বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী
সামরিক বিভাগ সমূহ সেনা, নৌ, বিমান
সামরিক জনশক্তি
সামরিক বয়স স্বেচ্ছায় সামরিক বাহিনীতে যোগদানের বয়স ১৮ বছর ; এটি বাধ্যতামূলক নয় (২০০৫)
প্রাপ্যতা পুরুষের বয়স ১৮-৪৯: ৩,৫১,৭০,০১৯ (২০০৫)
সামরিক কর্মে যোগ্য পুরুষের বয়স ১৫-৪৯: ২,৬৮,৪১,২৫৫ (২০০৫)
সামরিক ব্যায়
ডলারে $৯৯৫.৩ মিলিয়ন (২০০৪)
জিডিপির(GDP) শতকরা ১.৮% (২০০৪)

বাংলাদেশ সেনা, নৌবিমান বাহিনী সুসংবদ্ধ নিয়মিত সামরিক সদস্য দ্বারা গঠিত। জেষ্ঠ্য কমিশন্ড ও ননকমিশন্ড অফিসারদের একটি অংশ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী-তে কর্মরত ছিলেন। জেষ্ঠ্য অফিসারগণ- "প্রত্যাবাসিত", যারা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে অন্তরায়িত ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধা, যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন- এই দুই অংশে বিভক্ত।

প্রথাগত দেশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি, দুর্গত এলাকায় ত্রাণ তত্পরতা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাজে বেসামরিক প্রসাশনকে সহযোগীতার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে তলব করা হয়।

বাংলাদেশ বিমান ও নৌ বাহিনী প্রত্যেকে প্রায় ৭,০০০ সদস্য নিয়ে তাদের প্রথাগত কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধিনে কোষ্ট গার্ড বাহিনী গঠন করা হয়েছে ,যাতে চোরাচালান ও জলদস্যুতা রোধ এবং সমুদ্রপোকূলবর্তী সম্পদ রক্ষা করায় আরও শক্তিসালী পদক্ষেপ নেওয়া যায়। দেশের অর্থনৈতিক ও রাজস্ব্যসংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা আরও কিছু আধাসামরিক ও সহযোগী বাহিনী গঠনে অনুপ্রাণিত করেছে। এরা হলো ৪০,০০০ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ রাইফেলস্, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল,যাদের দাবী অনুযায়ী দেশের প্রতিটি গ্রামে তাদের ৬৪ জন সদস্য আছে এবং ৫,০০০ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট যা আর্মড পুলিশ নামে পরিচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধিনে, বাংলাদেশ রাইফেলস্, সেনা বাহিনী হতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। দেশে সামরিক প্রশিক্ষনের পাশাপাশি কিছু উন্নত ও অগ্রসর কৌশলগত প্রশিক্ষন বিদেশে অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রান্ট-এইড ট্রেনিং অন্যতম। গণচীন এবং পূর্ব ইউরোপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সর্বরাহকারী দেশ, তবে সামরিক নেতৃত্ব চীনা অস্ত্রের বিকল্প আরও কমদামী অস্ত্র খোজার চেষ্টা করছেন। ২,৩০০-সদস্যের একটি বাংলাদেশ আর্মি কন্টিনজেন্ট মিত্রবাহিনীকে সহায়তা করে ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে। বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী কাজে (৯,৪৫৭ জন) সবচেয়ে বড় প্রদায়ক।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা করুন] প্রশিক্ষণ

অফিসারদের প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ মিলিটারী এ্যাকাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয় যেটি দেশের দক্ষিণের জেলা চট্টগ্রামে অবস্থিত।

[সম্পাদনা করুন] সামরিক পদবিন্যাস

বাংলাদেশের সামরিক পদবিন্যাস ইংরেজি ভাষী বিশ্বের সামরিক পদবিন্যাসের অনুরুপ। কমিশন্ড অফিসারদের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে কমিশন প্রাপ্তির উপর ভিত্তি করে তিনটি পৃথক পদবিন্যাস পদ্ধতি প্রচলিত আছে। অবশ্য আধা-সামরিক বাহিনী তাদের নিজস্য পদবিন্যাস পদ্ধতি অনুশরন করে। বাংলাদেশ রাইফেলস্ (সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুরুপ পদবিন্যাস পদ্ধতি ব্যাবহার করে। নিচে তিন বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের তুলনামূলক পদবিন্যাস দেওয়া হলো:

সেনা নৌ বিমান
ফিল্ড মার্শাল এডমিরাল অফ দি ফ্লিট মার্শাল অফ দি এয়ার ফোর্স
জেনারেল এডমিরাল এয়ার চীফ মার্শাল
লেফটেনেন্ট জেনারেল ভাইস-এডমিরাল এয়ার মার্শাল
মেজর জেনারেল রিয়ার-এডমিরাল এয়ার ভাইস মার্শাল
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কমোডর এয়ার কমোডর
কর্ণেল ক্যাপ্টেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন
লেফটেনেন্ট কর্ণেল কমান্ডার উইং কমান্ডার
মেজর লেফটেনেন্ট কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার
ক্যাপ্টেন লেফটেনেন্ট ফ্লাইট লেফটেনেন্ট
লেফটেনেন্ট সাব-লেফটেনেন্ট / এ্যাকটিং সাব-লেফটেনেন্ট ফ্লাইং অফিসার
সেকেন্ড লেফটেনেন্ট মিডশিপম্যান পাইলট অফিসার

জুনিয়র কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের পদ বিন্যাস (নিম্নগামী):

সেনা নৌ বিমান
সুবেদার মেজর / সার্জেন্ট মেজর মাস্টার চীফ পেটি অফিসার মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার
সুবেদার / মাস্টার সার্জেন্ট চীফ পেটি অফিসার x
নায়েব সুবেদার / সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস x ওয়ারেন্ট অফিসার

নন-কমিশনপ্রাপ্তদের পদ বিন্যাস (নিম্নগামী):

সেনা নৌ বিমান
কম্পানি কোয়ার্টমাস্টার হাবিলদার /স্টাফ সার্জেন্ট x ফ্লাইট সার্জেন্ট
হাবিলদার / সার্জেন্ট পেটি অফিসার সার্জেন্ট
নায়েক / করপরাল x করপরাল
ল্যান্স নায়েক / প্রাইভেট ফার্স্ট ক্লাস লিডিং সীম্যান লিডিং এয়ারক্রাফস্ ম্যান
x x এয়ারক্রাফস্ ম্যান

২০০১ সালে সামরিক বাহিনী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদটি সন্নিবেশিত করে। সকল অফিসার কমিশনপ্রাপ্ত হয় "সেকেন্ড লেফটেনেন্ট" হিসাবে। সামরিক বাহিনীতে কর্ণেলের উর্দ্ধে নিয়োগ রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত কোন ফিল্ড মার্শাল নিয়োগপ্রাপ্ত হন নাই। শুধুমাত্র দুইজন ব্যাক্তি জেনারেল পদমর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছেন: জেনারেল ওসমানী, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং মুস্তাফিজুর রহমান, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রধান।

[সম্পাদনা করুন] সংগঠন

[সম্পাদনা করুন] প্রধান বিভাগ

[সম্পাদনা করুন] সামরিক জেলা

গোপনীয়। কোন তথ্য জানা নাই।

[সম্পাদনা করুন] শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা করুন] সেনানিবাস

  • ঢাকা সেনানিবাস
  • মিরপুর সেনানিবাস
  • চট্টগ্রাম সেনানিবাস
  • খাগরাছরি সেনানিবাস
  • রাঙ্গামাটি সেনানিবাস
  • যশোর সেনানিবাস
  • খুলনা সেনানিবাস
  • রাজশাহী সেনানিবাস
  • বগুড়া সেনানিবাস
  • সৈয়দপুর সেনানিবাস
  • ঘাটাইল সেনানিবাস
  • ময়মনসিংহ সেনানিবাস
  • সিলেট সেনানিবাস
  • কুমিল্লা সেনানিবাস

[সম্পাদনা করুন] আধাসামরিক বাহিনী

  • বাংলাদেশ রাইফেলস্ (বিডিআর)
  • বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল
  • বাংলাদেশ ন্যাসনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)

[সম্পাদনা করুন] আরও দেখুন

  • বাংলাদেশ সরকার
এশিয়ার সামরিক বাহিনী (Asia) - সম্পাদনা

আজারবাইজান (Azarbaijan)  • আফগানিস্তান (Afghanistan)  • ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)  • ইয়েমেন (Yemen)  • ইরাক (Iraq)  • ইরান (Iran)  • ইসরায়েল (Israel)  • উজবেকিস্তান (Uzbekistan)  • উত্তর কোরিয়া (North Korea)  • ওমান (Oman)  • ক্যাম্বোডিয়া (Cambodia)  • কুয়েত (Kuwait)  • কাজাকিস্তান (Kazakhstan)  • কাতার (Qatar)  • কিরগিজিস্তান (Kyrgyzstan)  • চীন (China)  • জর্ডান (Jordan)  • জাপান (Japan)  • তুর্কমেনিস্তান (Turkmenistan)  • তুরস্ক (Turkey)  • তাজিকিস্তান (Tajikistan)  • থাইল্যান্ড (Thailand)  • দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea)  • নেপাল (Nepal)  • পূর্ব তিমুর (East Timor)  • পাকিস্তান (Pakistan)  • ফিলিপাইন (The Phillipines)  • ব্রুনাই (Brunei)  • বাংলাদেশ (Bangladesh)  • বাহরাইন (Bahrain)  • ভুটান (Bhutan)  • ভারত (India)  • ভিয়েতনাম (Vietnam)  • মঙ্গোলিয়া (Mongolia)  • মায়ানমার (Myanmar)  • মালদ্বীপ (Maldives)  • মালয়েশিয়া (Malaysia)  • লাওস (Laos)  • লেবানন (Lebanon)  • শ্রীলংকা (Sri Lanka)  • সংযুক্ত আরব আমিরাত (United Arab Emirates)  • সাইপ্রাস (Cyprus)  • সিঙ্গাপুর (Singapore)  • সিরিয়া (Syria)  • সৌদি আরব (Saudi Arabia)


অন্যান্য ভাষা