তামা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২৯ নিকেলতামাজিঙ্ক
-

Cu

Ag
সাধারণ
নাম, প্রতীক, সংখ্যা তামা, Cu, ২৯
রাসায়নিক শ্রেণী অবস্থান্তর ধাতু
শ্রেণী, পর্যায়, ব্লক ১১, ৪, ডি
স্বভাবজাত প্রকৃতি ধাতব গোলাপী লাল
প্রমিত পারমানবিক ভর ৬৩.৫৪৬(৩) g·mol−1
ইলেকট্রন বিন্যাস [Ar] 3d10 4s1
শক্তিস্তর প্রতি ইলেকট্রন সংখ্যা ২, ৮, ১৮, ১
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহ
দশা solid
ঘনত্ব (কক্ষ তাপমাত্রা কাছাকাছি) ৮.৯৬ গ্রাম·সেমি−৩
গলনাংকে তরল ঘনত্ব ৮.০২ গ্রাম·সেমি−3
গলনাংক ১৩৫৭.৭৭ K
(১০৮৪.৬২ °C, ১৯৮৪.৩২ °F)
স্ফুটনাংক ২৮৩৫ K
(২৫৬২ °C, ৪৬৪৩ °F)
ফিউশনের এনথালপি ১৩.২৬ Kj.mol−1
বাষ্পায়ন তাপ ৩০০.৪ Kj.mol−1
তাপধারণ ক্ষমতা (২৫ °C) ২৪.৪৪০ J·mol−1·K−1
বাষ্প চাপ
P(প্যাসকেল) ১০ ১০০ ১ k ১০ k ১০০ k
T(K) ১৫০৯ ১৬৬১ ১৮৫০ ২০৮৯ ২৪০৪ ২৮৩৬
পারমানবিক বৈশিষ্ট্য
কেলাস গঠন face centered cubic
জারণ অবস্থা , ১
(মৃদু ক্ষারীয় অক্সাইড)
তড়িৎঋণাত্বকতা ১.৯০ (পাউলিং স্কেল)
পারমানবিক ব্যাসার্ধ্য ১৩৫ pm
পারমানবিক ব্যাসার্ধ্য (calc.) ১৪৫ pm
সমযোজী ব্যাসার্ধ্য ১৩৮ pm
ভ্যান ডার ওয়াল্‌স ব্যাসার্ধ্য ১৪০ pm
বিশেষ দ্রষ্টব্য
চৌম্বক ক্রম ডায়াচৌম্বক
তড়িৎ রোধকত্ব (20 °C) ১৬.৭৮ এনΩ·m
তাপীয় পরিবাহকত্ব (৩০০ K) ৪০১ W·m−1·K−1
তাপীয় প্রসারণ (২৫ °C) ১৬.৫ µm·m−1·K−1
শব্দের দ্রুতি (thin rod) (r.t.) (annealed)
৩৮১০ m·s−1
ইয়ংয়ের গুণাংক ১১০ - ১২৮ GPa
শিয়ার গুণাংক ৪৮ GPa
বাল্ক গুণাংক ১৪০ GPa
পয়সন অনুপাত ০.৩৪
মোহ্‌স কাঠিন্য ৩.০
ভিকার্‌স কাঠিন্য ৩৬৯ MPa
ব্রিনেল কাঠিন্য ৮৭৪ MPa
সিএএস নিবন্ধন সংখ্যা ৭৪৪০-৫০-৮
নির্বাচিত সমাণুকসমূহ
মূল নিবন্ধ: তামা-এর সমাণুকসমূহ
সমাণু এনএ অর্ধায়ু ডিএম ডিই (MeV) ডিপি
৬৩Cu ৬৯.১৫% Cu ৩৪টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
৬৫Cu ৩০.৮৫% Cu ৩৬টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
তথ্যসূত্র
This box: প্রদর্শন  আলোচনা  সম্পাদনা

[সম্পাদনা] নামকরণ

প্রাচীনকালে তামার অনেক খনির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তার মধ্যে সাইপ্রাস দ্বীপের খনিগুলো সবচেয়ে তাৎপর্যময়। অনেকের মতে তামার ইংরেজি নাম কপার (ল্যাটিন নাম কিউপ্রাম - Cuprum) শব্দটি এখান থেকেই এসেছে।

[সম্পাদনা] আবিষ্কারের ইতিহাস

ফরাসি রসায়নবিদ এম. বারথেলটের মতানুসারে মানুষ পাঁচ হাজার বছরেরও বেশী আগে থেকে তামার সাথে পরিচিত ছিল। অনেকের মতে আরও আগে থেকে এই পরিচয় ঘটেছিল। বহুকাল পূর্ব থেকেই ব্রোঞ্জ ছিল সর্বাধিক ব্যবহৃত ধাতু। এই ধাতুটি মূলত তামা এবং টিন-এর সংকর। এই দুই মৌলিক পদার্থ মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিশেষ যুগের নির্দেশনা প্রদান করে যাকে বলা হয় ব্রোঞ্জ যুগ। তামা, যুগ বিনির্মাণে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রকৃতিতে তামার প্রাচুর্য মধ্যম ধরণের। প্রাথমিক যুগে মানুষ কেবল প্রকৃতিতে স্বভাবিকভাবে প্রাপ্ত তামাই ব্যবহার করতো। কিন্তু পরবর্তীতে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আকরিক থেকে তামা নিষ্কাষনে বাধ্য হয় মানুষ। যেসব আকরিকে তামার আধিক্য রয়েছে তা থেকে এটি নিষ্কাষন বেশ সহজসাধ্য। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে নানাবিধ যন্ত্রপাতি তৈরীতে তামা ব্যবহৃত হতো। চিয়োপ্‌স-এর (cheops) মিশরীয় পিরামিড তৈরীতে পাথরের যে সুবৃহৎ খণ্ডগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো কাটতে তামার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

ব্রোঞ্জ আবিষ্কার ছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি বিপ্লব। এর পর পাথরের সব জিনিসপত্র ব্রোঞ্জ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দেও ব্রোঞ্জের ব্যবহার ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাইসিনিয়ান যুগের সূচনাতে গ্রীসে ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরী বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। এটি ছাড়াও তামার অপর বিস্ময়কর সংকর হল পিতল। তামার সঙ্গে দস্তার আকরিক গলিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। প্রাচীন মিশর, ভারত, এশিরিয়া, রোমগ্রীসে তামা, ব্রোঞ্জ ও পিতলের ব্যবহার জানা ছিল। অস্ত্র তৈরীতে তামা ও ব্রোঞ্জ উভয়টিই ব্যবহৃত হতো। আলতাই, সাইবেরিয়া এবং ট্রান্স ককেশাস অঞ্চলে খননকার্য চালিয়ে অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর ব্রোঞ্জ ও তামার ছুরি, তীরের ফলা, ঢাল, শিরস্ত্রাণ পাওয়া গেছে। গ্রীসে ও রোমে তামা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে ঢাল ও শিরস্ত্রাণ তৈরী হতো।

[সম্পাদনা] আরও দেখুন

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন
অন্যান্য ভাষা