টিক্কা খান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
![]() |
|||
---|---|---|---|
রাজনৈতিক পদ: | ৭ম সামরিক সেনা প্রধান | ||
কার্যকাল | মার্চ ১৯৭২ – মার্চ ১৯৭৬ | ||
পূর্বসূরী | জেন. গুল হাসান | ||
উত্তরসূরী | জেন. মুহাম্মদ জিয়াউল হক |
টিক্কা চাক্কা খান (উর্দু: ٹکا خان) (জন্ম ১৯১৫ - মৃত্যু মার্চ ২৮, ২০০২) মার্চ ১৯৭২ থেকে মার্চ ১৯৭৬ পর্যন্ত পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর প্রধান ছিলেন।
টিক্কা খান ভারতীয় সামরিক একাডেমি, দেরাদুন থেকে ১৯৩৯ সালে কমিশন লাভ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে বার্মা ও ভারতের বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধে সক্রিয় হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে দুই বছরেরও অধিক সময় টিক্কা খান যুদ্ধবন্দী থাকার পর পলায়নে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টিক্কা খান দেরাদুনে সামরিক একাডেমিতে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ভারত বিভাগের সময় মেজর পদে টিক্কা খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। ১৯৬৯ সালে সে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হয়।
১৯৭৬ সালে অবসর গ্রহণের পর পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভূট্টো টিক্কা খানকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়। জিয়াউল হকের অবৈধ ক্ষমতাগ্রহণের সময় ভূট্টো ও টিক্কা, দু'জনকেই বন্দী করা হয়। ১৯৭৯ সালে ভূট্টোকে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর টিক্কা খান পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এর মহাসচিব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৮৮ সালে বাহাওয়ালপুর বিমানধ্বসে জিয়াউল হকের মৃত্যুর পর টিক্কা খান পাঞ্জাবের রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়। ১৯৯০ সালে বেনজীর ভূট্টোর সরকারের পতনের পর টিক্কা খান অবসর গ্রহণ করে।
[সম্পাদনা] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা
টিক্কা খান ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সামরিক শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিরস্ত্র নিরীহ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর সামরিক হামলা পরিচালনা করে। ইতোপূর্বে অনুরূপ নিষ্ঠুরতার সাথে বালুচিস্তানে বিদ্রোহ দমনের নামে হত্যাযজ্ঞ চালনার জন্য "বালুচিস্তানের কসাই" হিসেবে টিক্কা খান কুখ্যাতি অর্জন করে।
দীর্ঘদিন রোগভোগের পর ২০০২ সালে টিক্কা খান মারা যায়।
[সম্পাদনা] সূত্র
- দ্য সেপারেশন অব ইস্ট পাকিস্তান,হাসান জহির, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৯৪।
- উইটনেস টু সারেন্ডার, সিদ্দিক সালিক, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৭৭।