বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় / Bangladesh University of Engineering and Technology

Logo of the Bangladesh University of Engineering and Technology

প্রতিষ্ঠা ১৯৬২
ধরণ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়
উপাচার্য ডঃ এ এম এম শফিউল্লাহ
অনুষদ ৩৫০
ছাত্র ৪০০০
অবস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রাঙ্গন শহরের কেন্দ্রস্থলে, ৭৬.৮৫ একর (০.৩১ km²)
ওয়েবসাইট www.buet.ac.bd

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (Bangladesh University of Engineering and Technology) (সংক্ষেপে, বুয়েট) বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় । এটি ঢাকা শহরের পলাশী এলাকায় অবস্থিত। প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এখানে প্রকৌশল, স্থাপত্য, পরিকল্পনা ও বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেন।[১]



সূচিপত্র

[সম্পাদনা] ইতিহাস

[সম্পাদনা] প্রাথমিক পর্যায়

ভাষা শহীদের স্মরণে বুয়েটের শহীদ মিনার
ভাষা শহীদের স্মরণে বুয়েটের শহীদ মিনার

বুয়েট উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে জরিপকারদের জন্য একটি জরিপ শিক্ষালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বুয়েট শুরুতে ঢাকা সার্ভে স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয় নলগোলায়, ১৮৭৬ সালে। এসময় ব্রিটিশ ভারত সরকার কাজের সুবিধার জন্য জরিপকারদের এই শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করে। ১৯০৫ সালে ঢাকার তৎকালীন নওয়াব আহসানউল্লাহ এ বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী হন এবং মুসলমানদের শিক্ষাদীক্ষার অগ্রগতির জন্য বিদ্যালয়ে ১.১২ লক্ষ টাকা দান করেন। তাঁর মহৎ অনুদানে এটি পরবর্তীতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষালয় হিসেবে প্রসার লাভ করে এবং তাঁর স্বীকৃতি হিসেবে ১৯০৮ সালে বিদ্যায়নটির নামকরণ করা হয় আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল নামে। আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স দিতে শুরু করে পুরকৌশল, তড়িৎকৌশল এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগে। শুরুতে একটি ভাড়া করা ভবনে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলত। ১৯০৬ সালে সরকারী উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের কাছে এর নিজস্ব ভবন নির্মিত হয়। এস্থানের একটি উচুঁ চিমনি কিছুদিন আগেও এই স্মৃতি বহন করত। ১৯২০ সালে এটি বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।

শুরুতে বিদ্যালয়টি ঢাকা কলেজের সাথে সংযুক্ত ছিল। পরবর্তীতে এটি জনশিক্ষা পরিচালকের অধীনে পরিচালিত হতে থাকে। মিঃ এন্ডারসন এর প্রথম অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। এরপর ১৯৩২ সালে শ্রী বি. সি. গুপ্ত ও ১৯৩৮ সালে জনাব হাকিম আলী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।

[সম্পাদনা] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাংলার শিল্পায়নের জন্য তৎকালীন সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তখন এতদঞ্চলে দক্ষ জনশক্তির অভাব দেখা দেয়। তৎকালীন সরকার নিযুক্ত একটি কমিটি যন্ত্র, তড়িৎ, কেমি ও কৃষি প্রকৌশলে ৮ বছর মেয়াদী ডিগ্রী কোর্সে ১২০ জন ছাত্রের জন্য ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপন এবং স্কুলটিকে তৎকালীন পলাশী ব্যারাকে স্থানান্তর করে পুর, যন্ত্র, ও তড়িৎ কৌশলে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে ৪৮০ জন ছাত্র ভর্তির সুপারিশ করেন। ১৯৪৭ সালের মে মাসে সরকার ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন ও ছাত্র ভর্তির জন্য বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের শিবপুরস্থ বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ঢাকায় আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয়।

[সম্পাদনা] দেশবিভাগের পর

১৯৪৭ এর দেশবিভাগের ফলে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া বাকী শিক্ষকদের সবাই ভারতে চলে যান ও ভারত থেকে ৫ জন শিক্ষক এ স্কুলে যোগদান করেন। ১৯৪৭ এর আগস্ট মাসে এটিকে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রুপে উন্নীত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ হিসেবে। জনাব হাকিম আলী এর অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন।

১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার এই কলেজটিকে অনুমোদন দেন এবং এটি তখন পুর প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল, কেমি কৌশল, কৃষি প্রকৌশল ও টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী এবং পুর প্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল ও যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা প্রদান করতে শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষি ও টেক্সটাইলের পরিবর্তে ধাতব প্রকৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৬ সালে কলেজে সেমিস্টার প্রথা চালু হয় ও নতুন পাঠ্যক্রম অনুমোদিত হয়। ১৯৫৭ সালে ডিগ্রী কোর্সে আসন সংখ্যা ১২০ থেকে বাড়িয়ে ২৪০ করা হয়। ১৯৫৮ সালে কলেজ থেকে ডিপ্লোমা কোর্স বন্ধ করে দেয়া হয়।

এর মধ্যে ১৯৫১ সালে টি. এইচ. ম্যাথুম্যান এবং ১৯৫৪ সালে ডঃ এম. এ. রশিদ কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। এসময়ে এগ্রিকালচারাল এন্ড মেকানিক্যাল কলেজ অব টেক্সাস (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ও আহসানউল্লাহ কলেজের সাথে যৌথ ব্যবস্থাপনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ফলে ওখান থেকে অধ্যাপকগন এদেশে এসে শিক্ষকতার মান, ল্যাবরেটরী ও পাঠ্যক্রম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষকদের মানোন্নয়নের জন্য কিছু শিক্ষককে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য টেক্সাস এ. এন্ড এম. কলেজে পাঠানো হয়। এসময় এশিয়া ফাউন্ডেশন লাইব্রেরীকে কিছু প্রয়োজনীয় বইপত্র দান করে এবং রেন্টাল লাইব্রেরী প্রথা চালু করা হয়। কলেজ থাকা অবস্থায় ছাত্রদের জন্য কেবল দুটি ছাত্রাবাস ছিলঃ মেইন হোস্টেল (বর্তমান ডঃ এম. এ. রশীদ ভবন) ও সাউথ হোস্টেল (বর্তমান নজরুল ইসলাম হল)

[সম্পাদনা] প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু

ডঃ এম. এ. রশীদ ভবন
ডঃ এম. এ. রশীদ ভবন

পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালের ১ জুন তারিখে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করে নাম দেয়া হয় পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয় (East Pakistan University of Engineering and Technology, or EPUET)। তৎকালীন কারিগরী শিক্ষা পরিচালক ডঃ এম. এ. রশিদ প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন। অধ্যাপক এ. এম. আহমেদ প্রকৌশল অনুষদের প্রথম ডীন নিযুক্ত হন। খ্যাতনামা গণিতজ্ঞ এম. এ. জব্বার প্রথম রেজিস্ট্রার ও মমতাজউদ্দিন আহমেদ প্রথম কম্পট্রোলার নিযুক্ত হন। ডঃ এম. এ. রশিদের যোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়টি দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়রূপে প্রতিষ্ঠিত হবার পরে ছাত্রদের জন্য তিনটি নতুন আবাসিক হল তৈরী করা হয়। অধ্যাপক কবিরউদ্দিন আহমেদ প্রথম ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৬২ সালেই প্রথম স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে স্থাপত্য বিভাগ গঠন করা হয়, এই বিভাগের জন্য টেক্সাস এ. এন্ড এম. কলেজের কয়েকজন শিক্ষক যোগদান করেন। এভাবে প্রকৌশল ও স্থাপত্য এই দুটি অনুষদে পুর, যন্ত্র, তরিৎ, কেমি ও ধাতব প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য ১৯৬৪ সালে আসন সংখ্যা ২৪০ থেকে ৩৬০ জনে বৃদ্ধি করা হয়। একই বছরে বর্তমান ৭ তলা পুরকৌশল ভবন নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৬৯-৭০ সালে আসন সংখ্যা ৪২০ জনে উন্নীত হয়। এসময় স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে ফিজিক্যাল প্ল্যানিং নামে একটি নতুন বিভাগ চালু হয়। এটিই পরবর্তীতে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে পরিণত হয়েছে।

[সম্পাদনা] স্বাধীনতার পর

১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে এর নাম পরিবর্তন করে বর্তমানের নাম, অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।

[সম্পাদনা] ক্যাম্পাস

বুয়েট ক্যাম্পাস ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এটি একটি ছোট্ট ক্যাম্পাস। ছাত্রদের আবাসিক হলগুলো একাডেমীর ভবন থেকে হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত। বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন হল ৭৬.৮৫ একর (৩১১,০০০ ব.মি.)।

