রায়ান গিগ্স
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রায়ান গিগ্স | ||
![]() |
||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||
---|---|---|
জন্মতারিখ | ২৯ নভেম্বর, ১৯৭৩ | |
জন্মস্থান | কার্ডিফ, ওয়েলস | |
উচ্চতা | ৫'১১" / ১.৮০ মি | |
ডাকনাম | ওয়েলস জাদুকর, গিগসি | |
অবস্থান | বাম উইং, মধ্যমাঠ | |
ক্লাব তথ্য | ||
বর্তমান ক্লাব | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | |
যুব ক্লাব | ||
ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড |
||
পেশাদারী ক্লাব* | ||
বছর | ক্লাব | উপস্থিতি (গোল) |
১৯৯০- |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৫০৪ (৯৮) |
জাতীয় দল | ||
১৯৯১- | ওয়েলস | ৬২ (১২) |
* পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা |
রায়ান জোসেফ গিগস (রায়ান জোসেফ উইলসন নামে জন্ম ২৯শে নভেম্বর ১৯৭৩ কার্ডিফে) একজন ওয়েলশ ফুটবলার, বর্তমানে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলে ইংরেজ প্রিমিয়ারশিপে খেলে থাকেন। তিনি একটি দলেই তার সারা ক্রীড়াজীবন কাটিয়েছেন। রেড-ডেভিলের হয়ে তিনি প্রায় ৭০০টি খেলাতে অংশ নিয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন খেলোয়াড় তার জীবনে এত প্রিমিয়ারশিপ মেডাল পাননি।
গিগসের পিতা ড্যানি উইলসন ছিলেন একজন রাগবি খেলোয়াড় ও মা লাইন গিগস। কার্ডিফে জন্ম নিলেও তিনি বেড়ে ওঠেন পেন্ডলেবারিতে। তার পিতা ছিলেন মিশ্র রক্তের এবং তিনিও তার জন্য গর্বিত।[১] তার ছোট ভাই রড্রি গিগস একজন উইঙ্গার এবং এফসি ইউনাইটেড অব ম্যানচেস্টার এ খেলেন যে দলটি ম্যালকম গ্লেজারের ইউনাইটেড অধিগ্রহণের পর অসন্তুষ্ট ইউনাইটেড সমর্থকের প্রতিষ্ঠা করেছেন।
গিগস বর্তমানে ম্যানচেস্টারে দীর্ঘতম সময় ধরে খেলা ফুটবলার, যিনি ১৯৯০-৯১ সালে দলের হয়ে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন এবং ১৯৯১-৯২ মৌসুমে দলের নিয়মিত একাদশে ছিলেন। তিনি দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশ নিয়েছেন (প্রথম স্থানে আছেন ববি চার্লটন), এবং সর্বোচ্চ ২৩টি দলগত ট্রফির অধিকারী।[citation needed] ১৯৯২ সাল থেকে তিনি নয়টি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা, চারটি এফএ কাপ শিরোপা, দুটি লীগ কাপ শিরোপা এবং একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা জিতেছেন। এছাড়া দুটি এফএ কাপ রানার্স-আপ ও দুটি লীগ কাপ রানার্স-আপ ট্রফিও পেয়েছেন। চারটি প্রিমিয়ারশিপে তিনি দলের সাথে রানার্স-আপ হয়েছেন।
গিগস ইংল্যান্ডের বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হয়ে জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন, যেখানে জাতীয়তাকে প্রাধান্য দেয়া হয় না। তবে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়েলস জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। অন্তর্জাতিক খেলায় ওয়েলসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গিগসের অভিষেক হয় ১৯৯১ সালে যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭। ২০০৪ সালে তিনি ওয়েলসের দলনেতা নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯২ ও ১৯৯৩ সালে দুবার পিএফএ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। পরপর দুবছর এই পুরস্কার পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় তিনি। পরবর্তীতে রবি ফাউলার ও ওয়েন রুনি পরপর দুবছর এই পুরস্কার জিতেছেন। গিগস প্রিমিয়ারশিপে নিয়মিত স্ট্রাইকার হিসেবে না খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বাধিক গোলদানের রেকর্ডের অধিকারী। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে তিনি দ্রুততম সময়ে (১৫ সেকেন্ড) গোল দেয়ার রেকর্ডের মালিক, যেটি দিয়েছিলেন সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর মাসে। তিনি গ্যারি স্পিডের সাথে যুগ্মভাবে সবগুলো প্রিমিয়ারশিপে গোলদানের রেকর্ড গড়েছেন। এছাড়া তিনি পরপর ১২টি মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে গোলদানকারী প্রথম খেলোয়াড়।
সমর্থকদের রায়ে গিগস ম্যানচেস্টারের শ্রেষ্ঠ গোল করেছেন। এই গোলটি করেছেন ১৯৯৯ সালের এফএ কাপ সেমিফাইনালে আর্সেনালের বিরুদ্ধে, যেখানে তিনি চারজন রক্ষনভাগের খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গোল করেন। ইউনাইটেড ও জাতীয় দলে গিগস ১১ নং জার্সি পড়েন। তিনি সমর্থকদের কাছে ওয়েলস জাদুকর নামে সুপরিচিত।
