লিনাক্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

লিনাক্স কম্পিউটার যন্ত্রের জন্যে তৈরী একটি পরিচালক ব্যবস্থা (অপারেটিং সিস্টেম)। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল বা মূল অংশকেও লিনাক্স বলা হয়।

লিনাক্সকে উন্মুক্ত-উৎস (ওপেন সোর্স) ও বিনামূল্য সফটওয়্যার (ফ্রি সফটওয়্যার) ধারার একটি আদর্শ উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য স্বত্ত্ব-সংরক্ষিত অপারেটিং সিস্টেম যেমন উইন্ডোস এবং ম্যাক ওএস-এর থেকে লিনাক্স বিভিন্নভাবে আলাদা। লিনাক্সের অন্তর্নিহিত কোড-উৎস (সোর্স কোড) যে কেউ বাধাহীনভাবে ব্যবহার করতে পারেন, এর উন্নতিসাধন করতে পারেন, এমনকি পুনর্বিতরণও করতে পারেন।

অতি সঠিকভাবে লিনাক্স বলতে শুধু লিনাক্স কার্নেলকেই বোঝায়। তবে যে-সব ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে এবং মূলত গনু (ও অন্যান্য) প্রকল্পের কোড সংগ্রহ (লাইব্রেরি) ও হাতিয়ার (টুলস) ওই কার্নেলের সাথে যুক্ত করে বানানো হয়েছে, সাধারণভাবে সে-সব অপারেটিং সিস্টেমকে লিনাক্স হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

আরও ব্যাপক অর্থে একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন বলতে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ও এর সাথে সরবরাহকৃত বিপুল পরিমাণের এপ্লিকেশন সফটওয়্যার-এর সমষ্টিকে বোঝায়। লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনগুলো সহজেই কম্পিউটারে সংস্থাপন (ইন্সটল) ও হালনাগাদ (আপডেট) করা যায়।

কিছু ডেস্কটপ পরিবেশ যেমন গনোম এবং কেডিই সাধারণত কেবল লিনাক্সের সাথে জড়িত বলে ধারণা করা হলেও এগুলো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমেও (যেমন ফ্রিবিএসডি-তে) ব্যবহৃত হয়।

প্রাথমিকভাবে কেবল কিছু উৎসাহী ব্যক্তিই মূলত লিনাক্স ব্যবহার ও এর উন্নতিসাধন করতেন। এখন বড় বড় কর্পোরেশন যেমন আইবিএম, সান মাইক্রোসিস্টেমস, হিউলে-প্যাকার্ড, নভেল, ইত্যাদি সার্ভারে ব্যবহারের জন্যে লিনাক্সকে বেছে নিয়েছে। ডেস্কটপ বাজারেও লিনাক্সের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। লিনাক্স বিশেষজ্ঞ ও লিনাক্স সমর্থকদের মতে লিনাক্সের এই উত্থানের পেছনে কারণ লিনাক্স সস্তা, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট বিক্রেতার কাছ থেকে কিনতে হয় না, অর্থাৎ এটি বিক্রেতা-অধীন নয়।

লিনাক্স প্রাথমিকভাবে ইন্টেল ৩৮৬ মাইক্রোপ্রসেসর-এর জন্য তৈরী করা হলেও এখন এটি বর্তমানের সব জনপ্রিয় (এমনকি অনেক পুরনো ও বিরল) কম্পিউটার আর্কিটেকচার-এর অধীনে কাজ করে। গ্রথিত ব্যবস্থা (এম্বেডেড সিস্টেম), যেমন মোবাইল ফোন, ব্যক্তিগত ভিডিও রেকর্ডার, ইত্যাদি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার, এমনকি সুপারকম্পিউটার - সব পরিবেশেই এখন লিনাক্স ব্যবহৃত হয়।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা করুন] ইতিহাস

১৯৮৩ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গনু প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করেন। গনু প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুরোপুরি বিনামূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি পূর্ণাঙ্গ ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। ৯০-য়ের দশকের শুরুর দিকেই গনু এই অপারেটিং সিস্টেমের প্রায় সমস্ত দরকারী উপাদানগুলো বানাতে বা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন কোড লাইব্রেরি, কম্পাইলার, টেক্সট সম্পাদক (টেক্সট এডিটর), একটি ইউনিক্স-সদৃশ খোলস (শেল), এবং আরও অন্যান্য সফটওয়্যার। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তখনও বাকি ছিল, আর তা হল কার্নেল - অপারেটিং সিস্টেমটির নিম্নতম স্তরের উপাদান বা ভিত্তি।

