মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|
|
||||||
নীতি বাক্য "ইন গড উই ট্রাস্ট" (১৯৫৬ থেকে) "E Pluribus Unum" ("অনেকের মধ্যে এক"; লাতিন, প্রথাগত) |
||||||
সঙ্গীত দ্য স্টার-স্প্যাংগেল্ড ব্যানার |
||||||
রাজধানী | ওয়াশিংটন, ডি.সি. |
|||||
বৃহত্তম নগরী | নিউ ইয়র্ক সিটি | |||||
জাতীয় ভাষা | ইংরেজি (de facto)1 | |||||
সরকার | সংযুক্ত প্রজাতন্ত্র সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র | |||||
- | রাষ্ট্রপতি | জর্জ ডব্লিউ. বুশ (আর) | ||||
- | উপ রাষ্ট্রপতি | ডিক চেনি (আর) | ||||
- | স্পিকার অফ দ্য হাউস | ন্যান্সি পেলোসি (ডি) | ||||
- | প্রধান বিচারপতি | জন রবার্টস | ||||
স্বাধীনতা, গ্রেট ব্রিটেন থেকে | ||||||
- | ঘোষণা | জুলাই ৪ ১৭৭৬ | ||||
আয়তন | ||||||
- | মোট | ৯,৬৩১,৪২০ বর্গকিমি (৩য়) ৩,৭১৮,৬৯৫ বর্গমাইল |
||||
- | জলভাগ (%) | ৪.৮৭ | ||||
জনসংখ্যা | ||||||
- | ২০০৭ আনুমানিক | Expression error: Unrecognised punctuation character "["[১] (৩য়) | ||||
- | ২০০০ আদমশুমারি | ২৮১,৪২১,৯০৬ | ||||
- | ঘনত্ব | ৩১ /বর্গকিমি (১৭২তম) ৮০ /বর্গমাইল |
||||
জিডিপি (পিপিপি) | ২০০৬ আনুমানিক | |||||
- | মোট | $১২,২২৯,২৭৬মি [২] (১ম) | ||||
- | মাথাপিছু | $৪৩,৪৪৪ (৪র্থ) | ||||
জিডিপি (নামমাত্র) | ২০০৬ আনুমানিক | |||||
- | মোট | $১৩,২৪৪,৫৫০মি[২] (১ম) | ||||
- | মাথাপিছু | $৪৪,১৯০ (৮ম) | ||||
জিনি? (২০০৪) | ৪৫ | |||||
এইচডিআই (২০০৪) | ![]() |
|||||
মুদ্রা | মার্কিন ডলার ($) (ইউএসডি ) |
|||||
সময় স্থান | (ইউটিসি-৫ থেকে -১০) | |||||
- | গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | (ইউটিসি-৪ থেকে -১০) | ||||
ইন্টারনেট টিএলডি | .ইউএস .জিইউভি .ইডিইউ .এমআইএল | |||||
কলিং কোড | +১ | |||||
1 | ইংরেজি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ভাষা। অন্যান্য ভাষার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ স্পেনীয়, ফরাসি, ক্যারোলিনীয়, চামোরো, হাওয়াইয়ান এবং সামোয়ান ভাষা। এগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত। |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইংরেজি ভাষায় United States of America ইউনাইটেড স্টেট্স্ অফ আমেরিকা) উত্তর আমেরিকার একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানী ওয়াশিংটন, ডি.সি.। ১৭৭৬ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো সাংবিধানিক গণতন্ত্র।
প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয় ব্রিটিশ উত্তর আমেরিকার ১৩টি উপনিবেশের সমন্বয়ে। এই উপনিবেশ গুলো ১৭৭৬ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। মার্কিন বিপ্লবী যুদ্ধে জয় লাভ করার পরে ব্রিটেন ১৭৮৩ সালে প্যারিসের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকার মহাদেশ জুড়ে বিস্তার লাভ করে, এবং পৃথিবীর অন্যান্য অংশের কিছু এলাকাও এর সাথে যুক্ত হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রই পৃথিবীর একমাত্র পরাশক্তি। এটি জাতিসংঘ, জি-৮, ন্যাটো, এবং ন্যাফটার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, এবং জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসনের অধিকারী।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ইতিহাস