দলনায়ক গ্যারি নেভিলের পর গিগস বর্তমানে রেড ডেভিলদের সহ অধিনায়ক।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ক্যারিয়ার তথ্য
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্যারিয়ার:
- ১৮ এপ্রিল ২০০৭ পর্যন্ত
প্রতিযোগিতা | শুরু | শেষ | উপস্থিতি (বদলি হিসেবে) | গোল | সহায়তা |
---|---|---|---|---|---|
এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ | ১৯৯১ | ৫০২ (৬০) | ৯৮ | ২২৮ | |
ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতা | ১৯৯৪ | ১০৮ (৬) | ২৫ | ২৮ | |
এফ.এ. কাপ | ১৯৯১ | ৫৮ (৭) | ১০ | ২৬ | |
লীগ কাপ | ১৯৯১ | ৩০ (৫) | ৭ | ৮ |
[সম্পাদনা] সম্মাননা
[সম্পাদনা] ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে (১৯৯০ - বর্তমান)
- এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ - চ্যাম্পিয়ন (৯): ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৫-৯৬, ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৮-৯৯, ১৯৯৯-২০০০, ২০০০-০১, ২০০২-০৩, ২০০৬-০৭
- এফ.এ. প্রিমিয়ার লীগ - রানার্স-আপ: ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৭-৯৮, ২০০৫-০৬
- এফ.এ. যুব কাপ বিজয়ী: ১৯৯২
- এফ.এ. কাপ বিজয়ী (৪): ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৪
- এফ.এ. কাপ রানার্স-আপ: ১৯৯৫, ২০০৫, ২০০৭
- লীগ কাপ বিজয়ী (২): ১৯৯২, ২০০৬
- লীগ কাপ রানার্স-আপ: ১৯৯৪, ২০০৩
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ বিজয়ী: ১৯৯৮-৯৯
- আন্তমহাদেশীয় কাপ: ১৯৯৯
- উয়েফা সুপার কাপ বিজয়ী: ১৯৯১
- উয়েফা সুপার কাপ রানার্স-আপ: ১৯৯৯
- কমিউনিটি শিল্ড বিজয়ী (৫): ১৯৯৩, ১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ২০০৩
- কমিউনিটি শিল্ড রানার্স-আপ: ১৯৯৮, ২০০০, ২০০১, ২০০৪
[সম্পাদনা] ব্যক্তিগত
- বার্কলে মাসের সেরা খেলোয়াড়: আগস্ট ২০০৬, ফেব্রুয়ারি ২০০৭
- আন্তমহাদেশীয় কাপ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: ১৯৯৯
- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড়দের বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ২০০৫-০৬
- অনুর্ধ-২১ ইউরোপিয়ান বর্ষসেরা ফুটবলার: ১৯৯৩
- ওয়েলস বর্ষসেরা খেলোয়াড়: ১৯৯৬, ২০০৬
সদস্য হিসেবে
- ইংরেজ ফুটবল হল অব ফেম: ২০০৫
- ইংরেজ প্রিমিয়ারশিপে যুগের সেরা দল: ২০০৩
- এফএ চ্যালেঞ্জ কাপ শতাব্দীর সেরা দল: ২০০৬
- পিএফএ প্রিমিয়ারশিপের সেরা দল: ২০০৬-০৭
অন্যান্য
- এফএ চ্যালেঞ্জ কাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সম্মানিত
- একমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড় হিসেবে ৯টি প্রিমিয়ারশিপ ট্রফি
- একমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড় হিসেবে দুটি লীগ কাপ বিজয়ী
- একমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটি প্রিমিয়ারশিপে খেলা
পূর্বসূরী: লি শার্প |
পিএফএ বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় ১৯৯২ ও ১৯৯৩ |
উত্তরসূরী: অ্যান্ডি কোল |
পূর্বসূরী: গ্যারি নেভিল |
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সহ-অধিনায়ক ২০০৫- |
উত্তরসূরী: নেই |
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
- Ryan Giggs ক্যারিয়ার তথ্য
- FootballDatabase provides Ryan Giggs’ profile and stats
- Manchester United Official Website Biography
- The National Football Museum Hall of Fame
- Ryan Giggs Official Website at Icons.com
- BBC profile of Giggs
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
- ↑ Ryan Giggs. Stop the BNP.. Original link no longer has the quote removed. Link is to the version stored in the Wayback machine.
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব - বর্তমান স্কোয়াড |
---|
১ ভ্যান ডার সার | ২ নেভিল | ৩ এভরা | ৪ হাইঞ্জ | ৫ ফার্ডিনান্ড | ৬ ব্রাউন | ৭ রোনালদো | ৯ সাহা | ১০ রুনি | ১১ গিগস | ১৩ পার্ক | ১৪ স্মিথ | ১৫ ভিডিচ | ১৬ ক্যারিক | ১৭ ন্যানি | ১৮ স্কোলস | ১৯ রসি | ২০ সলশেয়ার | ২১ ডং | ২২ ও'শি | ২৩ রিচার্ডসন | ২৪ ফ্লেচার | ২৬ বার্ডসলে | ২৭ সিলভেস্ট্রে | ২৮ পিক | ২৯ কুসচাক | –– অ্যান্ডারসন | –– ফস্টার | –– হারগ্রিভস | ম্যানেজার: ফার্গুসন |