দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন একটি ব্রিটিশ প্রোপাগান্ডা পোস্টার
বড় করুন
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন একটি ব্রিটিশ প্রোপাগান্ডা পোস্টার

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এযাবত্কাল পর্যন্ত সংঘটিত সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ যা ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ এই চার বছর ধরে চলে। জার্মানির সাথে মিত্রপক্ষের যুদ্ধের মাধ্যমে এর সূচনা ঘটে। মিত্রপক্ষে প্রথমদিকে ছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং পোল্যান্ড। জার্মানির সাথে পরবর্তীতে ইতালি যুক্ত হয়ে অক্ষশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। জার্মানি কর্তৃক দখলকৃত কিছু দেশ হতেও অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে সৈন্যবাহিনী প্রেরিত হয়। বিশেষত পূর্ব সীমান্তের যুদ্ধে এই সকল দেশের সৈন্যরা অংশগ্রহন করে; অন্যান্য জাতিসমূহ মিত্রশক্তির সাথে যোগদান করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানির সাথে যেকোন ধরণের আক্রমণ থেকে বিরত থাকার মর্মে Non-aggression Treaty নামে একটি চুক্তি সম্পাদন করেছিল। কিন্তু ১৯৪১ সালের ২২ জুন জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়ন আক্রমণ করে এবং এর ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে যুক্তরাষ্ট্র মিত্রশক্তির সাথে যোগ দেয়। মূলত জার্মানি এবং জাপান দুই অক্ষশক্তিই যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ করার মাধ্যমে একে যুদ্ধে ডেকে আনে। অপরদিকে চীনের সাথে জাপানের ছিল পুরাতন শত্রুতা; ১৯৩০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল। এর ফলে চীনও মিত্রপক্ষে যোগদান করে। ১৯৪৫ সালে জার্মানি এবং জাপান উভয় দেশের নিঃশর্ত আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়েই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।

এই ভয়াবহ যুদ্ধে আনুমানিক ৬ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ মারা যায় যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছিল রাশিয়ার নাগরিক। নিহতের এই সুবিশাল সংখ্যার মূল কারণ ছিল কিছু গণহত্যামূলক অভিযান। যেমন:

  • হলোকাস্ট
  • জেনারেল ইশি শিরো নিয়ন্ত্রিত ৭৩১ নম্বর ইউনিট কর্তৃক পিংফানে পরিচালিত অভিযান
  • উত্তর আফ্রিকা, প্রশান্ত মহাসাগর এবং ইউরোপের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধসমূহ
  • হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আনবিক বোমা বিস্ফোরণ।
  • জার্মানির ড্রেসডেন এবং ফরঝেইম (Pforzheim), টোকিওসহ জাপানের অন্যান্য শহর এবং কোভেন্ট্রি ও লন্ডন সহ বৃটেনের কিছু শহরে অগ্নিবিস্ফোরণ (Firebombing)।

এই যুদ্ধে নব্য আবিষ্কৃত অনেক প্রযুক্তির ধ্বংসাত্মক প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রয়োগ ছিল পারমানবিক বোমা। মহাযুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যেই এই মারণাস্ত্র উদ্ভাবিত হয় এবং এর ধ্বংসলীলার মধ্য দিয়েই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। সকল পুনর্গঠন কাজ বাদ দিলে কেবল ১৯৪৫ সালেই মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাড়ায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই যুদ্ধের পরপরই সমগ্র ইউরোপ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়; এক অংশ হয় পশ্চিম ইউরোপ আর অন্য অংশে অন্তর্ভুক্ত হয় সোভিয়েত রাশিয়া। পরবর্তীতে এই রাশিয়ান ইউনিয়নই ভেঙে অনেকগুলো ছোট ছোট রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। পশ্চিম ইউরোপের দেশসমূহের সমন্বয়ে গঠিত হয় ন্যাটো (NATO) আর সমগ্র ইউরোপের দেশসমূহের সীমান্তরেখা নির্ধারিত হতে শুরু করে। ওয়ারস প্যাক্টের মাঝে অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহ নিয়ে দানা বেঁধে উঠে স্নায়ুযুদ্ধ। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বমঞ্চে অভিনব এক নাটকের অবতারণা করে।

কোবরিনের যুদ্ধ (সেপ্টেম্বর ১৭,১৯৩৯)-মানচিত্রে জার্মান দ্বিতীয় মোটোরাইজড ডিভিশনের অগ্রযাত্রা এবং পোলিশ বাহিনীর পিছু হটা
বড় করুন
কোবরিনের যুদ্ধ (সেপ্টেম্বর ১৭,১৯৩৯)-মানচিত্রে জার্মান দ্বিতীয় মোটোরাইজড ডিভিশনের অগ্রযাত্রা এবং পোলিশ বাহিনীর পিছু হটা

[সম্পাদনা করুন] কারণ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। তবে এ নিয়ে একটি সাধারণ ধারণা রয়েছে যা অনেকাংশে গ্রহনযোগ্য। এই কারণটি যুদ্ধোত্তর সময়ে মিত্রশক্তির দেশসমূহের মধ্যে তোষণ নীতির মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায় যা নির্দেশক শক্তির ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের আধিপত্য ও সম্রাজ্যবাদকে দায়ী করে এই কারণটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে যার বিস্তারিত এখানে উল্লেখিত হচ্ছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি তার সম্পদ, সম্মান এবং ক্ষমতার প্রায় সবটুকুই হারিয়ে বসে। এর সম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারার মূল কারণ ছিল জার্মানির হৃত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূমিকেন্দ্রিক সম্পদ পুনরুদ্ধার করা এবং পুনরায় একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা। এর পাশাপাশি পোল্যান্ড এবং ইউক্রেনের সম্পদসমৃদ্ধ ভূমি নিয়ন্ত্রণে আনাও একটি উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করেছে। জার্মানির একটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর সম্পাদিত ভার্সাই চুক্তি হতে বেরিয়ে আসার। এরই প্রেক্ষাপটে হিটলার এবং তার নাজি বাহিনীর ধারণা ছিল যে একটি জাতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে

[সম্পাদনা করুন] প্রধান নিবন্থসমূহ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস
রণক্ষেত্র     প্রধান ঘটনা     উপ শিরোনাম     অংশগ্রহনকারী জাতি    

উপক্রমণিকা:
কারণ
• ইউরোপে
• এশিয়াতে

রণক্ষেত্রসমূহ:
• ইউরোপ
• পূর্ব ইউরোপ
• আফ্রিকা
• মধ্যপ্রাচ্য
• ভূমধ্যসাগর
• এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর
চীন
• আটলান্টিক

  

১৯৩৯:
• পোল্যান্ড দখল
• Phony War
১৯৪০:
• নরওয়েজীয় আক্রমণ
• ফ্রান্সের যুদ্ধ (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ)
• বৃটেনের যুদ্ধ (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ)
১৯৪১:
• অপারেশন বার্বারোসা
• পার্ল হারবার আক্রমণ
• মস্কো যুদ্ধ
• লেনিনগ্রাদ দখল
• সেভাস্তোপোল যুদ্ধ
১৯৪২:
• স্টালিনগ্রাদ যুদ্ধ
• অপারেশন টর্চ
• মিডওয়ে যুদ্ধ
• Dieppe Raid
১৯৪৩:
• কুর্স্ক যুদ্ধ
• ইতালির যুদ্ধ
১৯৪৪:
• নর্মান্ডি যুদ্ধ
• অপারেশন ব্যাগ্রেশন
• Battle of the Bulge
• Battle of Leyte Gulf
• অপারেশন মার্কেট গার্ডেন
১৯৪৫:
• বার্লিন যুদ্ধ
• ইউরোপে সমাপ্তি
• হিরোশিমা ও নাগাসাকি
• মাঞ্চুরিয়া যুদ্ধ
• জাপানের আত্মসমর্পন

  

• প্রতিরোধ
• Home Front
• প্রযুক্তি
• উৎপাদন
• উপকরণ
• সাংকেতিক লিপিবিদ্যা
• ব্লিৎস্‌ক্রিগ
• ভুয়া যুদ্ধ

বেসামরিক প্রভাব& ক্ষয়ক্ষতিসমূহ:
হলোকস্ট
• জাপানি যুদ্ধাপরাধ
• দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরিকল্পিত বোমা বিস্ফোরণ
• মিত্রপক্ষীয় যুদ্ধাপরাধ

পরিণতি:
• প্রভাব
• ক্ষয়ক্ষতি
স্নায়ুযুদ্ধ

  

অংশগ্রহনকারী জাতি

মিত্রপক্ষ
•  সোভিয়েত ইউনিয়ন
•  যুক্তরাজ্য
•  যুক্তরাষ্ট্র
•  চীন
•  পোল্যান্ড
•  ফ্রান্স
•  কানাডা
•  গ্রীস
•  যুগোশ্লাভিয়া
•  চেকোশ্লোভাকিয়া
•  অস্ট্রেলিয়া
•  নিউজিল্যান্ড
•  দক্ষিণ আফ্রিকা
•  ভারত
•  মিশর
•  ব্রাজিল
• আরও জানুন...

অক্ষশক্তি
•  জার্মানি
•  জাপান
•  ইতালি
• আরও জানুন...

আরও দেখুন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্বন্ধে আরও তথ্য:

 World War II from Wiktionary
 WWII Textbooks from Wikibooks
 WWII Quotations from Wikiquote
 WWII Source texts from Wikisource
 WWII Images and media from Commons
 WWII News stories from Wikinews

অন্যান্য ভাষা