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
[সম্পাদনা] আদি আমেরিকান ও ইউরোপীয় উপনিবেশ
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী
যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূমি এবং আলাস্কাতে বর্তমানে যে আদিবাসীরা বাস করে তারা এশিয়া থেকে অভিবাসী হয়ে এ অঞ্চলে এসিছল। তারা আজ থেকে প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে থেকে আসা শুরু করেছিল বলে ধারণা করা হয়। কমপক্ষে ১২,০০০ বছর আগে তাদের আসার ব্যাপারটি তো প্রায় নিশ্চিত। প্রাক-কলাম্বীয় যুগের অনেক আদিইবাসী সম্প্রদায়ই অগ্রসর কৃষি, স্থাপত্য এবং রাজ্য-সদৃশ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। ইউরোপীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৪৯৩ সালের নভেম্বর ১৯ তারিখে আমেরিকা অঞ্চলের পুয়ের্তো রিকোতে এসেছিলেন। এর মাধ্যমে আদিবাসী আমেরিকানদের সাথে ইউরোপীয়দের প্রথম পরিচয় হয়। এর পর অধিকাংশ আমেরিকান আদিবাসীরাই ইউরেশিয়া অঞ্চলের মহামারী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
সে সময় আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনকারীদের বাসস্থান ছিল মূলত ফ্লোরিডায়। সেই ঔপরিবেশিক কলোনিগুলোর মধ্যে বর্তমানে কেবল ১৫৬৫ সালে স্থাপিত সেন্ট অগাস্টিন কলোনিটিই টিকে আছে। এছাড়া ফরাসি পশুর লোম ব্যবসায়ীরা গ্রেট লেক্সের নিকটে নিউ ফ্রান্স নামক একটি বাসস্থল গড়ে তুলেছিল। এর পরে স্পেনীয়রা বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিস্তৃত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে। এই অঞ্চল বর্তমান মেক্সিকোর অন্তর্গত। প্রথম সফল ইংরেজ উপনিবেশ ছিল ১৬০৭ সালে জেম্সটাউনে প্রতিষ্ঠিত ভার্জিনিয়া কলোনি এবং ১৬২০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্লাইমাউথ কলোনি। ১৬২৮ সালে ম্যাসাচুসেট্স বে কলোনি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি অর্থায়নের পর ইংরেজদের মধ্যে অভিবাসনের জোয়ার বয়ে যায়। ১৬৩৪ সালের মধ্যে নিউ ইংল্যান্ডে প্রায় ১০,০০০ পিউরিটান বাসস্থান গড়ে তোলে। ১৬১০-এর দশকের শেষ দিকে ব্রিটিশ সেদেশের বিপ্লবীদের মধ্যে ৫০,০০০ জনকে আমেরিকায় ব্রিটিশ কলোনিসমূহে স্থানান্তর করে। ১৬১৪ সাল থেকে নেদারল্যান্ডের উপনিবেশিকরা হাডসন নদীর নিম্নভূমি জুড়ে এবং ম্যানহাটন দ্বীপ ও নিউ আমস্টারডামে বসতি গড়ে তুলেছিল। ১৬৩৮ সালে সুয়েডীয়রা ডেলওয়্যার নদীর পাশ জুড়ে ছোট একটি উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল যার নাম ছিল নিউ সুইডেন। কিন্তু ১৬৫৫ সালে ডাচরা তা অধিকার করে নেয়।
