হলিক্রস বিদ্যালয়
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় বাংলাদেশের নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টি ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। এখানে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য তিন বিভাগেই শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিদ্যালয়ের ২ টি শিফটে প্রায় ১৫০০ জন ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষাবছর জানুয়ারী থেকে শুরু হয়। বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধার শিক্ষিকা সিস্টার ফিলোমিনা কুইয়া।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ইতিহাস:
১৮৫৩ সালে বাংলাদেশে হলিক্রস সিস্টারদের আগমন ঘটে। ১৯৫১ সালে তেজগাঁও এলাকায় সিস্টার মারী, সিস্টার ফ্রান্সলিয়া ও সিস্টার রোজ বার্নার্ড মাত্র ২ জন ছাত্রী নিয়ে একটি কিন্ডারগার্টেন খোলেন। ঐ বছরই নভেম্বর মাসে এটিকে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়। সম্পূর্ণ ইংলিশ মাধ্যমে পড়ানো হলেও বাংলাকে পাঠ্য বিষয়ের অন্তর্গত রাখা হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে বিদ্যালয়টিতে নবম শ্রেণীতে মানবিক বিভাগ চালু করা হয়; বিজ্ঞান বিভাগ আরম্ভ হয় ১৯৭০ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টিকে সম্পূর্ণরূপে বাংলা মাধ্যমে পরিণত করা হয়। ১৯৭৯ সালে ছাত্র ভর্তি বন্ধ করে এটিকে সম্পূর্ণ বালিকা বিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়। ১৯৯৮ সাল থেকে এখানে বাণিজ্য বিভাগ চালু করা হয়।
[সম্পাদনা] সহশিক্ষা কার্যক্রম:
- বিভিন্ন ক্লাব: নির্ঝর আবৃত্তি সঙ্ঘ, বিতর্ক ক্লাব, কুইজ ক্লাব, অংকন ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব-এন্ড্রোমিডা, ইংলিশ ক্লাব।
- বার্ষিক ম্যাগাজিন: মন্দিরা
- গার্লস গাইড কার্যক্রম
- শিক্ষামূলক ছবি প্রদর্শনী, সেমিনার আয়োজন
- ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চালু রয়েছে ‘হলিক্রস লিটারারী প্রোগ্রাম’। প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রী বিনামূল্যে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে পারে।
- কারিতাস বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়নে এখানকার প্রতিটি ছাত্রীকে একজন নারী শ্রমিককে শিক্ষিত করার কাজে নিয়োজিত করা হয়।
[সম্পাদনা] অন্যতম প্রাপ্তি:
- ১৯৯৬ সালে ঢাকার সবচেয়ে উত্তম বিদ্যালয়রূপে নির্বাচিত হয়।
- হলিক্রস বিতর্ক ক্লাব ১৯৯৫ সালে জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রাইম মিনিস্টার গোল্ড কাপ অর্জন করে।
[সম্পাদনা] প্রধান শিক্ষিকাগণ:
- সিস্টার অগাস্টিন মারী (১৯৫১-১৯৫৪)
- সিসটার কারমেন (১৯৫৫-১৯৫৭)
- সিস্টার ফ্রান্সেলিয়া (১৯৫৮-১৯৬০, ১৯৬৩)
- সিস্টার ব্রুনো (১৮৬১-১৯৬২)
- সিস্টার ফ্রান্সিস বার্নার্ড (১৯৬৪-১৯৬৫)
- সিস্টার মেডেলিন প্যাট্রিস (১৯৬৬)
- সিস্টার লিওনারা (১৯৬৭-১৯৬৯)
- সিস্টার মেরিয়েন তেরেসা (১৯৭০-১৯৭৪)
- সিস্টার যোয়ান (১৯৭৫-১৯৮৩, ১৯৮৯-১৯৯৭)
- সিস্টার মারী বুশ (১৯৮৪-১৯৮৮)
- সিস্টার ফিলোমিনা কুইয়া (১৯৯৮-বর্তমান)