১৯৯০ সালে গনু প্রকল্প তাদের নিজস্ব কার্নেল গনু হার্ড-এর ওপর কাজ শুরু করে। হার্ড-এর প্রাথমিক পরিকল্পক টমাস বুশনেলের কথানুযায়ী গনুর প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল বিএসডি ৪.৪-লাইট কার্নেলটি তাদের কাজের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা। পেছনের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেছেন, “এখন আমি নিশ্চিত যে এ-পরিকল্পনাটি দারুণভাবে সফল হত, আর বিশ্বকে তখন খুবই ভিন্ন দেখাত।” কিন্তু বার্কলির প্রোগ্রামারদের মধ্যে সহযোগিতার ঘাটতি দেখে স্টলম্যান হার্ড প্রকল্পের জন্য মাখ মাইক্রোকার্নেল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পরে দেখা যায় এটির ব্যবহার আশাতীতভাবে কষ্টসাধ্য, ফলে হার্ডের উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে এগোতে থাকে।

প্রায় কাছাকাছি সময়ে, ১৯৯১ সালে, লিনুস তোরভাল্দ্‌স নামের এক ফিনীয় ছাত্র ইউনিভার্সিটি অফ হেলসিংকি-তে পাঠরত অবস্থায় শখের বশে আরেকটি কার্নেলের ওপর কাজ শুরু করেন। এই কার্নেলটিই পরে লিনাক্স কার্নেলে রূপ নেয়। লিনুস প্রথমদিকে মিনিক্স নামের একটি সরলীকৃত ইউনিক্স-সদৃশ অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ শুরু করেন। মিনিক্সের রচয়িতা ছিলেন এন্ড্রু টানেনবম, এক প্রখ্যাত অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন প্রশিক্ষক। তবে টানেনবম তাঁর মিনিক্স সিস্টেমের ওপর সরাসরি কাজ করে উন্নতিসাধনের অনুমতি দিতেন না। ফলে লিনুসকে মিনিক্সের সমতুল্য একটি সিস্টেম বানাতে হয়। লিনুস প্রথমে আইএ-৩২ এসেম্বলার ও সি-এর সাহায্যে একটি টার্মিনাল এমুলেটর রচনা করেন ও এটিকে কম্পাইল করে বাইনারি আকারে রূপান্তরিত করেন, যাতে এটি যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের বাইরে ফ্লপি ডিস্ক থেকে বুট করে চালানো যায়। টার্মিনাল এমুলেটরটিতে একসাথে দুইটি থ্রেড চলত। একটি থ্রেড ছিল সিরিয়াল পোর্ট থেকে ক্যারেক্টার পড়ার জন্য, আর অন্যটি ছিল পোর্টে ক্যারেক্টার পাঠানোর জন্য। যখন লিনুসের ডিস্ক থেকে ফাইল পড়া ও লেখার প্রয়োজন পড়ল, তখন তিনি এই এমুলেটরটির সাথে একটি সম্পূর্ণ ফাইলসিস্টেম হ্যান্ডলার যোগ করেন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি এটিকে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম কার্নেলে রূপ দেন, যাতে এটিকে পজিক্স-অনুগামী সিস্টেমসমূহের ভিত্তিরূপে ব্যবহার করা যায়। লিনাক্স কার্নেলের প্রথম সংস্করণ (০.০.১) ইন্টারনেটে প্রকাশ পায় ১৯৯১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর। কিছুদিন পরেই ১৯৯১-এর অক্টোবরে এর দ্বিতীয় সংস্করণটি বের হয়। তখন থেকে সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার ডেভেলপার লিনাক্সের এই প্রজেক্টে অংশ নিয়েছেন। এরিক রেমন্ড-এর লেখা প্রবন্ধ The Cathedral and the Bazaar-এ লিনাক্স কার্নেলের (ও অন্যান্য সমজাতীয় সফটওয়্যারের) উন্নয়নপ্রক্রিয়ার মডেল সম্পর্কে আলচনা করা হয়েছে।

লিনাক্সের ০.০১ সংস্করণে লিনুস যথেষ্টসংখ্যক পজিক্স সিস্টেম কল বাস্তবায়ন করেন যাতে লিনাক্স গনু’র ব্যাশ শেল চালাতে পারে। এই বুটস্ট্র্যাপিং প্রক্রিয়াটির বাস্তবায়ন লিনাক্সের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে। প্রথমদিকে লিনাক্স সংস্থাপন (install), গঠন-প্রকৃতি নির্ধারণ (configure) ও সংকলন (compile) করার জন্য মিনিক্স-চালিত কম্পিউটারের প্রয়োজন হত। এছাড়া লিনাক্সের প্রাথমিক সংস্করণগুলোকে হার্ড ডিস্ক থেকে বুট করানোর জন্য অপর একটি অপারেটিং সিস্টেমের উপস্থিতির প্রয়োজন হত। তবে শীঘ্রই এ-সমস্যার সমাধান হিসেবে তৈরী করা হয় কিছু আত্মনির্ভরশীল বুটলোডার; এই বুটলোডারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিতটির নাম লিলো। এরপর লিনাক্স উপযোগিতার হিসেবে মিনিক্সকে দ্রুত ছাড়িয়ে যায়। লিনুস ও লিনাক্স কার্নেলের অন্যান্য প্রাথমিক ডেভেলপারেরা কার্নেলের পরিবর্তন সাধন করেন যাতে সেটি গনুর বিভিন্ন উপাদান ও ব্যবহারকারীদের জন্য লেখা প্রোগ্রামগুলোর সাথে কাজ করতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে লিনাক্স গঠন ও উপযোগিতার হিসেবে একটি সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমে রূপ নিতে থাকে।

বর্তমানে লিনাক্স কার্নেলের উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন লিনুস তোরভাল্দ্‌স নিজে, তবে কার্নেলের সহযোগী অন্যান্য ব্যবস্থাগুলো, যেমন গনু উপাদানগুলো, আলাদাভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর লিনাক্স বিতরণকারী বিক্রেতা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান কাজ হচ্ছে এই সবগুলো উপাদান একত্র করে এবং এর সাথে গ্রাফিকাল ইন্টারফেস (যেমন এক্স-উইন্ডো সিস্টেম-ভিত্তিক গনোম বা কেডিই) ও এপ্লিকেশন সফটওয়্যার যোগ করে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিচালক ব্যবস্থা তৈরী করা।

লিনাক্সের ম্যাসকট ও লোগো হচ্ছে টাক্স নামের পেঙ্গুইন। ১৯৯৬ সালে ল্যারি ইউয়িং-এর আঁকা একটি ছবি থেকে টাক্স আঁকার অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে। টাক্স ছাড়াও ওএস-ট্যান ও আরও কিছু লিনাক্স প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্র রয়েছে, তবে এগুলো খুব প্রচলিত নয়।

“লিনাক্স” নামটি কিন্ত লিনুস তোরভাল্দ্‌সের দেওয়া নয়। লিনাক্সের নামকরণের কৃতিত্ব আরি লেমকের। লেমকে হেলসিংকি ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজিতে ftp.funet.fi নামক একটি এফটিপি সার্ভারের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সার্ভারটি ছিল ফিনীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা নেটওয়ার্ক-এর একটি অংশ, আর এই নেটওয়ার্ক-এর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি ছিল লিনুসের ইউনিভার্সিটি অফ হেলসিংকি। লিনুস যখন তার অপারেটিং সিস্টেম প্রকল্পটি এই সার্ভারটিতে রক্ষা করার জন্য লেমকে-কে দেন, লেমকে তখন তা একটি ডিরেক্টরিতে রাখেন ও ডিরেক্টরিটির নাম দেন “লিনাক্স”, অর্থাৎ “লিনুসের মিনিক্স” কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। লিনুস অবশ্য নিজে প্রকল্পটির নাম “ফ্রিক্স” (freax) রাখতে চাচ্ছিলেন, যা ছিল “ফ্রি” (বিনামূল্য) ও ইউনিক্সের শেষ অক্ষর “এক্স”-এর সম্মিলিত রূপ। শেষ পর্যন্ত লেমকের দেয়া লিনাক্স নামটিই টিকে যায়।

