.১ ৮.২ Murphy, Alex (2006). “1878-1915: From Newton Heath to Old Trafford”, The Official Illustrated History of Manchester United. London: Orion Publishing Group, pp14.
  9. Bill Wilson (2005-06-29). Man Utd's turbulent business history. BBC News. Retrieved on 2007-06-08.
  10. Murphy, Alex (2006). “1878-1915: From Newton Heath to Old Trafford”, The Official Illustrated History of Manchester United. London: Orion Books, pp16.
  11. Lee, Simon. “CHAPTER 4. The BSkyB Bid for Manchester United Plc - All the Passion of a Banknote”, Sean Hamil, Jonathan Michie, Christine Oughton A Game of Two Halves? The Business of Football. University of London. Retrieved on ২৮ মে.
  12. "Cantona crown's United's season of Double delight", The Telegraph. Retrieved on ১১ ডিসেম্বর.
  13. G-14's members. G14.com. Retrieved on ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০৬.
  14. "Ruud accuses Ferguson of betrayal", BBC, ২০০৬-০৯-০৭. Retrieved on ১১ ডিসেম্বর.
  15. "Seven wonders of sublime United dazzle and destroy helpless Roma", The Guardian, ১১ এপ্রিল, ২০০৭.
  16. Caroline Cheese (2007-05-02). AC Milan 3-0 Man Utd (Agg: 5-3). BBC.co.uk. Retrieved on মে ২৮, ২০০৭.
  17. "Manchester United 4-3 Europe XI", ManUtd.com, 2007-03-13.
  18. "United's plans for Asian tour under attack", The Telegraph, 2007-05-09.
  19. Grey day for Manchester United
  20. Excuses, excuses, excuses
  21. Manchester United kits
  22. [1]
  23. Murphy, Alex (2006). “1878-1915: From Newton Heath to Old Trafford”, The Official Illustrated History of Manchester United. London: Orion Books, pp15.
  24. Murphy, Alex (2006). “1878-1915: From Newton Heath to Old Trafford”, The Official Illustrated History of Manchester United. London: Orion Books, pp27.
  25. White, John [2005] (2007). The United Miscellany, 2nd edition, London: Carlton Books, pp11.
  26. ২৬.০ ২৬.১ ২৬.২ Old Trafford 1909-2006. ManUtdZone.com. Retrieved on 2007-05-21.
  27. ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এআইজি শার্ট. Retrieved on মে ২৭, ২০০৬.
  28. Scotsman.com £৫৬ মিলিয়ন শার্ট পৃষ্ঠপোষকতা চুক্তি. Retrieved on এপ্রিল ৭, ২০০৬.
  29. First Team. ManUtd.com: (2007). Retrieved on 2007-05-28.
  30. Ben Hibbs (2006-08-17). New numbers for Edwin & co. ManUtd.com. Retrieved on 2007-05-28.
  31. Steve Bartram (2007-01-08). Eckersley joins Tykes - Reds on loan. ManUtd.com. Retrieved on 2007-05-28.
  32. StretfordEnd.co.uk
  33. ১৯৯২ পর্যন্ত সেরা বিভাগ ছিল ফুটবল লীগ প্রথম বিভাগ; এরপর থেকে এটি হয় এফএ প্রিমিয়ার লীগ
  34. প্রিমিয়ার লীগ গঠনের পর দ্বিতীয় বিভাগ পরিবর্তিত হয়ে প্রথম বিভাগে পরিনত হয়
  35. The trophy was known as the Charity Shield until 2002, and as the Community Shield ever since.
  36. Trophy Room. ManUtd.com: (২০০৭). Retrieved on 2007-05-28.

[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ

উইকিমিডিয়া কমন্সে নিম্নের বিষয় সংক্রান্ত ছবি, অডিও বা ভিডিও রয়েছে:
দাপ্তরিক ওয়েব সাইট
মুক্ত মিডিয়া সাইট


প্রিমিয়ার লীগ ২০০৭-০৮ মৌসুমের ক্লাব

আর্সেনাল | অ্যাস্টন ভিলা | বার্মিংহাম সিটি | ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স | বোল্টন ওয়ান্ডারার্স | চেলসি | ডার্বি কাউন্টি | এভারটন | ফুলহাম | লিভারপুল | ম্যানচেস্টার সিটি | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | মিডল্‌স্‌ব্রো | নিউকাসল ইউনাইটেড | পোর্ট্‌স্‌মাথ | রেডিং | সান্ডারল্যান্ড | টটেনহাম হটস্পার | ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড | উইগান অ্যাথলেটিক


নেদারল্যান্ড এর পতাকা আয়াক্স • ইংল্যান্ড এর পতাকা আর্সেনালস্পেন এর পতাকা বার্সেলোনাজার্মানি এর পতাকা বেয়ার লেভারকুজেন • জার্মানি এর পতাকা বায়ার্ন মিউনিখ

জার্মানি এর পতাকা বরুসিভা ডর্টমুন্ড • নেদারল্যান্ড এর পতাকা পিএসভি আইন্দোভেন • ইতালি এর পতাকা ইন্টারন্যাজিওন্যালে • ইতালি এর পতাকা জুভেন্টাস

ইংল্যান্ড এর পতাকা লিভারপুলইংল্যান্ড এর পতাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডইতালি এর পতাকা এসি মিলানফ্রান্স এর পতাকা লিওন • ফ্রান্স এর পতাকা মার্সেই

ফ্রান্স এর পতাকা প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন • পর্তুগাল এর পতাকা এফসি পোর্তো • স্পেন এর পতাকা রিয়াল মাদ্রিদস্পেন এর পতাকা ভ্যালেন্সিয়া