দিয়েগো ম্যারাডোনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দিয়েগো ম্যারাডোনা
বড় করুন
দিয়েগো ম্যারাডোনা
১৯৭৯ সালের যুব বিশ্বকাপের শিরোপা হাতে ম্যারাডোনা
বড় করুন
১৯৭৯ সালের যুব বিশ্বকাপের শিরোপা হাতে ম্যারাডোনা

দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা (অক্টোবর ৩০, ১৯৬০) একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি আর্জেন্টিনা দলের হয়ে ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, এবং ১৯৯০ সালে রানার-আপ হয়।

[সম্পাদনা করুন] ম্যারাডোনার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাপঞ্জি

  • ১৯৬০-৩০ শে অক্টোবর বুয়েনোস আয়ার্স এর লেনাস জেলায় জন্ম।
  • ১৯৭৬- স্থানীয় ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের অভিষেক।
  • ১৯৭৭- ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। বয়স ১৬ বছর ১২০ দিন।
  • ১৯৭৮-বয়সে কম হবার কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়লেন।
  • ১৯৭৯- ২ জুন, জাপানে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপ এ জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করলেন। অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা ও জয় করলেন।
  • ১৯৮২-২১ বছর বয়সে দলের সাথে ইউরোপে পাড়ি জমালেন স্পেন এ বিশ্বকাপ খেলার জন্য।ব্রাজিলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে আর্জেন্টিনা বিদায় নিলো।
  • ১৯৮৪- ইতালীয় ক্লাব নেপোলিতে যোগ দিলেন। ৪.৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ।
  • ১৯৮৬-ঈশ্বরের হাতের খ্যাতি আর সাথে সাথে অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন বিশ্বকাপ। এ বছরই ইউরোপের সেরা ফুটবলার এর পুরস্কার পেলেন।
  • ১৯৮৭- নেপোলিকে জিতালেন ইতালীয় ফুটবলের শিরোপা।
  • ১৯৯০-সন্তানের পিতৃত্ব সঙ্ক্রান্ত মামলায় জরিমানা।বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল আর্জেন্টিনা।
  • ১৯৯১-ড্রাগ টেস্ট এ পজিটিভ হবার কারণে ইতালি ত্যাগ করতে হল। কোকেন গ্রহণের অভিযোগে আর্জেন্টিনায় গ্রেফতার হলেন।
  • ১৯৯২-স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়্যাতে যোগ দিলেন।কিন্তু আশানুরূপ ক্রীড়া নৈপূণ্য দেখাতে পারলেন না।
  • ১৯৯৩-সেভিয়্যা ছেড়ে আবার আরজেন্টিনায় ফিরে এলেন। যোগ দিলেন স্থানীয় নোয়েল ওল্ড বয়েজ দলে।
  • ১৯৯৪-আবার ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হলে এক ম্যাচ পরেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেন।এরপর আর জাতীয় দলে খেলেন নি।
  • ১৯৯৬-মাদকাসক্তি থেকে মুক্তিলাভের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হলেন।
  • ১৯৯৭-৩৭ বছর বয়সে অবসর নিলেন।
  • ২০০০-হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উরুগুয়ে এ এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
  • ২০০২-মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি লাভের আশায় কিউবা তে চলে গেলেন।
  • ২০০৩-ম্যারাডোনা তার ছেলের সাথে দেখা করলেন প্রথম বারের মত।এর আগে তিনি সবসময় তাকে পুত্র হিসেবে অস্বীকার করে আসছিলেন।
  • ২০০৪- ১৯শে এপ্রিল, আরেকবার গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তাকে।