ড্যান ব্রাউন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ড্যান ব্রাউন | |
---|---|
ড্যান ব্রাউন
|
|
জন্ম | জুন ২২, ১৯৬৪ এক্সিটার, নিউ হ্যাম্পশায়ার, যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | ঔপন্যাসিক, গীতিকার, গায়ক |
স্বামী / স্ত্রী | ব্লিথ নিউলন |
মা ও বাবা | রিচার্ড জি. ব্রাউন, কনস্টান্স কনি ব্রাউন |
ড্যান ব্রাউন (জুন ২২, ১৯৬৪) একজন মার্কিন রোমাঞ্চকর উপন্যাস লেখক। বিতর্কিত উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড রচনার জন্য তিনি সবচেয়ে পরিচিত যা ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] প্রাথমিক জীবন
ড্যান ব্রাউন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক্সিটারে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে উঠেন। পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে তিনিউ বড়। তার মা কনস্টান্স (কনি) ছিলেন পেশাদার বাদক যিনি চার্চে অর্গান বাজাতেন। তার বাবা রিচার্ড জি. ব্রাউন ছিলেন একজন বিখ্যাত গণিত শিক্ষক যিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ফিলিপ্স এক্সিটার একাডেমিতে মাধ্যমিক গণিত পড়াতেন। ১৯৯৭ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
ফিলিপ্স এক্সিটার একাডেমি একটি উঁচুদরের আবাসিক বিদ্যালয় যেখানে নতুন শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের ভেতরেই থাকতে হয়। এই সূত্রেই ড্যান ব্রাউন এবং তার পরিবারের সবাই স্কুলের ভেতরেই থাকতেন। এক্সিটারের সামাজিক প্রতিবেশ ছিল সম্পূর্ণ খ্রিস্টানপন্থী। ব্রাউন চার্চে ঐকতান সঙ্গীত গাইতেন এবং সানডে স্কুল করতেন, আর গ্রীষ্মের সময়টা চার্চেরই শিবিরে কাটাতেন। ব্রউনের প্রাথমিক শিক্ষা জীবন কাটে পাবলিক স্কুলগুলোতে। নবম গ্রেড পর্যন্ত সেখানে পড়ার পর তিনি ফিলিপ্স এক্সিটারে ভর্তি হন এবং ১৯৮২ সালে সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তার ছোট ভাইবোনের মধ্যে ভ্যালেরিন ১৯৮৫ সালে এবং গ্রেগরি ১৯৯৩ সালে এক্সিটার থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে।
[সম্পাদনা করুন] গীতিকার এবং পপ গায়ক
ফিলিপ্স এক্সিটার থেকে স্নাতক শিক্ষা শেষ করার পর ব্রাউন অ্যামহার্স্ট কলেজে যোগ দেন; সেখানে তিনি সাই আপসাইলন নামক ভ্রাতৃসংঘের সদস্য ছিলেন। সেখানে স্কোয়াশ খেলা আর অ্যামহার্স্ট গ্লি ক্লাবে গান গেয়ে দিন কাটতো তার। একইসাথে ঔপন্যাসিক অ্যালান লেলচাকের একজন ছাত্র হিসেবে তার লেখায় সহযোগিতা করতেন।] [1]
১৯৮৬ সালে অ্যামহার্স্ট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর একজন পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। মূলত শিশুতোষ ক্যাসেট দিয়ে যাত্রা শুরু তার। প্রথম দিকের ক্যাসেটগুলোর মধ্যে রয়েছে: সিন্থঅ্যানিমেল্স, হ্যাপি ফ্রগ্স এবং সুজুকি এলিফ্যান্ট্স যার মাত্র কয়েকশো কপি বিক্রি হয়েছিলো। এরপর তিনি নিজের রেকর্ডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন' নাম দেন 'ড্যালিয়েন্স। তার কোম্পানি থেকে প্রকাশিত প্রথম সিডি ছিল পার্সপেক্টিভ যা মূলত বড়দের জন্য ছিল। এটিও কয়েকশো কপি বিক্রি হয়।
১৯৯১ সালে তিনি হলিউডে যান। উদ্দেশ্য ছিল শিল্পী, গীতিকার এবং চিত্রকর হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন। আর্থিক সচ্ছলতার জন্য এ সময় ব্রেভারলি হিল্স প্রিপারেটরি স্কুলে ক্লাস নিতেন।
লস অ্যাঞ্জেল্স-এ থাকাকালীন তিনি ন্যাশনাল একাডেমি অফ সংরাইটার্স-এ যোগ দিয়ে এর অনেক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশহগ্রহণ করেন। সেখানেই ব্লিথ নিউলনের সাথে ব্রাউনের পরিচয় হয় যিনি তার চেয়ে ১২ বছরের বড়। তিনি একাডেমির আর্টিস্ট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক ছিলেন। নিউলন ব্রাউনের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে প্রভূত সগযোগিতা করেন যদিও তা তার কাজের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছাপাতেন, ব্রাউনের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক শিক্ষণের সুযোগ করে দিতেন আর তার ক্যারিয়ারের উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে এমন ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিতেন। তখন তাদের মাঝে একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কও গড়ে উঠে যা ১৯৯৩ সালের আগে কেউই জানতোনা। এই সালেই ব্রাউন নিউ হ্যাম্পশায়ারে ফিরে যান এবং নিউলন তার সঙ্গী হন। ১৯৯৭ সালে তারা নিউ হ্যাম্পশায়ারের উত্তর কনওয়ের পি পরিজ পন্ডে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। [2]
সংগীত সংশ্লিষ্ট কাজে সহায়তা করার পাশাপাশি ব্লিথ ব্রাউনের লেখক জীবনেরও একটি বড় অনুপ্রেরণা ছিল। ব্লিথ তার লেখার জন্য প্রয়োজনীয় উপায় উপকরণ সংগ্রহে অনেক সহযোগিতা করে। প্রথম দিককার রঙ্গরসাত্মক বইগুলো দুজনে একসাথেই লিখেছিলেন আর পরবর্তী বইগুলোতেও ছিল ব্লিথের সহায়তা। ডিসেপশন পয়েন্ট বইয়ের একটি অংশে ব্রাবুন ব্লিথ ব্রাউনকে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
১৯৯৩ সালে ব্রউন নিজের নামে অর্থাৎ ড্যান ব্রাউন নামে একটি সিডি বের করেন যাতে "৯৭৬-লাভ" এবং "ইফ ইউ বিলিভ ইন লাভ" নামীয় গানগুলো ছিলো।
[সম্পাদনা করুন] নিউ ইংল্যান্ডে শিক্ষক
[সম্পাদনা করুন] রচনাবলী ও প্রকাশনা
[সম্পাদনা করুন] সিডিসমূহ
- সিন্থঅ্যানুমেল্স, একটি শিশুতোষ অ্যালবাম[3]
- পার্সপেক্টিভ, ১৯৯০, ড্যালিয়েন্স. গানের সিডি[4]
- ড্যান ব্রউন, ১৯৯৩, ডিবিজি রেকর্ডস, [5]
- অ্যঞ্জেল্স অ্যান্ড ডেমন্স, ১৯৯৫, ডিবিজি রেকর্ডস ("হেয়ার ইন দিস ফিল্ড" এবং "অল আই বিলিভ"-নামক গানগুলো ) [6]
- মিউসিকা অ্যানিমেলিয়া ২০০৩, ফ্যামিলিস ফার্স্ট নামক সংগঠনের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি দাতব্য সিডি[7]
[সম্পাদনা করুন] ব্যাঙ্গরসাত্মক রচনাসমূহ
- ১৮৭ মেন টু এভয়েড: অ্যা সারভাইভাল গাইড ফর রোমান্টিক্যালি ফ্রাস্ট্রেটেড , ১৯৯৫, ড্যানিয়েল ব্রাউন ছদ্মনামে তার স্ত্রীর সাথে যৌথভাবে লিখেন।
- দি বাল্ড বুক, ১৯৯৮, স্ত্রীর সাথে যৌথভাবে
[সম্পাদনা করুন] উপন্যাস
- ডিজিটাল ফোরট্রেস, ১৯৯৮
- অ্যাঞ্জেল্স অ্যান্ড ডেমন্স, ২০০০
- অ্যাঞ্জেল্স অ্যান্ড ডেমন্স, স্পেশাল ইলাস্ট্রেটেড এডিশন, ২০০৫, অ্যাট্রিয়া
- ডিসেপশন পয়েন্ট, ২০০১
- দ্য দা ভিঞ্চি কোড, ২০০৩
- দ্য দা ভিঞ্চি কোড, স্পেশাল ইলাস্ট্রেটেড এডিশন, ২০০৪, ডাবলডে
- দ্য সোলোমন কি, সম্প্রতি লিখছেন, ২০০৭ সালে প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
[সম্পাদনা করুন] চলচ্চিত্র
- দ্য দা ভিঞ্চি কোড (চলচ্চিত্র), ২০০৬ (নির্বাহী প্রযোজকের ভূমিকা পালন করেন)
[সম্পাদনা করুন] তথ্যসূত্র
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- "লেখকের সাথে আলোচনা", মার্চ ২০, ২০০৩
- বিবিসি সংবাদ, আগস্ট ১০, ২০০৪। "Dan Brown: Decoding the Da Vinci Code author"
- "ভেনি ভিডি দ্য ভিঞ্চি", ডিসেম্বর ১২, ২০০৪, দ্য গার্ডিয়ান-এ লেখকের প্রোফাইল
- "Da Vinci Code Dad Named in Multimillion-Dollar Gift", November 1, 2004, The Exeter Initiatives
- Rogak, Lisa. The Man Behind the Da Vinci Code - an Unauthorized Biography of Dan Brown, 2005, Andrews McMeel Publishing. ISBN 0-7407-5642-7
- Paul Vallely, "A religious kinda guy. . . " The Indepdendent, 23 April 2005 [8]
- MP3 excerpts of Brown's CDs, at Rogak's website
- "Harry Potter still magic for book sales", January 9, 2006, CBC Arts - lists comparative sales figures between a few bestselling books in North America, including two of Brown's books, the latest Harry Potter book, and A Million Little Pieces, by James Frey
- The Observer, March 12, 2006, "How Dan Brown's wife unlocked the code to bestseller success"
- The Standard, March 15, 2006, "Brown duels in court"
- The Age (Australia), March 16, 2006, "Da Vinci author finds his marriage on trial"
- Dan Brown witness statement in Da Vinci Code case
[সম্পাদনা করুন] বহিঃসংযোগ
- Official Dan Brown Site
- Dan Brown entry at nndb.com
- The Dan Brown Code
- Australia's Courier Mail
- Summary of Judgement
Template:ড্যান ব্রাউন