[সম্পাদনা] অনুষদ এবং বিভাগ সমূহ

বুয়েটের ইএমই ভবন
বুয়েটের ইএমই ভবন
পুরকৌশল ভবন
পুরকৌশল ভবন
স্থাপত্য ভবন
স্থাপত্য ভবন

বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে ১৬ টি বিভাগ রয়েছে। এগুলো হল -

  • স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ
    • স্থাপত্য বিভাগ
    • নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ
    • মানবিক বিভাগ
  • পুরকৌশল অনুষদ
    • পুরকৌশল বিভাগ
    • পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ
  • তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদ
    • তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
    • কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগ
  • প্রকৌশল অনুষদ
    • কেমিকৌশল বিভাগ
    • বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ
    • রসায়ন বিভাগ
    • গণিত বিভাগ
    • পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ
    • পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগ
  • যন্ত্রকৌশল অনুষদ
    • যন্ত্রকৌশল বিভাগ
    • নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ
    • ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও প্রোডাকশন কৌশল বিভাগ

[সম্পাদনা] ইনস্টিটিউট ও সেন্টারসমূহ

বর্তমানে ৩টি ইনস্টিটিউট এবং ৫টি সেন্টার রয়েছে। এগুলো হল -

  • ইনস্টিটিউট
    • ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এণ্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি
    • পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট
    • ইনস্টিটিউট অব এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি
  • সেন্টার
    • সেন্টার ফর এনার্জি স্ট্যাডিজ
    • সেন্টার ফর এনভারনমেন্টাল এণ্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট
    • ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং নেটওয়ার্ক সেন্টার
    • বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার
    • একসিডেন্ট রিসার্চ সেন্টার

[সম্পাদনা] ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি

ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি সংক্ষেপে আইআইসিটি নামেও পরিচিত। তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে অবদান রাখার উদ্দেশ্যে ২০০১ সালের জুন মাসে বুয়েট সিন্ডিকেট এই ইনস্টিটিউট চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০১ সালের ২ সেপ্টেম্বর এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এর অবকাঠামো হিসেবে বুয়েটের প্রাক্তন কম্পিউটার সেন্টারকে বেছে নেয়া হয়। এই ইনস্টিটিউট বর্তমানে একাডেমিক উইং এবং সিস্টেম এন্ড সাপোর্ট উইং এ বিভক্ত। একাডেমিক উইং একাডেমিক প্রোগ্রাম, শ্রেণীকক্ষ, ল্যবরেটরী, সেমিনার, কর্মশালা, স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। সিস্টেম এন্ড সাপোর্ট উইং ভি-স্যাট, বুয়েট ওয়েব সার্ভার, ব্রাউজিং, ওএমআর (OMR), প্রিন্টিং প্রভৃতি কার্যক্রমের সাথে যুক্ত। নিজস্ব ভি-স্যাটের মাধ্যমে বুয়েট ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। বুয়েটের ছাত্রদের বাইরেও আইআইসিটি পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি কোর্স চালু করেছে। এছাড়া TITAS (ট্রেনিং অন আইটি এপ্লিকেশন ফর স্টুডেন্টস) কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার বিষয়ক নানা প্রশিক্ষন দিচ্ছে।

এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ইতিমধ্যে বুয়েট ক্যাম্পাসে অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। আইআইসিটি নিয়মিত উচ্চমানের কর্মশালার মাধ্যমে জার্নাল প্রকাশ করে থাকে।

[সম্পাদনা] পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট

সাবেক বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিস্কাশন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর নাম পরিবর্তিত হয়ে পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট হয়েছে। বাংলাদেশের বন্যা সমস্যা, নদী ভাঙন, ভরাট ও গতিপথ পরিবর্তন, পানি নিস্কাশন সমস্যা, সেচ ব্যবস্থা, ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ পানি চলাচল, সামুদ্রিক জলোচ্ছাস প্রভৃতি বিষয়ে বাস্তবমুখী গবেষণা পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে এটি গঠিত হয়েছে। বর্তমানে এই ইনস্টিটিউট পানি সম্পদ উন্নয়নের উপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করছে।

