পলক (চোখ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নেত্রপাত বা পলক ফেলা
বড় করুন
নেত্রপাত বা পলক ফেলা

চোখের পাতা, বা নেত্র পল্লব। চোখের উপর ঢাকনা হিসাবে কাজ করে। চামড়ায় মোড়া উপরের এবং নীচের পাতার প্রান্ত বরাবর এক সারি করে লোমের মত "পক্ষ" আছে। পক্ষ চোখকে দেখতে সুন্দর করে তাই কাজল (অঞ্জন) ইত্যাদি বহু প্রসাধন দ্রব্য এর উপর ব্যাবহার হয়। কিন্তু পক্ষের আসল কাজ ধুলা বালি ইত্যাদি থেকে চখকে রক্ষা। পালক ও পক্ষ অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ এবং খুব অল্প বায়ু প্রবাহকেও উপলব্ধি করতে পারে।

পলক বন্ধ খোলা করার মাধ্যমে অশ্রুকে চোখের অনাবৃত অংশের উপর মাখিয়ে চোখকে শুষ্কতা হতে রক্ষা করে। ঐছিকভাবে সম্ভব হলেও নেত্রপাত রিফ্লেক্স ক্রিয়া হিসাবে অনৈচ্ছিক ভাবে চলতে থাকে। নেত্রপাত বা পলক ফেলা এত তাড়াতাড়ি হয় যে পলক শব্দটি "ক্ষুদ্র সময়" বা ক্ষণ হিসাবেও ব্যাবহার হয়। চোখের পলকের মধ্যের পেশীগুলি দেহের দ্রুততম পেশীগুলির অন্যতম। ক্ষুদ্রতম ঐচ্ছিক পেশীও বটে (এই জন্যে মৃত্যর পর রাইগর মর্টিস প্রথম দেখা দেয় এই পেশীসমূহের মধ্যে)।

[সম্পাদনা করুন] পলকের গঠন

বড় করুন

পলকের মধ্যে বাইরে থেকে ভেতরে এই অনুক্রমে স্তর গুলি হলঃ

  1. ত্বক
  2. সাবকিউটেনিয়াস কলা
  3. পেশী (অরবিকুলারিস অক্যুলি পেশী (যা চোখ বন্ধ করে), এবং উর্ধ-পত্রের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে চোখ খোলার পেশী লিভেটর প্যাল্পেব্রি সুপিরিয়রিস)
  4. অরবাইটাল সেপ্টাম
  5. টারসাল প্লেট
  6. কঞ্জাংটাইভা

পক্ষগুলি দেখতে লোমের মত হলেও শরীরস্থান সংক্রান্ত কিছু অন্যন্য বৈশিষ্ট সমন্বিত। এদের নাড়াচাড়া করার জন্যে অ্যারাক্টরেস পাইলোরাম পেশী নেই। এরা পাতার মধ্যে প্রেথিত, এবং পাতার সাথেই নড়ে, আলাদা ভাবে নড়ে না। ট্রাকোমা রোগে পক্ষগুলি অন্তর্মুখী হয়ে যায় ও কর্নিয়ার ক্ষতি বা অন্ধত্ব ঘটাতে পারে।

পক্ষগুলি দ্বারা নির্দেশিত প্রান্ত রেখার একটু ভিতর দিয়ে সামান্য ফাঁক দিয়ে দিয়ে মিবোমিয়ান গ্রন্থিগুলির মুখ আছে। এগুলি টারসাল প্লেতেরে মধ্যে অবস্থিত জটিল সেবেসিয়াস গ্রন্থি। এদের মুখপথ বন্ধ হয়ে গেলে মিবোমিয়ান গ্রন্থি স্ফীত হয়ে আঞ্জনি (chalazion, ক্যালাজিওন) দেখা দেয়। অনেক সময় স্টাফাইলোকক্কাল সংক্রমণ হলে খুব ব্যাথাজনক স্ফীতি হয়, যাকে সাদা বাংলায় চোখ ওঠা (ইংরাজী স্টাই Stye) বলে।

[সম্পাদনা করুন] স্নায়ু সরবরাহ

[সম্পাদনা করুন] রক্ত সরবরাহ

অন্যান্য ভাষা