যোগান ও চাহিদা
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অর্থনীতির ভাষায় , চাহিদা এবং যোগান বলতে কোন একটি পণ্যের ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বিদ্যমান বাজার সম্পর্ক বোঝায়। বাজারে কোন পণ্যের দাম এবং সরবরাহ কিরুপ হবে তা চাহিদা ও যোগানের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক দ্বারাই নির্ধারিত হয়। ব্যাষ্টিক অথনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি মৌলিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাখ্যার পাশাপাশি নতুন নতুন তত্ব তৈরীর ক্ষেত্রে ও এটি প্রায় সর্বদা ব্যবহৃত হয়। আন্টোনিও অগাস্টিন কর্নোট এটি সর্বপ্রথম বর্ণনা করেন এঅবং আলফ্রেড মার্শাল এটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন।
এই মডেল এর মতে , একটি মুক্ত প্রতিযোগিতামুলক বাজারে পণ্যের বিক্রয় মুল্যই ভোক্তার চাহিদা এবং বিক্রেতার সরবরাহের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে এবং একটি সাম্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করে।
[সম্পাদনা] ইতিহাস
"যোগান ও চাহিদা" শব্দগুচ্ছ সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন জেমস ডানহ্যাম স্টুয়ার্ট তার ১৭৬৭ সালে প্রকাশিত "রাজনৈতিক অর্থনীতির কার্যকারন অনুসন্ধান" বইটিতে। ১৭৭৬ সালে অ্যাডাম স্মিথ তার "জাতিসমুহের সম্পদ" বইটিতে এবং ডেভিড রিকার্ডো তার " রাজনৈতিক অর্থনীতির কার্যকারন ও করারোপ " বইটিতে এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন।
"জাতিসমুহের সম্পদ" বইটিতে স্মিথ ধরে নিয়েছিলেন যে সরবরাহ মুল্য সর্বদা স্থির থাকবে এবং দাম কমলে বা বাড়লে চাহিদা বাড়বে বা কমবে।রিকার্ডো তার ধারনা গুলো প্রকাশ করার সময় এই অনুমানগুলোর উপর আর অধিক জোর দিয়েছিলেন।১৮৩৮ সালে সম্পদের গাণিতিক বিধিমালা সংক্রান্ত গবেষনা প্রবন্ধে তিনি চাহিদা ও যোগানের মধ্যে একটি গাণিতিক সম্পর্ক দাড় করান।
উনিশ শতকের শেষদিকে প্রান্তিক(marginalist) চিন্তাধারার সুচনা ঘটে। স্ট্যনলি জেভন্স,কার্ল মেঞ্জার ও লিও ওয়াল্রস এই বিষয়টির সুচনা করেন। মুল ধারনাটি ছিলো এই যে , মুল্য নির্ধারিত হয় সর্বাধিক মুল্য দ্বারা,আর এটাই প্রান্তিক মুল্য। অ্যাডাম স্মিথ যে ধারনা করেছিলেন যে মুল্য নির্ধারিত হয় সরবরাহ মুল্য থেকে , তার থেকে এটা ছিল অনেকদুর সরে আসা।
১৮৯০ সালে আলফ্রেড মার্শাল রচিত " অর্থনীতির কার্যকারন " বইটিতে এই ধারনাটি আরো উন্নতি লাভ করে।লিও ওয়াল্রস এর সাথে মার্শাল ও একটি সাম্যাবস্থার খোজ করতে থাকেন যেখানে চাহিদা ও যোগান রেখা দুইটি মিলিত হবে। তারা বাজারের উপর এদের প্রভাব ও বোঝার চেষ্টা করলেন। উনিশ শতকের শেষথেকেই চাহিদা ও যোগানের এই সম্পর্ক গুলো মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। আর অধিকাংশ গবেষনায় হয়েছে এদের ব্যতিক্রম গুলোকে পর্যালোচনা করা নিয়ে।
প্রাথমিক অর্থনৈতিক ধারণা - সম্পাদনা |
---|
ক্রমহ্রাসমান উৎপাদন বিধি (Law of Diminishing returns) • পুঁজি (Capital) • প্রান্ত (Margin) • প্রান্তিক উপযোগ (Marginal Utility) • বন্টনতত্ত্ব (Distribution theory) • ব্যষ্টিক অর্থশাস্ত্র (Microeconomics) • যোগান ও চাহিদা (Supply and Demand) • লেসে-ফেয়ার (Laissez-faire) • শ্রমবিভাগ (Division of Labor) • সমষ্টিক অর্থশাস্ত্র (Macroeconomics) |
ভোক্তা ও বাজার বিষয়ক অর্থনৈতিক ধারণাসমূহ - সম্পাদনা |
---|
ভোক্তা (consumer) : অ্যান্টিট্রাস্ট আইন (Anti-trust Law) • ক্রেডিট কার্ড (Credit card) • চাহিদা রেখা (demand curve) • ন্যায্য-বাণিজ্য আইন (fair-trade law) • নিরপেক্ষরেখা (indifference curve) • বেটার বিজনেস ব্যুরো (Better Business Bureau) • ভোক্তার উদ্বৃত্ত (Consumer's surplus) • ভোক্তার স্বার্থসংরক্ষণ (Consumerism) • ভোগ (Consumption) • ভোগ অপেক্ষক (Consumption function) • ভোগপ্রবণতা (propensity to consume) • যোগান ও চাহিদা (supply and demand) |