মহাভারত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের হাতে লেখা বর্ণনা
বড় করুন
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের হাতে লেখা বর্ণনা

মহাভারত প্রাচীন ভারতের মহাকাব্য। কথিত আছে যে মহাভারতের রচয়িতা কৃষ্ণদবৈপায়ণ বেদব্যাস লেখক হিসাবে গণেশকে নিযুক্ত করেন। গণেশ শর্ত দেন যে তার লেখনী (pen) কে একবারও যেন অপেক্ষা না করতে হয়। ১৮ পর্বে রচিত আদি মহাভারতে একলক্ষ শ্লোক আছে।

সূচিপত্র

[সম্পাদনা করুন] সংক্ষিপ্ত কাহিনী

কাহিনীর শুরু প্রকৃতপক্ষে ভরত রাজার সময় থেকে। কিন্তু বহু পুস্তকে রাজা শান্তনুর সময় থেকে কাহিনী শুরু করা হয়। পিতৃসত্য পালনের জন্য শান্তনুর পুত্র দেবব্রত আজীবন বিবাহ করেন নি ও রাজসিংহাসনে বসেন নি। এই ভীষণ প্রতিজ্ঞান জন্য তাঁকে ভীষ্ম বলা হয়। ভীষ্মের কণিষ্ঠ ভ্রাতা বিচিত্রবীর্য রাজত্ব চালান তাঁর ছিল দুই পুত্র - ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডু। জ্যেষ্ঠ ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ হওয়ায় পাণ্ডু রাজা হন। কিন্তু পাণ্ডুর অকালমৃত্যুর পর রাজত্ব ধৃতরাষ্ট্রের তত্বাবধানে আসে। সেখান থেকেই শুরু হয় মহাভারতের মহাবিরোধ। কে রাজা হবেন - পাণ্ডুর পুত্র, না ধৃতরাষ্ট্রের ? শুরু হয় হিংসা, ষড়যন্ত্র, কপট দ্যূতক্রীড়া বনবাস ইত্যাদি । কাহিনীর পরিণতি অষ্টাদশদিবসব্যাপী এক সংহারক যুদ্ধ - যাতে ভারতবর্ষের বহু রাজার প্রাণ যায় । মৃত্যু হয় ধৃতরাষ্টের জ্যেষ্ঠপুত্র দুর্যোধন সহ মোট শতপুত্রের। শেষে রাজত্ব পান জ্যেষ্ঠ পাণ্ডুপুত্র যুধিষ্ঠির। সমস্ত কাহিনীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মুখ্য চালকের ভূমিকায় থাকেন। এই কাহিনীর আধ্যাত্মিক সারাংশ হল ধর্মের জয় ও অধর্মের নাশ।

[সম্পাদনা করুন] চরিত্র সমূহ

[সম্পাদনা করুন] পাণ্ডব শিবির

পঞ্চপাণ্ডব (যুথিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল, সহদেব), এদের মা কুন্তি (বাবা পাণ্ডু যুদ্ধের বহু পূর্বে বিগত, নকুল, সহদেব-এর মা মাদ্রী সহমৃতা।) স্ত্রী দ্রৌপদী। পুত্র অভিমন্যু, ঘটোত্কচ, শিখণ্ডী, কৃষ্ণ

[সম্পাদনা করুন] কৌরব শিবির

দুর্যোধন, দুঃশাসন ইত্যাদি ভাইরা, (পিতা ধৃতরাষ্ট্র রাজধানীতে থেকে সঞ্জয়ের মুখে বর্ণনা শুনছিলেন ও মন্ত্রী বিদুরের সহাতায় রাজ্য চালনা করছিলেন, সেখানে আরো ছিলেন এদের বোন দুঃশলা, মা গান্ধারী), মামা শকুনি। পিতামহ ভীষ্ম, গুরু দ্রোণাচার্য, কৃপাচার্য, কর্ণ, অশ্বথামা, শল্য।

[সম্পাদনা করুন] অন্যান্য চরিত্র

একলব্য, চিত্রাঙ্গদা, হিড়িম্বা,