পরমাণু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পরমাণু (Atom) রাসায়নিক মৌলের ক্ষুদ্রতম অংশ যার স্বাধীন অস্তিত্ব নাই (নিস্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণু ব্যতিত), কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারে তাকে পরমাণু বলে।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা] পরমাণু তত্ত্বের ইতিহাস

গ্রীক দার্শনিকেরা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে নয়, বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পদার্থের তত্ত্ব নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ ধারার প্রথম দার্শনিক ছিলেন মিলেতুসের লেউকিপ্পুস (খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দী)। তাঁর বিখ্যাত শিষ্য আবদেরার দেমোক্রিতুস আনুমানিক ৪৩০ ক্রিস্টাব্দে সমস্ত পদার্থ যেসব অতিক্ষুদ্র অবিভাজ্য কণা দিয়ে গঠিত তাদের নাম দেন আতোমোস (গ্রিক: atomos), যার আক্ষরিক অর্থ “অবিভাজ্য”। দেমোক্রিতুস বিশ্বাস করতেন পরমাণুগুলি সুষম, শক্ত, অসংকোচনীয় ও এগুলি ধ্বংস করা যায় না। তিনি মনে করতেন পরমাণুর আকার, আকৃতি ও বিন্যাস পদার্থের ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন প্রবাহী পদার্থের পরমাণুগুলি মসৃণ তাই সহজেই একে অপরের ওপর দিয়ে গড়িয়ে যায়। কিন্তু কঠিন পদার্থের পরমাণুগুলি খাঁজকাটা ও অমসৃণ তাই এক অপরের সাথে আটকে থাকে। পরমাণু ছাড়া পদার্থের বাকী অংশ কেবলই শূন্যস্থান। দেমোক্রিতুসের দর্শনে পরমাণু শুধু পদার্থের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, মানুষের আত্মা ও ইন্দ্রিয়ের ধারণার সাথেও এটি জড়িত। যেমন তিনি মনে করতেন পদার্থের টক স্বাদ সূঁচালো পরমাণুর কারণে আর সাদা রঙ মসৃণ পরমাণুর কারণে সৃষ্টি হয়। মানুষের আত্মার পরমাণুগুলিকে মনে করা হত খুবই মিহি ধরনের। পরবর্তীতে সামোসের এপিকুরুস (৩৪১-২৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) দেমোক্রিতুসের দর্শন ব্যবহার করে প্রাচীন গ্রিকদের কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন মহাবিশ্বের সবকিছুই পরমাণু ও শূন্যস্থান নিয়ে গঠিত, তাই গ্রিক দেবতারাও প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্ধ্বে নন। পরবর্তীতে প্লাতো ও আরিস্তোতল দেমোক্রিতুসের দর্শনের বিরোধিতা করেন। প্লাতো এটা মানতে চাননি যে সৌন্দর্য ও মহত্ব বস্তুবাদী পরমাণুর যান্ত্রিক প্রকাশ। আর আরিস্তোতল শূন্যস্থানের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন কেননা ভিন্ন ভিন্ন বস্তু একই বেগে শূন্যস্থান অতিক্রম করবে এটা তিনি কল্পনা করতে পারেননি। আরিস্তোতলের এই ধারণা মধ্যযুগীয় খ্রিস্টান ইউরোপে প্রভাব বিস্তার করে। রোমান ক্যাথোলিক পুরোহিতেরা দেমোক্রিতুসের দর্শনকে বস্তুবাদী ও নাস্তিক চিহ্নিত করে প্রত্যাখ্যান করেন।

[সম্পাদনা] পরমাণুবাদ

[সম্পাদনা] ডাল্টনের পরমাণুবাদ

[সম্পাদনা] রাদারফোর্ডের পরমাণুবাদ

রাদারফোর্ড প্রস্তাবিত পরমাণু মডেল
রাদারফোর্ড প্রস্তাবিত পরমাণু মডেল

[সম্পাদনা] নীল্‌স বোরের পরমাণুবাদ

বোর প্রস্তাবিত পরমাণুর মডেল
বোর প্রস্তাবিত পরমাণুর মডেল

[সম্পাদনা] পরমাণূর গঠন

পরমাণু কতিপয় মৌলিক কনিকা দ্বারা গঠিত। এই মৌলিক কনিকা গুলো হল ইলেকট্রন (Electron), প্রোটন(Proton), ও নিউট্রন(Neutron) পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে প্রোটন ও নিউট্রন। কেন্দ্রের চারিদিকে কতগূলো অনুমোদিত কক্ষপথে ইলেকট্রন গুলো ঘুরতে থাকে। পরমাণুর কেন্দ্রকে বলা হয় নিউক্লিয়াস (Nucleus)

[সম্পাদনা] ইলেকট্রন

[সম্পাদনা] প্রোটন

[সম্পাদনা] নিউট্রণ

[সম্পাদনা] পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাস