সোনার কেল্লা (উপন্যাস)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সোনার কেল্লা সত্যজিৎ রায়ের একটি গোয়েন্দা উপন্যাস, যা পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র রূপ দেয়া হয়। ফেলুদা সিরিজের এই উপন্যাসটি ১৯৭১ সালে (১৩৭৮ বঙ্গাব্দ) শারদীয়া দেশ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড ১৯৭১ সালে ডিসেম্বর মাসে ৮৬ পৃষ্ঠার [১] গ্রন্থাগারে প্রকাশ করে। বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন সত্যজিৎ রায়। সোনার কেল্লায় লালমোহনবাবুর(জটায়ু) চরিত্র প্রথম আত্মপ্রকাশ করে।

সত্যজিৎ রায়ের ফিল্মের জীবন ফেলুদার সঙ্গে জড়িত। গুপী গাইন বাঘা বাইন ছায়াছবি বানানোর সময় জয়সলমীরে তোলা হাল্লা রাজার দূর্গ হয়ে ওঠে সোনার কেল্লা। সোনার কেল্লার গল্পের প্রথম খসড়ার নাম, ঠিক কবে লেখা অথবা কতদিনে লেখা সেটা জানা যায় না। ১৯৭২ সাল থেকে সত্যজিৎ রায় ফেলুদা লেখার সময় শুরু এবং শেষ হওয়ার দুটো তারিখই দিতে শুরু করেন [২]

[সম্পাদনা করুন] কাহিনী

এর কাহিনী গড়ে উঠেছে মুকুল নামে একটি জাতিস্মর বালককে কেন্দ্র করে। সুধীর ধরের ছেলে মুকুল ছয় বছর বয়সে পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণ করতে থাকে। সোনার কেল্লার ছবি এঁকে মা-বাবাকে দেখায়। প্যারাসাইকলজিস্ট ডক্টর হাজরা মুকুলকে পরীক্ষা করে মুকুলের সঙ্গে পশ্চিম রাজস্থানে সোনার কেল্লার খোঁজে যেতে রাজি হন। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর বর্মন এবং বোস নামে দুজন দুষ্কৃতকারী আসল ডক্টর হাজরাকে পাহাড়ে ফেলে দিয়ে ছলে-কৌশলে মুকুলের বিশ্বাস অর্জন করে। বর্মন ডঃ হাজরার এবং বোস বিশ্বভ্রমণকারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে।

ইতোমধ্যে সুধীরবাবুর সন্দেহ হয় যে ছেলে মুকুল বিপদে পড়েছে। তিনি ফেলুদার (প্রদোষ মিত্তির) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফেলুদা মাসতুতো ভাই তোপ্‌সেকে (তপেশরঞ্জন মিত্র) নিয়ে যোধপুরে রওনা হয়ে যান। পথে লালমোহনবাবুর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়। ফেলুদা, তোপ্‌সে এবং লালমোহনবাবু যোধপুরের সার্কিট হাউসে মুকুলের সঙ্গে ছদ্মবেশী ডঃ হাজরা এবং বোসের দেখা পান। বর্মন মুকুলকে সম্মোহন করে জানতে পারে সোনার কেল্লার অবস্থান জয়সলমীরে। ফেলুদাকে সাময়িকভাবে বোকা বানিয়ে বর্মন এবং বোস মুকুলকে নিয়ে জয়সলমীরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

এরপরে ফেলুদা তোপ্‌সে এবং লালমোহনবাবুকে নিয়ে নানা ঘটনা ও বাঁধা-বিপত্তির মধ্যে রহস্যের সমাধান করেন। আসল ডঃ হাজরার খোঁজ পাওয়া যায়। জয়সালমীরের সোনার কেল্লায় দুষ্কৃতকারীরা ধরা পড়ে। মুকুলকে ফেলুদা উদ্ধার করে। মুকুলও এই ঘটনাপ্রবাহে পুর্বস্মৃতি ভুলে যায়।


[সম্পাদনা করুন] তথ্যসূত্র

  1. সোনার কেল্লা দ্বাদশ মুদ্রণ: এপ্রিল ১৯৭৭, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
  2. খসড়া খাতায় ফেলুদা : সন্দীপ রায়। ফেলুদা সমগ্র প্রথম খন্ড, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রথম সংস্করণ, জানুয়ারী ২০০৫


এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন


সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা সিরিজ - সম্পাদনা

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি (১৯৬৫-১৯৬৬) • বাদশাহী আংটি (১৯৬৬-১৯৬৭) • কৈলাস চৌধুরীর পাথর (১৯৬৭) • শেয়াল দেবতা রহস্য (১৯৭০) • গ্যাংটকে গন্ডগোল (১৯৭০) • সোনার কেল্লা (১৯৭১) • বাক্স রহস্য (১৯৭২) • কৈলাসে কেলেংকারী (১৯৭৩) • সমাদ্দারের চাবি (১৯৭৩) • রয়েল বেঙ্গল রহস্য (১৯৭৪) • ঘুরঘুটিয়ার ঘটনা (১৯৭৫) • জয়বাবা ফেলুনাথ (১৯৭৫) • বোম্বাইয়ের বোম্বেটে (১৯৭৬) • গোঁসাইপুর সরগরম (১৯৭৬) • গোরস্থানে সাবধান (১৯৭৭) • ছিন্নমস্তার অভিশাপ (১৯৭৮) • হত্যাপুরী (১৯৭৯) • গোলকধাম রহস্য (১৯৮০) • যত কান্ড কাঠমান্ডুতে (১৯৮০) • নেপোলিয়নের চিঠি (১৯৮১) • টিনটোরেটোর যীশু (১৯৮২) • অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য (১৯৮৩) • জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রা (১৯৮৩) • এবার কান্ড কেদারনাথে (১৯৮৪) • বোসপুকুরে খুনখারাপি (১৯৮৫) • দার্জিলিং জমজমাট (১৯৮৬) • অপ্সরা থিয়েটারের মামলা (১৯৮৭) • ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর (১৯৮৭) • শকুন্তলার কন্ঠহার (১৯৮৮) • লন্ডনে ফেলুদা (১৯৮৯) • গোলাপী মুক্তা রহস্য (১৯৮৯) • ডাঃ মুনসীর ডায়রি (১৯৯০) • নয়ন রহস্য (১৯৯০) • রবার্টসনের রুবি (১৯৯২) • ইন্দ্রজাল রহস্য (১৯৯৫) • ফেলুদা (অসম্পূর্ণ; ১৯৯৫) • ফেলুদা ওয়ান ফেলুদা টু  • ডবল ফেলুদা (সংকলন) • ফেলুদা প্লাস ফেলুদা (সংকলন)

অন্যান্য ভাষা