[সম্পাদনা করুন] লাইসেন্সকরণ

লিনাক্স কার্নেল ও বেশির ভাগ গনু উপাদান GNU General Public License (জিপিএল)-এর আওতাধীন। জিপিএল-কৃত কোড-উৎসের সব সংশোধন ও এর থেকে উদ্ভূত সব কাজও জিপিএল-এর আওতাধীন হয়। লিনুস এ-সম্পর্কে ১৯৯৭ সালে বলেন, “লিনাক্সের জিপিএল-করণ নিশ্চিতভাবেই আমার করা সেরা কাজ।“ লিনাক্সের অন্যান্য সহযোগী ব্যবস্থাগুলো অন্য লাইসেন্স ব্যবহার করে, যেমন অনেকগুলো কোড লাইব্রেরি এলজিপিএল ব্যবহার করে, আর এক্স-উইন্ডো ব্যবস্থা এমআইটি লাইসেন্স ব্যবহার করে।

লিনুস তোরভাল্দ্‌স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লিনাক্স ট্রেডমার্কটির মালিক। ট্রেডমার্কটির লাইসেন্সকরণ বর্তমানে দেখাশোনা করছে লিনাক্স মার্ক ইন্সটিটিউট (এলএমআই)। এলএমআই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অন্যান্য দেশে লিনাক্স ট্রেডমার্ক প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

[সম্পাদনা করুন] প্রয়োগ

একটি গনোম ডেস্কটপ
বড় করুন
একটি গনোম ডেস্কটপ

অতীতে লিনাক্স সংস্থাপন ও এর গঠন-প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের প্রয়োজন হত। তাছাড়া ব্যবহারকারীরা লিনাক্সের ভেতরের অংশে সরাসরি প্রবেশাধিকার পান। এই কারণে অতীতের লিনাক্স ব্যবহারকারীরা বেশির ভাগই মাইক্রোসফট উইন্ডোস ও ম্যাক ওএস ব্যবহারকারীদের চেয়ে বেশী প্রযুক্তিমনা হতেন। তারা নিজেদেরকে হ্যাকার বা গীক বলতেও ভালবাসতেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিনাক্স ব্যবহারকারীদের এই বাঁধাধরা রূপ আর দেখা যায় না। লিনাক্সের ব্যবহারকারী-বন্ধুভাবাপন্নতা (user friendliness) অনেক বেড়েছে, আর লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন এখন বহু স্থানে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ উদ্দেশ্যের (special purpose) বাজার, যেমন ছবি পরিবেশন (image rendering), ওয়েব সেবা, ইত্যাদির বাজার এবং সার্ভার বাজারগুলোতে লিনাক্সের ভাগ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। লিনাক্স বর্তমানে ডেস্কটপ বাজারের মতো তুলনামূলকভাবে বড় আয়তনের বাজারেও ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করছে।

একটি কেডিই ডেস্কটপ
বড় করুন
একটি কেডিই ডেস্কটপ

লিনাক্স তথাকথিত ল্যাম্প সার্ভার-সফটওয়্যার সম্মিলনের (লিনাক্স, অ্যাপাচি (Apache), মাইএসকিউএল (MySQL), পার্ল/পাইথন/পিএইচপি) ভিত্তি। ল্যাম্প প্ল্যাটফর্মটি ওয়েব ডেভেলপারদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। উইকিপিডিয়ার জন্য লেখা মিডিয়াউইকি সফটওয়্যারটিও ল্যাম্প প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। এছাড়া লিনাক্সে রয়েছে অনেক ডাটাবেস সফটওয়্যার যেমন - মাইএসকিউএল, সাইবেস এএসই, এমএসকিউএল, ইত্যাদি।

[সম্পাদনা করুন] লিনাক্সের বহনযোগ্যতা

বহনযোগ্যতা বলতে এখানে একই সফটওয়্যারের বিভিন্ন পরিবেশে কাজ করার ক্ষমতাকে বোঝানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে লিনাক্স কার্নেল কেবল ৩৮৬-জাতীয় প্রসেসরের জন্যই বানানো হত। পরবর্তীতে একে অন্যান্য আর্কিটেকচারের অধীনেও কর্মক্ষম করা হয়। যেমন:

  • ইন্টেল/এএমডি x৮৬
  • x৮৬-৬৪ (এএমডি'র এএমডি৬৪ এবং ইন্টেলের ইএম৬৪টি)
  • আইএ-৬৪
  • এআরএম
  • ডিইসি আলফা
  • ইএসএ/৩৯০
  • মোটোরোলা ৬৮কে
  • মিপ্স
  • পিএ-রিস্ক
  • পাওয়ারপিসি
  • সুপারএইচ
  • স্পার্ক
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন