আলাপ:সংখ্যা পদ্ধতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

[সম্পাদনা] দ্বিমিক?

এটা কি দ্বি + মিক? মিক কিন্তু কোন প্রত্যয় না। আন্দাজ করছি "দশমিক" থেকে এটা বানানো হয়েছে। দশমিক মানে হচ্ছে "দশম সম্বন্ধীয়"। ম-টা খুব সম্ভব দশম-এর ম থেকে এসেছে। কিন্তু দ্বিমিকের ম-টা আসলো কোথা থেকে? দশম তো জানা শব্দ। কিন্তু "দ্বিম" বলে তো কোন শব্দ নেই। Binary-র কোন পরিভাষা বাংলাদেশী বাংলায় করা হয়েছে বলে জানা নেই। এখানকার কম্পিউটার ব্যবহারকারী বাংলিশ বলতে অভ্যস্থ, তাই বাইনারি-ই লেখেন। পশ্চিমবঙ্গের পরিভাষা বইতে binary=দ্বিনিধানী (অর্থাৎ two-based)-এর উল্লেখ পাচ্ছি।--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০০:৫০, ৭ মার্চ ২০০৭ (UTC)

দ্বিমিক শব্দটি আমার তৈরী নয়। আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক গণিত বইয়ে বাইনারির বাংলা দ্বিমিক করা হয়েছে। দেখুন: "বিচ্ছিন্ন গণিত", "উচ্চ মাধ্যমিক বলবিদ্যা ও বিচ্ছিন্ন গণিত" - হারুনুর রশীদ। অবশ্য কোন অভিধানে এই শব্দটি নেই। - মুহাম্মদ ০২:১৫, ৭ মার্চ ২০০৭ (UTC)
আমি কিন্তু ছোট বেলা থেকে বাইনারি ও দ্বিনিধানী দুটোই দেখে আসছি। দুটিই পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহার হয়। দ্বিমিক কখনো দেখিনি। আমি অর্ণবের সঙ্গে একমত, দ্বিমিক যেই বানিয়ে থাকুন, এটা ভুল করে হয়ে থাকবে, এটাকে আর্য প্রয়োগ বলা যাবে কিনা সেটা বলা মুশকিল। তবে জনপ্রিয় হয়ে থাকলে রিডাইরেক্ট হিসাবে রাখাই যেতে পারে।--সপ্তর্ষি(আলাপ | অবদান) ০৪:২৯, ৭ মার্চ ২০০৭ (UTC)

দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকের সর্বত্র এখন দ্বিমিক-ই প্রচলিত পরিভাষা হয়ে গেছে। অর্থাৎ দশমিকের দশ বাদ দিয়ে দ্বি যোগ করে দ্বিমিক তথা বাইনারি। মজার ব্যাপার হল, এই একই ঘটনা পাশ্চাত্যেও ঘটেছিল। পাশ্চাত্যে বাইনারি সংখ্যার বিভিন্ন অপারেশন প্রথম লাইমলাইটে নিয়ে আসেন গটফ্রিড লাইবনিৎস। তাঁর ১৬৭৯ সালের অপ্রকাশিত খসড়াতে দেখা যায় তিনি এই নতুন সংখ্যা পদ্ধতির নাম দিয়েছিলেন bimal, অর্থাৎ decimal-এর deci বাদ দিয়ে ও bi যোগ করে, ঠিক আমাদের "দ্বিমিক"-এর মত। :-) এ ব্যাপারে আরও পড়তে পারবেন Donald Knuth-এর The Art of Computer Programming, Vol 2, Chapter 4. Arithmetic-এ। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৩:০৯, ২৩ এপ্রিল ২০০৭ (UTC)