[সম্পাদনা] ইনস্টিটিউট অফ এপ্রোপিয়েট টেকনোলজি

বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যথোপযুক্ত গবেষণা কার্যক্রম, প্রযুক্তি মূল্যায়ন, বাছাই, আত্মস্থকরন, বিকাশ, হস্থান্তর, উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করার নিজস্ব ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করাই এই ইনস্টিউটের মূল উদ্দেশ্য। দেশের বিভিন্ন কর্মকান্ড, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যা, নতুন লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রসারণ ইত্যাদির উপর বর্তমানে কাজ চলছে। বুয়েটের ব্যায়ামাগারের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে এটি অবস্থিত।

[সম্পাদনা] মিলনায়তন

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১০৩৬ আসনের একটি কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক সহ আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। এ কমপ্লেক্সে মিলনায়তন ছাড়াও ১৮৬ আসনের সেমিনার কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। এছাড়া পুরকৌশল ভবনের দোতলায় ২০০ আসন বিশিষ্ট আরেকটি সেমিনার কক্ষ আছে। শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য এতে ৩৫ ও ১৬ মি. মি. ফিল্ম প্রোজেক্টর বয়েছে।

[সম্পাদনা] লাইব্রেরী

প্রায় ২০,০০০ বর্গফুট জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীর চারতলা ভবনটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। লাইব্রেরীতে আধুনিক সকল সুবিধা রয়েছে। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে প্রায় ২০০ জন ছাত্রের একসাথে পড়ার ব্যবস্থা আছে। বুয়েট লাইব্রেরীতে রেফারেন্স ও জার্নালের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। রিপোগ্রাফিক বিভাগ নামে একটি বিভাগ রয়েছে যাতে রেফারেন্স বই ফটকপি করার ব্যবস্থা রয়েছে।

[সম্পাদনা] স্বাস্থ্য কেন্দ্র

বুয়েটে স্বাস্থ্য রক্ষার মৌলিক সুবিধাদি সম্বলিত একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। রোগ নির্ণয়ে সহায়ক অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন, আলট্রাস্নোগ্রাম, ই.সি.জি. মেশিন এবং আধুনিক স্বয়ংপূর্ণ একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাব আছে।

[সম্পাদনা] আবাসিক হল সমূহ

বুয়েটে আটটি ছাত্রাবাস রয়েছে। শহীদ স্মৃতি হল তরুন শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত যাদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক আবাসস্থল নেই।

হলগুলো বিভিন্ন সময়ে তৈরী করা হয়েছে। একারনে বিভিন্ন হল বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন বহন করে। প্রতিটি হলের তত্ত্বাবধানে থাকেন প্রভোস্ট। সাধারনত সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রভোস্ট নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি হলে তিনজন সহকারী প্রভোস্ট নিযুক্ত আছেন।

হলগুলোর বেশিরভাগই জাতীয় বীর ও নেতাদের স্মরণে নামকরন করা হয়েছে। হলগুলো হলঃ[২]

হলের নাম বর্তমান প্রভোস্ট আসনসংখ্যা
আহসান উল্লাহ হল অধ্যাপক ড. খান মাহমুদ আমানত ৩২১ (পশ্চিম)
১৬৪ (উত্তর)
তিতুমীর হল অধ্যাপক ড. মোঃ জহুরুল হক ৩৩৬
নজরুল ইসলাম হল অধ্যাপক ড. মোঃ এহসান ২৮০
ছাত্রী হল অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মালেকী ৩০৪
শের-এ-বাংলা হল অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোঃ ফিরোজ ৩৩০
সোহরাওয়ার্দী হল ড. একরামুল হক ৩২৫
ড. এম. এ. রশীদ হল অধ্যাপক ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ খসরু ৪৬৮
শহীদ স্মৃতি হল অধ্যাপক ড. সারওয়ার জাহান মোঃ ইয়াসিন ৩৩০

[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র

  1. বুয়েটের ইতিহাস. Retrieved on এপ্রিল ২৯, ২০০৭.
  2. ছাত্রপরিচালক দপ্তর. Retrieved on এপ্রিল ৩০, ২০০৭.


[সম্পাদনা] আরও দেখুন

বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা - সম্পাদনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  • বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  • শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  • শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  • পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  • কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়  • নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


[সম্পাদনা] বহির্সংযোগ

অন্যান্য ভাষা