মোহাম্মদ আশরাফুল
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোহাম্মদ আশরাফুল বাংলাদেশ (Ban) |
||
ব্যাটিং ধরন | ডান-হাতি=ব্যাট | |
---|---|---|
বোলিং ধরন | লেগব্রেক | |
টেস্ট | ওডিআই | |
ম্যাচ | ৩৫ | ১০১ |
রান | ১৫৮৩ | ১৮৬৫ |
ব্যাটিং গড় | ২৪.৩৫ | ২১.৯৪ |
১০০/৫০ | ৩/৭ | ১/১১ |
সর্বোচ্চ রান | ১৫৮* | ১০০ |
বল ওভার | ৮৮৮ | ৩৪২ |
উইকেট | ৯ | ১০ |
বোলিং গড় | ৭৩.৬৬ | ৩৫.১০ |
ইনিংসে ৫ উইকেট | - | - |
ম্যাচে ১০ উইকেট | - | নেই |
শ্রেষ্ঠ বোলিং | ২/৪২ | ৩/২৬ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং | ১০/- | ১৬/- |
২৯ মে, ২০০৭ পর্যন্ত |
মোহাম্মদ আশরাফুল (জন্ম জুলাই ৭, ১৯৮৪, ঢাকা) বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডের অধিকারী। এই কৃতিত্ব তিনি অর্জন করেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কারই মাটিতে। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ডও তার। তিনি এই শতক টি অর্জন করেন ভারতের বিরুদ্ধে ঢাকায়। ব্যাটিং দক্ষতা ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে ডানহাতি লেগস্পিন বল করে থাকেন।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ক্যারিয়ার
[সম্পাদনা] টেস্ট ক্রিকেট
আশরাফুল কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট শতক করার রেকর্ডের অধিকারী। ২০০১ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে তিনি তার অভিষেক টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১১৪ রান করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। তার জন্মতারিখ নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তার সূত্রপাত হয়েছিল - অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যা ব্জুলাই ৭ বলা হচ্ছে,[১], কিন্তু তার পাসপোর্টে জন্মতারিখ রয়েছে সেপ্টেম্বর ৯ হিসেবে। অবশ্য উভয় তারিখ হিসেব করলেও তিনি তার রেকর্ড ধরে রাখতে পারবেন (পূর্ববর্তী রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মুস্তাক মোহাম্মদের, যিনি ১৯৬০-০১ মৌসুমে ১৭ বছর ৮২ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন)।
এই ধরনের শুরুর পর আশরাফুলের কাছে প্রত্যাশার চাপ অনেক বৃদ্ধি পায়। তবে টানা কয়েকম্যাচ খারাপ ফর্ম এবং বাজে বলে আউট হওয়ার স্বভাবের কারনে তিনি জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন। ২০০৪ সালে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর ভারতের বিরুদ্ধে ১৫৮* রান করেন, যা তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয় শতক এবং কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ টেস্ট রান। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি ১৩৬ রান করেন।
[সম্পাদনা] একদিনের আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত জয়ে আশরাফুলের অনেক অবদান রয়েছে। ২০০৫ সালের ১৮ জুন তারিখে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে তৎকালীন বিশ্বের একনম্বর ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্মরনীয় জয়ে আশরাফুল ১০০ রান করেন। এটি তার একমাত্র শতক, এবং সেট খেলাটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরনীয় ম্যাচ।
২০০৭ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তৎকালীন একনম্বর ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আশরাফুল ৮৩ বলে ৮৭ রান করেন, যা বাংলাদেশকে আরেকটি স্মরনীয় বিজয় উপহার দেয়। এতে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারে ভূষিত হন।
বিশ্বকাপের পর তিনি শাহরিয়ার নাফিসের স্থলে দলের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হন। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজের পর তাকে টেস্ট ও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম অধিনায়ক।
[সম্পাদনা] ঘরোয়া ক্রিকেট
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
- Cricinfo Profile
- Mohammad Ashraful's Profile on BanglaCricket
- Ashraful's battle to make his mark by S.Rajesh
পূর্বসূরী: হাবিবুল বাশার |
বাংলাদেশী জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ২০০৭ - বর্তমান |
উত্তরসূরী: শূণ্য |
![]() |
বাংলাদেশ দল - ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০৩ | ![]() |
---|---|---|
১ মাসুদ (উর) | ২ আল শাহরিয়ার | ৩ কাপালি | ৪ আকরাম | ৫ বাশার | ৬ সরকার | ৭ এহসানুল | ৮ সানোয়ার | ৯ মাহমুদ | ১০ মানজারুল | ১১ মর্তুজা | ১২ আশরাফুল | ১৩ রফিক | ১৪ জুবায়ের | ১৫ বৈষ্য | ১৬ ইমরান | কোচ: কামাল ও জিয়া |
![]() |
বাংলাদেশ দল - ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০৭ | ![]() |
---|---|---|
১ বাশার (অ) | ২ নাফিস | ৩ তামিম | ৪ আফতাব | ৫ সাকিবুল | ৬ আশরাফুল | ৭ রহীম (উর) | ৮ রফিক | ৯ রাজ্জাক | ১০ মর্তুজা | ১১ শাহাদাত | ১২ বৈষ্য | ১৩ রাসেল | ১৪ সালেহ | ১৫ ওমর | ১৬ রেজা | কোচ: হোয়াটমোর বৈষ্য আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তার স্থলে রেজা এসেছেন |