আজম খান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আজম খান (জন্ম ফেব্রুয়ারি ২৮, ১৯৫০) একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী গায়ক। তাঁর পুরোনাম মাহবুবুল হক খান । বাবার নাম আফতাবউদ্দিন আহমেদ,মা জোবেদা খাতুন । তাঁকে বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সঙ্গীতের একজন অগ্রপথিক বা গুরু হিসেবে গন্য করা হয়। আজম খানের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ (রেল লাইনের ঐ বস্তিতে), ওরে সালেকা, ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে ইত্যাদি। সর্বোপরি তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি অংশ নেন। এছাড়া গেন্ডারিয়া ফেমাস দলের হয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ক্রিকেট খেলেছেন। প্রথম কনসার্ট বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৭২ সালে।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ছেলেবেলা
ছেলেবেলা কেটেছে আজিমপুর ১০ নং কলোনীতে। তিনি ছিলেন ঢাকেশ্বরী স্কুলের ছাত্র।
[সম্পাদনা] পারিবারিক জীবন
বিয়ে করেছিলেন ১৯৮২ সালে। সহধর্মিনী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবন। আজম খান দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। এছাড়া আছেন চার ভাই,এক বোন।
[সম্পাদনা] মুক্তিযোদ্ধা আজম খান
আজম খান মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ২১ বছর বয়সে। তার গাওয়া গান প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণ যোগাতো। তিনি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ভারতের মেলাঘরের শিবিরে।এরপর ফিরে আসেন কুমিল্লায়। সেখানে বেশ কিছুদিনের মধ্যে তাকে গেরিলা অপারেশানের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি এ সময় চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকায় তিনি সেকশান কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল তার নেতৃত্বে সংঘটিত "অপারেশান তিতাস" । তাদের দায়িত্ব ছিল ঢাকার কিছু গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করার মাধ্যমে বিশেষ করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বর্তমান শেরাটন) , হোটেল পূর্বানীর গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটানো। তাদের লক্ষ্য, ঐ সকল হোটেলে অবস্থানরত বিদেশি রা যাতে বুঝতে পারে যে দেশে একটা যুদ্ধ চলছে।