এনায়েতুল্লাহ্‌ খান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এনায়েতুল্লাহ্‌ খান বাংলাদেশের বিশিষ্ট্য সাংবাদিক ও সাবেক মন্ত্রী। তিনি ইংরেজী দৈনিক "হলি ডে'" এর সম্পাদক ছিলেন। কয়েকটি দেশে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা করুন] জন্ম ও পরিবার

এনায়েতুল্লাহ্‌ খান ২৫ মে ১৯৩৯ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবের স্পিকার বিচারপতি আবদুল জব্বার খান। তার ভাই-বোনদের মধ্যে সাংবাদিক সাদেক খান, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন এবং বিএনপি সরকারের সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী (অষ্টম জাতীয় সংসদ) বেগম সেলিনা রহমান, ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এর প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান।[১]

[সম্পাদনা করুন] শিক্ষা ও রাজনীতি

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক। ছাত্রজীবনে তিনি আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা হলের (বর্তমানে শহিদুল্লাহ হল) ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি চীন, উত্তর কোরিয়া, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমারের রাষ্ট্রদুতের (১৯৮৪-৮৯) দায়িত্ব পালন।[২]

[সম্পাদনা করুন] কর্মজীবন

এনায়েতুল্লাহ খান ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান অবজারভার সংবাদপত্রে কাব-রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি সাপ্তাহিক হলি ডে' প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি হলি ডে' এর সম্পাদক হন। জুন ২০০৩ নাগাদ তিনি ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত বাংলাদেশ টাইমস্‌ এর সম্পাদক ছিলেন। সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখার জন্য তাকে একুশে পদক দেওয়া হয়।[৩]

[সম্পাদনা করুন] সংগঠনিক কর্মকান্ড

গনতান্ত্রীক কর্মি হিসেবে এনায়েতুল্লাহ খান ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ এর বুদ্ধিজীবি নিধন তথ্য-অনুসন্ধান কমিটির অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এই কমিটি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে (ডিসেম্বর ১৪) বুদ্ধিজীবি হত্যার তদন্ত করে। তিনি সিভিল লিবার্টি ও লিগাল এইড কমিটির সমন্নয়ক হিসেবে রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারের শিকার রাজনৈতিক কর্মিদের সাহায্য করেন। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ কমিটি ও ১৯৭৬ সালের মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মার্চ কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের (১৯৭৩-৭৬) ও ঢাকা ক্লাবের (১৯৮৪-৮৫) সভাপতি ছিলেন। [৪]

[সম্পাদনা করুন] মৃত্যু

২০০৫ সালের ১০ নভেম্বর এনায়েতুল্লাহ খান ৬৬ বছর বয়সে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। [৫]

[সম্পাদনা করুন] সূত্র

  1. http://www.newagebd.com/front.html#4
  2. http://www.newagebd.com/front.html#4
  3. http://www.newagebd.com/front.html#4
  4. http://www.newagebd.com/front.html#4
  5. http://www.newagebd.com/front.html#4

[সম্পাদনা করুন] বহিঃ সংযোগ