ফরাসি এবং ভারতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে প্রায় ৭ বছর ধরে ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণ চলতে থাকে। ব্রিটেন ফ্রান্সের কাছ থেকে কানাডা দখল করে নেয়। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলীয় কলোনিসমূহ থেকে ফ্রাঙ্কোফোনের জনগণরা রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল। ১৬৭৪ সালে অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধে ডাচদেরকে পরাজিত করে ব্রিটেন প্রাক্তন ডাচ কলোনিসমূহ দখল করে নেয়। এর পর প্রাক্তন নিউ নেদারল্যান্ডের নাম রাখা হয় নিউ ইয়র্ক। ১৭২৯ সালে ক্যারোলিনাসমূহের বিভাজন এবং ১৭৩২ সালে জর্জিয়ার উপনিবেশিকীকরণের পর ১৩টি পৃথক পৃথক ব্রিটিশ কলোনি সৃষ্টি হয়। এই ১৩টি কলোনি মিলেই পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেছিল। যাহোক, এই রাজ্যগুলোর প্রত্যেকটিতে সক্রিয় স্থানীয় এবং উপনিবেশিক সরকার ছিল যা স্বাধীন মানুষদের নির্বাচনের মাধ্যমে জন্ম লাভ করতো। রাজ্যগুলোর চেতনার মূলে ছিল ইংরেজদের প্রাচীন অধিকারের প্রতি আত্ম নিবেদন এবং স্ব-নিয়ন্ত্রিত সরকার পদ্ধতির অনুপ্রেরণা যা পরবর্তীতে প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্ম দেয়। সবগুলো রাজ্যেই আফ্রিকান দাসদের নিয়ে বাণিজ্য করা বৈধতা পেয়েছিল। উচ্চ জন্ম হার, নিম্ন মৃত্যু হার এবং চিরস্থায়ী অভিভাবসনের কারণে কলোনিগুলোর জনসংখ্যা প্রতি ২৫ বছরে দ্বিগুণ হয়ে যেতে থাকে।
[সম্পাদনা] রাজনীতি
[সম্পাদনা] বৈদেশিক সম্পর্ক
[সম্পাদনা] সামরিক বাহিনী
[সম্পাদনা] মানবাধিকার
[সম্পাদনা] প্রশাসনিক বিভাগ
[সম্পাদনা] ভূগোল
[সম্পাদনা] অর্থনীতি
[সম্পাদনা] বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
[সম্পাদনা] পরিবহন
[সম্পাদনা] জনসংখ্যা
[সম্পাদনা] ভাষা
[সম্পাদনা] শিক্ষা
[সম্পাদনা] ধর্ম
[সম্পাদনা] জনসাস্থ্য
[সম্পাদনা] শহরাঞ্চলীয় জনসংখ্যা
[সম্পাদনা] জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সঞ্চালন
[সম্পাদনা] সংস্কৃতি
[সম্পাদনা] আরও দেখুন
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা] বিস্তারিত
[সম্পাদনা] বহিঃসংযোগ
ইতিহাস • প্রশাসনিক অঞ্চল • ভূগোল • অর্থনীতি • রাজনীতি • জনসংখ্যার পরিসংখ্যান • সংস্কৃতি • পরিবহন ব্যবস্থা • পর্যটন • সামরিক বাহিনী • ভাষা • ধর্মবিশ্বাস • সংবাদপত্র • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ • জাতীয় পতাকা • জাতীয় সঙ্গীত • শহর
উত্তর আমেরিকার দেশ ও রাজ্য সমূহ |
---|
এন্টিগুয়া ও বারবুডা • বাহামা • বার্বাডোস • বেলিজ • কানাডা • কোস্টা রিকা • কিউবা • ডোমিনিকা • ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র • এল সালভাদর • গ্রানাডা • গুয়াতেমালা • হাইতি • হুন্ডুরাস • জামাইকা • মেক্সিকো • নিকারাগুয়া • পানামা • সেইন্ট কিট্স ও নেভিস • সেন্ট লুসিয়া • সেইন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন • ত্রিনিদাদ ও টোবাগো • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অধীনতা: ডেনমার্ক: গ্রীনল্যান্ড • ফ্রান্স: গুয়াদুলুপ ∙ মার্টিনিক ∙ সেইন্ট পিয়েরে ও মিকুয়েলন • হল্যান্ড: আরুবা ∙ ওলন্দাজ এন্টিলেস • যুক্তরাজ্য: অ্যাঙ্গুইলা ∙ বারমুডা ∙ ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ∙ কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ∙ মন্টসেরাট ∙ টার্কস্ ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: নাভাসা দ্বীপপুঞ্জ ∙ পুয়ের্তো রিকো ∙ মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ |