রক্ত
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রক্ত(Blood) হল উচ্চশ্রেনীর প্রানিদেহের এক প্রকার কোষবহুল, বহু জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত সামান্য লবনাক্ত, আঠালো, ক্ষারধর্মী ও লালবর্ণের ঘন তরল পদার্থ যা হৃৎপিন্ড, ধমনী, শিরা ও কৌষিক জালিকার মধ্য দিয়ে নিয়ত আবর্তনশীল। রক্ত একধরেণের তরল যোজক কলা।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা করুন] রক্তের অংশ
রক্তের মূল অংশ দুইটি। যথা:
- রক্তরস (Blood Plasma)
- রক্ত কণিকা (Blood corpuscle)
[সম্পাদনা করুন] রক্তরস
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস (plasma) বলে। রক্তকনিকা ব্যতীত রক্তের বাঁকী অংশই রক্ত রস। মেরুদন্ডী প্রানিদের রক্তের প্রায় ৫৫% রক্তরস, এটি ইষৎ হলুদাভ। এতে প্রায় ৯১-৯২% পানি ও বাকি ৮-৯% জৈব ও অজৈব কঠিন পদার্থ থাকে।
কাজ:
- এর মাধ্যমে পাচিত খাদ্যবস্তু, হর্মোন, উৎসেচক, ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়।
- রক্তরসের প্রোটিনের পরিমান রক্তের সান্দ্রতা (ঘনত্ব), তারল্য (fluidity), প্রবাহধর্ম (rheology) বজায় রাখে এবং পানির অভিস্রবণিক চাপ নিয়ন্ত্রন করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রেন সাহায্য করে।
- অ্যান্টিবডি, কম্প্লিমেন্টস ইত্যাদি প্রাথমিক রোগপ্রতিরোধ উপকরণ ধারণ করে।
[সম্পাদনা করুন] মানব রক্তরসের কিছু প্রোটিন উপাদান
- রক্তের অ্যালবুমিন
- নানান গ্লোব্যুলিন ( অ্যান্টিবডি গামা/ইম্যুনো গ্লোব্যুলিন)
- প্রতঞ্চক ও প্রতিতঞ্চক উপাদান সমূহ
- ফাইব্রোনেক্টিন ও ভিট্রোনেক্টিন
- কম্প্লিমেন্টস (২০টির বেশী)
- সি আর পি
- ট্রান্সফেরিন
- ট্রান্সথাইরেটিন
- সেরুলোপ্লাজমিন
- হ্যাপ্টোগ্লোবিন
- হিমোপেক্সিন
- সাইটোকাইনস
- লাইপোপ্রোটিন ও কাইলোমাইক্রন
- এল বি পি
[সম্পাদনা করুন] রক্তকণিকা
রক্তের প্লাজমার মধ্যে নির্দিষ্ট আকার ও গঠন বিশিষ্ট উপাদান বা রক্ত কোষসমূহকে রক্ত কণিকা বলে। রক্তে প্রায় তিন ধরেণের কণিকা পাওয়া যায়। যথা: ক. লোহিত কণিকা (Erythorcytes),
খ. শ্বেত কণিকা (Leucocytes),
গ. অণুচক্রিকা (Thrombocytes)।