ইংরেজি ভাষা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইংরেজি
English
ইংগ্লিশ
যেসব রাষ্ট্রে প্রচলিত: অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে
(আন্তর্জাতিক যানবাহনেও ব্যবহৃত)
মোট ভাষাভাষী সংখ্যা: মাতৃভাষী: ৩-৮,০০০,০০০
দ্বিতীয় ভাষা: ১৫০,০০০,০০০-১,০০০,০০০,০০০ 
ক্রম: #৪ মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুসারে;
#২ মোট ভাষাভাষী অনুসারে
ভাষা পরিবার: ইন্দো-ইউরোপীয়
 জার্মানীয়
  পশ্চিম জার্মানীয়
   ইঙ্গ-ফ্রিসীয়
    ইংরেজীয়
     ইংরেজি 
লিপি: লাতিন বর্ণমালা 
প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা
যেসব দেশের রাষ্ট্রভাষা: আইনত, একমাত্র: লাইবেরিয়া, বহু কমনওয়েলথ রাষ্ট্র
আইনত, তবে একমাত্র নয়: কানাডা, হংকং, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন
কার্যত, একমাত্র: অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
কার্যত, তবে একমাত্র নয়: নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
নিয়ন্ত্রক সংস্থা: নেই
ভাষা কোডসমূহ
ISO 639-1: en
ISO 639-2: eng
ISO/FDIS 639-3: eng 
ইংরেজি যেসব দেশে বা অঙ্গরাজ্যে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রচলিত সেগুলো গাঢ় নীল রঙে চিহ্নিত। যেসব দেশে বা অঙরাজ্যে ইংরেজি রাষ্ট্রভাষা সত্ত্বেও প্রধানত কথ্য নয়, সেগুলো হাল্কা নীল রঙে চিহ্নিত।
 

ইংরেজি (ইংরেজি ভাষায়: English ইংগ্লিশ) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের জার্মানীয় শাখার পশ্চিম দলের একটি ভাষা। উত্তর জার্মানির নিম্ন জার্মান উপভাষাসমূহ এবং ওলন্দাজ ভাষার সাথে এর সবচেয়ে বেশি মিল দেখা যায়। এগুলিতে ৬০০ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় বারের মত ধ্বনি সরণ (Second Sound Shift) ঘটেনি (কিন্তু উচ্চ জার্মান ভাষাগুলিতে এটা ঘটেছিল)। ইংরেজিতেও দ্বিতীয় ধ্বনি সরণ ঘটেনি।

জার্মানীয় গোত্র অ্যাংগল্‌স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে পা রাখে এবং কেল্টীয় ভাষাভাষী আদিবাসীদের উত্তরে স্কটল্যান্ড, কর্ণওয়াল, ওয়েল্‌স ও আয়ারল্যান্ডে হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মান গোত্রগুলির মুখের ভাষাই প্রাচীন ইংরেজির ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। পরবর্তীতে ৮ম ও ৯ম শতকে নরওয়েজীয় ভাইকিং হানাদারদের প্রাচীন নর্স ভাষাও প্রাচীন ইংরেজিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

১০৬৬ সালে উত্তর ফ্রান্সের নরমঁদি অঞ্চলে বসবাসকারী নরমান জাতি ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড আক্রমণ করে। নরমানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর প্রায় ৩০০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের রাজারা ছিলেন নরমান বংশোদ্ভূত এবং এসময় রাজকীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্ম কেবল নরমানদের কথ্য এক ধরনের প্রাচীন ফরাসি ভাষায় সম্পন্ন হত। এই যুগে বিপুল পরিমাণ ফরাসি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় আত্মীকৃত হয়ে যায়, ইংরেজি ভাষার বেশির ভাগ বিভক্তি লুপ্ত হয় এবং ফলস্বরূপ মধ্য ইংরেজি ভাষার আবির্ভাব ঘটে। প্রাচীন ও মধ্য ইংরেজির সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে বেওউল্‌ফ এবং চসারের দ্য ক্যান্টারবেরি টেল্‌স

১৫০০ সালের দিকে মহান স্বরধ্বনি সরণ (Great Vowel Shift) সংঘটিত হয় এবং আধুনিক ইংরেজির উদ্ভব ঘটে। শেক্‌সপিয়ারের রচনাসহ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পুরোটাই এই আধুনিক ইংরেজিতে লেখা।

এথ্‌নোলগ অনুসারে ইংরেজি ভাষার মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি। মাতৃভাষীর সংখ্যা অনুযায়ী ইংরেজির স্থান ম্যান্ডারিন, হিন্দি ও স্পেনীয় ভাষার পরেই।

প্রথমে ইংল্যান্ড ও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারণে অন্য যেকোন ভাষার চেয়ে বিশ্বে ইংরেজি বেশি বিস্তারলাভ করেছে। ইংরেজি প্রায় ৫২টি দেশের জাতীয় বা সরকারী ভাষা।

বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই ইংরেজিভাষী।

আধুনিক যোগাযোগে ও বিভিন্ন পেশায় ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অধীত দ্বিতীয় ভাষা। সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আন্তর্জাতিক পরিভাষা প্রায় পুরোটাই ইংরেজির দখলে।

অন্যান্য ভাষা